জাবিতে লেখক-প্রকাশক-পাঠক মেলা
- মো. আসাদুজ্জামান
‘সপ্তাহব্যাপি স্বাধীনতা বইমেলা’ উপলক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় পরিণত হয়েছে লেখক, পাঠক ও প্রকাশকের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। বাংলা বিভাগের আয়োজনে আজ (২৪ মার্চ) থেকে শুরু হওয়া বই মেলায় এমন চিত্রই দেখা যায়।
মেলায় বাংলা একাডেমি, শিল্পকলা একাডেমি, নজরুল ইন্সটিটিউট, বিশ্বসাহিত্য ভবন, ইউপিএল, প্রথমা, কথাপ্রকাশ, রকমারি ডটকম সহ প্রায় ৪০টির মতো প্রকাশনা সংস্থা অংশ নেয়ায় এমন জমজমাট পরিবেশ তৈরী হয়েছে বলে জানান আয়োজকবৃন্দ।
এর আগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মহুয়া তলায় সকাল দশটায় মেলা উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম। উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য বলেন, ‘চিন্তা-চেতনা ও ভাবনা লেখার মাধ্যমে প্রকাশ পায়। লেখা গ্রন্থাকারে প্রকাশ করলে পাঠকের সঙ্গে লেখকের চিন্তার যোগসূত্র ঘটে। বাংলা বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা প্রতিবছর তাদের সৃজনশীল কর্মকাণ্ড ও গ্রন্থ প্রকাশের মধ্যদিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও গৌরব বৃদ্ধি করছেন।’
এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আবুল খায়ের, কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোহম্মদ কামরুল আহছান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু দায়েন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বই মেলার আহবায়ক ড. তারেক রেজা।
মেলার আহব্বায়ক তারেক রেজা জানান, ‘২৭-৩০ মার্চ বাংলা বিভাগের ২২০ নম্বর কক্ষে ‘শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি’ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।’
আরও জানা যায়, বাংলাদেশের কিছু গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সংগঠন, প্রকাশনা সংস্থা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ত¡ এতে অংশ নেবেন। বইমেলা চলাকালীন প্রতিদিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের সাংস্কৃতিক দল, সিলেটের শাহ আবদুল করীম পরিষদ, নকশীকাঁথা ব্যান্ডসহ স্থানীয় শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করবেন।