১ হাজার শিক্ষার্থী পেল বিনা মূল্যে ল্যাপটপ
- ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
তথ্য প্রযুক্তির ক্রমবিকাশমান ধারার সাথে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে যুগোপযোগী করে তুলতে এবং প্রতিযোগীতা মূলক চাকরি বাজারে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘একজন ছাত্র একটি ল্যাপটপ’ প্রকল্পের নিয়মিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আজ শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে ১০০০টি সিক্স জেনারেশনের ড্যাফোডিল পিসি ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টিবোর্ডের চেয়ারম্যান মো. সবুর খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষার্থীদের মাঝে ল্যাপটপ বিতরণ করেন বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা, সভাপতি ও চেয়ারম্যান এ কে এম এনামুল হক শামীম। বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইউসুফ এম ইসলাম। ল্যাপটপ প্রদানের পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ হামিদুল হক খান একাডেমিক ও শিক্ষা কার্যক্রমে ল্যাপটপের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার প্রত্যয়ে শিক্ষার্থীদের শপথবাক্য পাঠ করান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ কবির হোসেন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যও আর্থিক সহায়তা বরাদ্দ রাখার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, দেশে এখন ৯৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছে। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, এসব শিক্ষার্থীরা সরকারের তরফ থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মতো পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা পায় না। সরকার যদি বেসরকারি বিশ্ববিদল্যায়গুলোর দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তবে দেশের উন্নয়ন আরও তরান্বিত হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হলে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাশে সরকারকে দাঁড়াতেই হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ.কে.এম এনামুল হক শামীম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আপনাদেরকে যে ল্যাপটপ দেওয়া হলো তা যেন শুধু বিনোদনের মাধ্যম হয়ে না থাকে। ল্যাপটপটিকে পড়াশোনা ও জ্ঞানচর্চার অনুসঙ্গ করে তুলুন। তথ্য-প্রযুক্তিতে নিজেকে দক্ষ করে তুলুন।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চেয়ে কোনো অংশে পিছিয়ে নেই উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ৭০ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন। তারা সার্বিকভাবে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখছেন।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. সবুর খান বলেন, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ যেন বিশ্বের বুকে পরিচিতি লাভ করতে পারে সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। এই ল্যাপটপ বিতরণ উৎসব সেই কার্যক্রমেরই অংশ। ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় চায় তথ্য প্রযুক্তিতে উন্নত একটি জাতি গড়তে।
২০০৮ সাল থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত ১৯ হাজার ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়েছে জানিয়ে মো. সবুর খান বলেন, ল্যাপটপ বিতরণের সুফল আমরা ইতিমধ্যে পেতে শুরু করেছি। তথ্যপ্রযুক্তির যে কোনো প্রতিযোগিতায় এখন ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চ্যাম্পিয়ন হয়। তারা দেশ বিদেশ থেকে প্রতিনিয়ত পুরস্কার নিয়ে আসছে।
তিনি আরো বলেন, প্রতিটি শিক্ষার্থীদের হাতে ল্যাপটপ তুল দেয়া হয়েছে যাতে তারা প্রতিযোগিতা মূলক চাকুরীর বাজারে নিজেকে উপযুক্ত করে গড়ে তুলে তাদের স্বপ্নের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। তিনি শিক্ষার্থীদের ল্যাপটপের সঠিক ব্যবহার ও প্রয়োগ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য সামার-২০০৮ সেমিষ্টার থেকে ‘ওয়ান স্টুডেন্ট : ওয়ান ল্যাপটপ’ কর্মসূচীর আওতায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ভর্তিকৃত সকল শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিনামূল্যে ল্যপটপ প্রদান করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সামার ২০১৫ সেমিস্টারে ভর্তি হওয়া ১০০০ শিক্ষার্থীর হাতে ল্যাপটপ তুলে দেয়া হলো। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট উনিশ হাজার শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে ল্যাপটপ প্রদান করা হলো।