ড্যাফোডিলে ‘মাদকাসক্তি ও জঙ্গিবাদ’ নিয়ে আলোচনা সভা
- ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
মানস (মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা) এর উদ্যোগে ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহযোগিতায় গতকাল (৮ নভেম্বর) মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মিলনায়তনে ‘মাদকাসক্তি ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে যুব সমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভাঅনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. ইউসুফ মাহাবুবুল ইসলাম। সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন ও সভাপতিত্ব করেন করেন মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা (মানস) এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও একুশে পদক প্রাপ্ত অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধরিী।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম মাহাবুব উল-হক মজুমদার, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল হক, পরিচালক (স্টুডেন্ট এফেয়ার্স) মৈয়দ মিজানুর রহমান, মানস এর সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান তালুকদার ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্র প্রতিনিধি আল মুকিতুল বারী।
সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপনকালে মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা (মানস) এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী বলেন, বাবা মায়েরা আগের দিনের বাবা মায়ের মতো সন্তান পালন কম করছেন। বাবা মায়ের পেশাগত ব্যস্তার কারণে আজকাল বেশীর ভাগ পরিবারের সন্তান বড় হয় বাসার বুয়াদের কাছে। ফলে সন্তান যে আদর্শ শিক্ষাটা পেয়ে বড় হওয়ার কথা তারা তা পাচ্ছে না। যার জন্য আজকারের ছেলেমেয়েরা তাদের মতো করে চলছে এবং বিপথগামী বেশী হচ্ছে তথা মাদকদ্রব্য গ্রহণ করছে এবং খারাপ সঙ্গের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে জঙ্গি হয়ে যাচ্ছে ও সমাজের মধ্যে ধ্বংস যজ্ঞ ও বিশৃঙ্খলা করছে। পিতা মাতা শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবক এই ত্রি-মাত্রিক নিবিঢ় সম্পর্ক ও অটুট বন্ধনই পারে সন্তানকে ধূমপান বা মাদকাসক্তি ও জঙ্গি হয়ে উঠা থেকে দূরে রাখতে। তিনি শিক্ষার্থীদের মাদককে ঘৃনা করতে শিখতে বলেছেন কিন্তু মাদকাসক্তকে নয়।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, মাদকাসক্তির সাথে জঙ্গিবাদের একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। তাই মাদকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই জঙ্গিবাদের অবসান ঘটানো সম্ভব। তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ ও মাদকাসক্তি প্রতিরোধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে খেলাধূলা আর সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডকে বেশী উৎসাহিত ও প্রাধান্য দিতে হবে। তবেই আমরা এই ধরনের বিপথগামী স্তানদেরকে ফিরাতে পারব। তিনি শিক্ষার্থীদের মাদক পরিহারের মানসিক শক্তি ও সামর্থ্য অর্জনে পারিবারিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন।