অভিযাত্রী আইয়ুব
- সজীব হোসাইন, রংপুর
‘ছোটবেলা থেকেই ব্যতিক্রম কিছু করার স্বপ্ন। আর এই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে প্রথমবারের মতো তেঁতুলিয়া-টেকনাফ-তেঁতুলিয়া অভিযাত্রা করি। আর এখন স্বপ্ন দেখি বাংলাদেশ অভিযানের। যে অভিযানে ৫০০ দিনে দেশের সকল জেলা, উপজেলা এবং থানায় সাইকেল নিয়ে যাত্রা করব।’ এভাবেই নিজের স্বপ্নের কথা বলছিলেন রংপুরের ছেলে ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র আবু আইয়ুব।
গত ২৫ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আইয়ুবের সফলতা, অর্জন ও আবেদন প্রদর্শনী। আর এ প্রদর্শনীতে স্থান পায় অভিযাত্রী আইয়ুবের সাইকেল যাত্রার নানা চিত্র। যেখানে আইয়ুবকে দেখা যায় উৎসুক শিক্ষার্থীদের নানা প্রশ্নের উত্তর দিতে।
কথা বলে জানা যায় আইয়ুবের তেঁতুলিয়া-টেকনাফ-তেঁতুলিয়া যাত্রার বিচিত্র সব অভিজ্ঞতার কথা। সম্পূর্ণ নিজ খরচে ২০১৩ সালের ১৮ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি মোট ৯ দিনের বাংলা অভিযান সম্পূর্ণ করেন তিনি। যেখানে অভিযাত্রী আইয়ুব ২ হাজার ১২১ দশমিক ৩ কিলোমিটার সাইকেল আহরণ করে গড়েন তিনটি নতুন রেকর্ড। তাহলো-(১) সবচেয়ে কম সময়ে ৪ দিনে তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফে সাইকেলে গমন। (২) সবচেয়ে কম সময়ে ৫ দিনে টেকনাফ শাহ্পরীর দ্বীপ থেকে তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা সাইকেলে আগমন। (৩) সবচেয়ে কম সময়ে ৯ দিনে ভিন্ন রুট ব্যবহার করে তেঁতুলিয়া-টেফনাফ-তেঁতুলিয়া সাইকেলে যাত্রা সুসম্পন্ন হওয়া।
শুধু বাংলা অভিযাত্রা নয় এবার স্বপ্ন বাংলাদেশ অভিযাত্রার। আর এবার চলছে তারই প্রস্তুতি। ‘এক পতাকায় বাংলাদেশ’ শিরোনামের এই যাত্রায় দেশের সব জেলা, উপজেলা ও থানার মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে তুলতে চান পতাকা সেলফি। যা-কিনা এক পতাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের একসাথে করা হবে। আর এতে যে রেকর্ড হবে তা হলো বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে পতাকা সেলফির রেকর্ড। আর এই যাত্রার অর্থায়নেও হবে আরও এক নতুন রেকর্ড। তা হল দেশের দুই লক্ষ দশ হাজার শিক্ষার্থীর অর্থায়ন।
আইয়ুব জানান, দেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যায়ক্রমে তার অভিযাত্রার চিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে তিনি সব শিক্ষার্থীদের এই বাংলাদেশ অভিযান সম্পর্কে জানাবেন। এবং অর্থায়নেরও আবেদন জানাবেন।
উল্লেখ্য, আবু আইয়ুব ইতোপূর্বে বিভিন্ন খেলায় ১টি স্বর্ণসহ মোট ৯টি আন্তর্জাতিক পদক লাভ করেছেন। তিনি রংপুর বিভাগ সাইক্লিং ক্লাব ও বাংলা মাউন্টেইন সাইক্লিস্টস এর প্রতিষ্ঠাতা।