স্বপ্ন এবার ছাত্র সংসদ নির্বাচনের
- রাসেল মাহমুদ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
সম্প্রতি কুমিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক-প্রশাসন বিভাগের সংগঠন ‘পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এসোসিয়েশন’ (পিএএ) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিভাগের তিন শতাধিক শিক্ষার্থী নিজেদের ভোটের মাধ্যমে এক বছরেরর জন্য নেতা নির্বাচন করে নিয়েছেন। আর এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা স্বপ্ন দেখছেন ছাত্র সংসদ নির্বাচনের। শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, বাংলাদেশের বড় বড় আন্দোলন সংগ্রামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের (ঢাকসু) ভূমিকা এ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের কাছে স্মরণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্য দিয়ে একজন শিক্ষার্থী যেমন নেতৃত্বের গুণাবলী অর্জন করতে পারেন তেমনি দেশ পেতে পারে একজন ভবিষ্যৎ রাজনীতিবিদ।
ইতিপূর্বে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি বিভাগ শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিভাগের সংগঠনের কমিটি গঠন করেছে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা শিক্ষার্থীর প্রাতিষ্ঠানিক ফল বা সিলেকশনের মাধ্যমে। যা সঠিক নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোনো ভাবেই সঠিক পথ নয় বলে মনে করেন শিক্ষার্থীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের শুধু লেখা-পড়া নিয়ে থাকতে হবে এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। বিশ্ববিদ্যালয় একটি মুক্তবুদ্ধি চর্চার কেন্দ্র। নেতৃত্ব তৈরির জায়গাও বিশ্ববিদ্যালয়। তাই অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচন অবশ্যই শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব বিকাশে সহযোগিতা করবে।’
লোক প্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইউসুফ মিয়া বলেন, ‘অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের মধ্যে আন্ত:সম্পর্ক তৈরির অন্যতম একটি মাধ্যম এবং বিভাগে বিরাজমান সকল ধরনের সমস্যা সমাধানে একসাথে কাজ করার জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ হওয়ার একটি মাধ্যম। এটি সময়োপযোগী একটি সিদ্ধান্ত।’
মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী সজল কুণ্ডু বলেন, ‘বিভাগীয় সংগঠনগুলোর নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পথ তৈরি হবে এবং এখান থেকে ভবিষ্যৎ নেতেৃত্ব উঠে আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
উল্লেখ্য, গতকাল (৪মার্চ) কুমিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক-প্রশাসন বিভাগের সংগঠন ‘পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এসোসিয়েশন’ (পিএএ) নির্বাচনের মাধ্যমে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন করেছে। এর মধ্যে ১১টি পদে শিক্ষার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। ছাত্রীদের জন্য তিনটি আসন সংরক্ষিত ছিল।