ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চদশ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে উৎসব মুখর পরিবেশে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র পঞ্চদশ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আজ শনিবার (২৮ জানুয়ারি) আশুলিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে উদযাপিত হয়। এতে সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাস্ট্রদূত মার্সিয়া স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. সবুর খানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী বক্তা হিসেবে ঊপস্থিত ছিলেন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির ( এফবিসিসিআই) সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমেদ। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইউসুফ এম ইসলাম ও উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম মাহাবুবুল হক মজুমদার, ট্রেজারার হামিদুল হক খান, বাণিজ্য ও অর্থনীতি অনুষদের ডীন প্রফেসর রফিকুল ইসলাম, প্রকৌশল অনুষদের ডীন প্রফেসর এম সামছুল আলম, মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন প্রফেসর এ এম এম হামিদুর রহমান, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল হক ও পঞ্চদশ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও ডীন (স্থায়ী ক্যাম্পাস) ড. মোস্তফা কামাল।
দিনব্যাপী আয়োজিত বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল বাস র্যালী, আলোচনা অনুষ্ঠান, বৃক্ষরোপন, বনভোজন, পিঠা উৎসব, প্রদর্শনী, সেলিব্রেটি শো, খেলাধূলা, ফান ইভেন্টস, র্যাফেল ড্র এবং জনপ্রিয় ব্যান্ড দল ওয়ার ফেজের লাইভ কনসার্ট। অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসকে সাজানো হয় বর্ণিল সাজে। আঠারো হাজার শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তাসহ ৩৫০টি বাসের র্যালী মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে সকাল ৭টায় আশুলিয়ার স্থায়ী ক্যাম্পাসে এসে মিলিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাস্ট্রদূত মার্সিয়া স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট বলেন, উন্নত শিক্ষা পারে একজন ব্যাক্তির জীবনকে পরিবর্তন এবং উন্নত করতে। একটি উন্নত বিশ্ববিদ্যালয় পারে একটি সমাজকে পরিবর্তন এবং উন্নত করতে। ডিআইইউ এরকম একটি উন্নত বিশ্ববিদ্যালয় যার লক্ষ্য অর্থপূর্ণ কর্মজীবন গড়ে তোলা, সমৃদ্ধ জীবন উপভোগ করা এবং বাংলাদেশের জন্য সুশিক্ষিত এবং অত্যন্ত উৎপাদনশীল নাগরিক তৈরি করা। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের একটি অন্যতম শক্তিশালী দিক হলো শিক্ষার জন্য গভীর শ্রদ্ধা, শিক্ষাদানের প্রতি অঙ্গীকার এবং শেখার জন্য উৎসাহ। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, কৃতজ্ঞ থাকবেন, দৃঢ়চেতা থাকবেন এবং সদয় থাকবেন। আপনাদের অর্জন দেখার জন্য আমি আমি অপেক্ষা করব। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশীরা আমার দেখা সবচেয়ে উজ্জীবিত, অতিথিপরায়ন, কর্মপরায়ণ ও কৌতুহলী মানুষ।
সভাপতির বক্তব্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিগত দিনের সাফল্য তুলে ধরে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. সবুর খান বলেন, বিশ্বের নামী-দামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে শিক্ষা বিনিময়ের মাধ্যমে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিশ্বমানের শিক্ষা লাভ করবে এবং আন্তর্জাতিক চাকরি বাজারে নিজেদের শিক্ষার মান যাচাইয়ের সুযোগ পাবে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তিনি আরো বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই ইতিমধ্যে স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছে। ডিআইইউ এলামনাইদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৭০০ জন উদ্যোক্তা হয়েছেন যারা ইতিমধ্যে সাত হাজারের বেশী লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। তিনি শিক্ষার্থীদের চাকরি না খুঁজে উদ্যোক্তা হওয়ার পরামর্শ দেন এবং এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্র্সিটি আশুলিয়ায় ১৫০ একর জায়গার উপর সর্বাধুনিক সুবিধা সম্বলিত আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আবাসিক সুবিধাসহ শিক্ষা কার্যক্রম চালু করেছে। এখানে কোলাহল মুক্ত ছায়া সুনিবিঢ় শান্ত সবুজ পরিবেশে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত খেলার মাঠ, অডিটরিয়াম,আবাসিক হল, সুইমিং পুল, জিমনেশিয়াম, বাস্কেটবল গ্রাউন্ড, টেনিস কোর্ট সহ একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন রয়েছে। প্রযুক্তি নির্ভর একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০২ সালের ২৪ জানুয়ারি মাত্র ৬৮ জন শিক্ষার্থী নিয়ে। ইতিমধ্যে দেশ ছাড়িয়ে দেশের বাইরেও ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। জন্মলগ্ন থেকেইে প্রযুক্তিভিত্তিক কার্যক্রমের সংশ্লিষ্টতা এবং তরুণ উদ্যোক্তা সৃষ্টিই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে আজ সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একটিতে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছে।