১৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ গ্রহণযোগ্য নয়
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
দেশের ১৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নেই। আর রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্যের সই ছাড়া সনদ গ্রহণযোগ্য হবে না। এমনকি মেয়াদোত্তীর্ণ উপাচার্যের সই করা সনদও অবৈধ হবে।
গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। বিজ্ঞপ্তিতে উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ না থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নামের তালিকা দিয়ে ইউজিসি বলেছে, রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের হালনাগাদ তালিকা ইউজিসির ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের জেনেশুনে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছে ইউজিসি।
উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ না থাকা ১৮ বিশ্ববিদ্যালয় হলো: এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, দ্য পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি, ইবাইস ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া, রয়েল ইউনিভার্সিটি, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি, ঈশাখাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, জেড এইচ শিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ ওয়েস্টার্ন, নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটি, রণদাপ্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয়, জার্মান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি-কাদিরাবাদ, আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি-সৈয়দপুর এবং বাংলাদেশ আর্মি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি-কুমিল্লা।
ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের উপপরিচালক জেসমিন পারভীনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি প্রতিটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ পদে চার বছরের জন্য নিয়োগ দেন। কাজেই এসব পদে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাউকে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া আইনের পরিপন্থী। ইউজিসির একাধিক নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও এই ১৮টি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। এর ফলে শিক্ষার্থীদের সনদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অর্জিত ডিগ্রির মূল সনদে উপাচার্য ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সই থাকতে হয়।
ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য, সহ–উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নেই, সেগুলোকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিয়োগ করতে বলা হয়েছিল। ১৮টি বিশ্ববিদ্যালয় তা করেনি। এ জন্য এই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। অবশ্য এর মধ্যে কয়েকটি নতুন, যেগুলোর সনদ দেওয়ার সময় হয়নি।