ড্যাফোডিলে ‘নাগরিক সাংবাদিক-নগর প্রধান মতবিনিময় ও কর্মশালা’
- ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডট কম এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের যৌথ উদ্যেগে বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডট কম এর ষষ্ঠ বর্ষপূর্তি এবং ‘নাগরিক সাংবাদিক-নগর প্রধান মতবিনিময় ও কর্মশালা’ আজ বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সোবহানবাগে অবস্থিত ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ক্যাম্পাসের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, প্রধান তথ্য কমিশনার ড. মোহাম্মদ গোলাম রহমান, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. সবুর খান, উপাচার্য প্রফেসর ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম, আর্টস ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা, সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের প্রধান সেলিম আহমেদ প্রমুখ। নাগরিক সাংবাদিকতা কর্মশালায় বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস ও ফাহমিদুল হক।
অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, নাগরিক সমস্যা সমাধানের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তা না হলে একা মেয়রের পক্ষে সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, চাঁদাবাজরা মিছিল করে আর আমার নাগরিকরা চুপ করে থাকে। এ কারণে অন্যায়কারীরা আশকারা পেয়ে যায়। আপনারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলুন, ঐক্যবদ্ধ হোন। সিটি করপোরেশন আপনাদের পাশে আছে।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে সিটি করপোরেশন গুলিস্তান মতিঝিল এলাকার ফুটপাত হকারমুক্ত করেছে। ক্রমান্বয়ে ঢাকার সব ফুটপাত দখলমুক্ত করা হবে। নাগরিকদের রাজপথ, ফুটপাত নাগরিকদের কাছে ফিরিয়ে দিতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। অন্যায়কারী যত শক্তিশালীই হোক, তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। পাশাপাশি হকারদের পুনর্বাসনেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৫টি হলিডে মার্কেট চালু করা হয়েছে। কোনো হকার যদি পেশা পরিবর্তন করতে চান তাকেও সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
প্রধান তথ্য কমিশনার গোলাম রহমান বলেন, নাগরিক সাংবাদিকতা মানে শুধু নগরের সমস্যা তুলে ধরাই নয়, পাশাপাশি সমাধানও বাতলে দেওয়া। বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির ক্রমবিকাশমান ধারায় নাগরিক সাংবাদিকতা আগের চেয়ে অনেক বেশী বেগবান ও কার্যকর হয়েছে। তিনি নাগরিক সাংবাদিকদের লেখায় সমস্যা উপস্থাপনের পাশাপাশি সমাধানেরও পথ বাতলে দেওয়ার আহবান জানান। এটা খুবই আশাব্যাঞ্জক ব্যাপার যে নাগরিক সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছেন নগরপিতা। এটা নাগরিক সাংবাদিকতারই একটি বর্ধিত অংশ।
তিনি আরো বলেন, নাগরিক সাংবাদিকদের আরও সচেতন হতে হবে। তথ্যের স্বচ্ছতা ও সত্যতা নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে রামু এবং নাসিরনগরের মতো ঘটনা এদেশে ঘটতেই থাকবে।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. সবুর খান, ঢাকা শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়টি সিটি করপোরেশন পুরোটা নিজের কাঁধে না রেখে যদি বেশকিছু উদ্যোক্তা তৈরি করতে পারেন যারা নিজেরাই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করবে, তবে এ সমস্যা অনেকটাই লাঘব হবে।
তিনি বলেন, ট্রাফিক জ্যামের অন্যতম একটি কারণ অবৈধ গাড়ি পার্কিং। পর্যাপ্ত জায়গার অভাবে যত্রতত্র গাড়ি পার্ক করা হয়। একটু খেয়াল করলে দেখবেন, ঢাকায় অনেক বাড়ি পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। নানা মামলা মোকদ্দমার কারণে এসব বাড়িতে কোনো বাসিন্দা থাকে না। সিটি করপোরেশন আদালতের অনুমতি নিয়ে এসব বাড়িতে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করতে পারে। এটি ব্যাক্তি উদ্যোগেও করা যেতে পারে। এতেও অনেক উদ্যোক্তা তৈরি হবে।
তিনি আরো বলেন, ঢাকার পাবলিক টয়লেট সমস্যার সমাধানও পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে করা সম্ভব। সিটি করপোরেশন যদি সহযোগিতা করে তবে অনেক ব্যক্তিই উদ্যোগ নেবেন পাবলিক টয়লেট প্রতিষ্ঠা করার।