কাল থেকে ইবিতে শিক্ষকদের কর্মবিরতি

কাল থেকে ইবিতে শিক্ষকদের কর্মবিরতি

  • শাহজাহান নবীন, কুষ্টিয়া

আগামীকাল (২০ মার্চ) থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করবেন বলে জানা গেছে। শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ কর্মসূচী পালন করবে শিক্ষকরা। বিগত সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত ও দাবি পুরণে প্রশাসন ব্যর্থ হওয়ায় শিক্ষকরা এ আন্দোলনে নামছেন বলে নিশ্চিত করেছে শিক্ষক সমিতির কার্যালয়।

শিক্ষক সমিতির কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৬ মার্চ অনুষ্ঠিত শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বেতন স্কেলের দাবিতের আন্দোলনরত কর্মকর্তাদের ঔদ্ধত্ব্যপূর্ণ আচরণ, শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রাখা ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিষোদাগার করার ঘটনা তদন্তের লক্ষ্যে কমিটি গঠনের দাবি সাধারণ সভায় পাশ হয়। এছাড়া শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করা ও কটুক্তিকারী দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তি নিশ্চিত করাসহ বেশ কিছু দাবিও সভায় গৃহীত হয়। গৃহীত দাবিসমূহ পূরণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আজ (১৯ মার্চ) পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেয় শিক্ষকরা। যথাসময়ে দাবি আদায় না হলে কর্মবিরতি পালনে সিদ্ধান্ত হয় ওই সভায়। ফলে সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৯ মার্চের মধ্যে শিক্ষকদের দাবি পূরণ না হওয়ায় আগামীকাল রোববার থেকে কর্মবিরতি পালন করবেন শিক্ষকরা। রবিবার সকাল ১০ টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এক ঘন্টার কর্মবিরতি পালন করবেন তাঁরা।

এছাড়া পরদিন সোমবার ১০টা থেকে ১২টা ও মঙ্গলবার ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালিত হবে বলে শিক্ষক সমিতির অফিস নিশ্চিত করেছে।

এদিকে শিক্ষক সমিতির কর্মবিরতির কর্মসূচী পূণঃবিবেচনার জন্য চিঠি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিষ্ট্রার এ এস এম আব্দল লতিফ। ভিসি প্রফেসর ড. আবদুল হাকিমের পক্ষ থেকে আদিষ্ট হয়ে রেজিষ্ট্রার স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, শিক্ষক সমিতির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু কমিটির একজন সদস্য সম্প্রতি পদত্যাগ করায় নতুন দুই জনকে কমিটিতে সদস্য হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু ওই দুই জন শিক্ষকও তদন্ত কমিটিতে কাজ করতে অপারগতা প্রকাশ করায় একটা সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া ভিসি আব্দুল হাকিম সরকার শারীরিক অসুস্থতার কারণে ঢাকায় অবস্থান করছেন। ফলে শিক্ষক সমিতির কর্মসূচী পূণঃবিবেচনার অনুরোধ করেন রেজিষ্ট্রার।

এব্যাপারে শিক্ষক সমিতির একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। পূর্ব নির্ধারিত এ কর্মসূচী বাতিল করার কোনো সুযোগ নেই। বাতিল করতে হলে সাধারণ সভার মাধ্যমেই করতে হবে। শিক্ষকদের দাবির ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আরো আন্তরিক হওয়া জরুরী ছিল বলে মনে করেন সূত্রটি।favicon59

Sharing is caring!

Leave a Comment