আমি যদি আজ তরুণ থাকতাম তবে এই ক্যাম্পাসে পড়াশোনা করতে আমার ভালো লাগত : ইউজিসি চেয়ারম্যান

আমি যদি আজ তরুণ থাকতাম তবে এই ক্যাম্পাসে পড়াশোনা করতে আমার ভালো লাগত : ইউজিসি চেয়ারম্যান

  • সাইফুল ইসলাম খান

আমি যদি আজ তরুণ থাকতাম তবে এই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পড়াশোনা করতে আমার ভালো লাগত—ঢাকা মহানগরের আশুলিয়ায় অবস্থিত ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছবির মতো নয়নাভিরাম সবুজ পরিচ্ছন্ন স্থায়ী ক্যাম্পাস দেখে অভিভূত হয়ে এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহিদুল্লাহ।

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে গত ২৪ নভেম্বর ঢাকার আশুলিয়ায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশানাল ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাগতিকতায় আয়োজিত ১৮তম এশিয়ান ইউনিভার্সিটি প্রেসিডেন্ট্স ফোরাম-২০১৯ এর সমাপনী পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহিদুল্লাহ। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি এশিয়ার ১৫টি দেশের ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা দেড় শতাধিক উপাচার্য, প্রেসিডেন্ট ও রেক্টরবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বক্তব্যের শুরুতে উদ্যোক্তা উন্নয়নে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে অধ্যাপক ড. কাজী শহিদুল্লাহ বলেন, তরুণ উদ্যোক্তা তৈরি করতে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে যা অত্যন্ত প্রশংসনীয় এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য অনুকরণীয় হতে পারে।

এ সময় তিনি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসের ভূয়সী প্রসংশা করেন এবং শিক্ষার্থীদের জন্য এত চমৎকার শিক্ষাবান্ধব একটি সবুজ ক্যাম্পাস তৈরি করায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। এমন অনিন্দ্য সুন্দর একটি ক্যাম্পাস রেখে শিক্ষার্থীরা কেন যানজটের যন্ত্রণাময় শহুরে ক্যাম্পাসে পড়তে যায়, সেটা তাঁর বোধগম্য নয়।

তিনি পুরো ক্যাম্পাস এবং ছাত্র-ছাত্রীদের হল ঘুরে দেখেন এবং শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তোমাদের এই ক্যাম্পাস স্বংয়সম্পন্ন হতে আর কিছু দরকার আছে বলে তোমাদের মনে হয় কিনা? শিক্ষার্থীরা বলেন, ক্যাম্পাসে কোনো কিছুরই অপূর্ণতা নেই। এটি গুণগত শিক্ষা, প্রযুক্তি সুবিধা সমৃদ্ধ সবুজ ক্যাম্পাস, ক্রীড়া বান্ধব পরিবেশ, উন্নতমানের হল সুবিধাসহ সব কিছু মিলে উচ্চশিক্ষা অর্জনে বিশ্বমানের অসাধারণ একটি ক্যাম্পাস।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিয়ন্ত্রণ এবং শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

Sharing is caring!

Leave a Comment