‘তখন কেন এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি?’
- আতিকুর রহমান, রাজশাহী
‘ইসলামী ছাত্র শিবিরের ক্যাডার সালেহী যখন জনসম্মুখে পুলিশকে চ্যালেঞ্জ করে বলেছিল, আমি প্রফেসর তাহেরকে হত্যা করেছি। পারলে আসুন, আমাকে গ্রেফতার করুন। তখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোথায় ছিল? তখন কেন এমন ব্যবস্থা তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়নি?’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রধান প্রকৌশলীকে পেটানোর দায়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার হওয়া তিন ছাত্রলীগ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে গতকাল (৬ এপ্রিল) আয়োজিত এক মানববন্ধনে এমন প্রশ্ন তোলেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘আমরা স্বীকার করছি আমাদের নেতারা (বহিষ্কৃত) ভুল করেছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের মাধ্যমে তাদেরকে লঘু পাপে গুরুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্দেশ্যে ছাগ্রলীগ নেতারা বলেন, ‘যে ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাদের বহিষ্কার করা হয়েছে ওই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থানায় ফৌজদারি অপরাধে মামলাও করেছেন। কিন্তু মামলার বিচারপ্রক্রিয়া এখনো শেষ না হতেই তাদেরকে কীসের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হলো? ’
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক খালিদ হাসান বিপ্লবের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডার রাবি শাখার সভাপতি হাবিবুর রহমান সহ আরো অনেকে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৮ আগস্ট টেন্ডার নিয়ে দ্বন্দে ক্ষুব্ধ হয়ে রাবির উপচার্য দপ্তরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী সিরাজুম মুনিরকে মারধর করে ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ আল হোসেন তুহিন, বর্তমান সহ-সভাপতি তন্ময়ানন্দ অভি ও শহীদ হবিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মামুন-অর-রশিদ। ঘটনার দু’দিন পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহম্মদ মিজান উদ্দিন বিশেষ ক্ষমতাবলে জড়িত তিনজনকে সাময়িক বহিস্কার করে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন। চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ড তদন্ত শেষে তাদেরকে স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ করে। এর প্রেক্ষিতে গত ২৯ মার্চ সিন্ডিকেট সভায় অভিযুক্ত ওই তিন ছাত্রলীগ নেতাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।