ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘একুশ শতকের উদ্যোক্তা’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনার
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
উদ্যোক্তা উন্নয়ন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সেমিনার ‘একুশ শতকের উদ্যোক্তা’ ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একাত্তর মিলনায়তনে আজ শনিবার (১৪ মে) অনুষ্ঠিত হয়েছে। ক্যারিয়ার ডেভলপমেন্ট সেন্টার (সিডিসি) ও জবসবিডি ডটকমের আয়োজনে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী সেমিনারের আজ ছিল উদ্বোধনী দিন। সেমিনারে মূখ্য বক্তা ছিলেন ভারতের ওয়াও ফ্যাক্টরস ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের কান্ট্রি হেড ও অনুপ্রেরণাদায়ী বক্তা-প্রশিক্ষক ড. শঙ্কর গোয়েনকা। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. সবুর খান ও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম। সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন ওয়াও ফ্যাক্টরস ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের সহযোগী প্রশিক্ষক শেলি শর্মা।
এছাড়াও সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার প্রফেসর ড. ইঞ্জিনিয়ার এ.কে.এম ফজলুল হক, ব্যবসায় ও অর্থনীতি অনুষদের ডিন প্রফেসর রফিকুল ইসলাম, মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর এ.এম.এম হামিদুর রহমান, স্টুডেন্টস অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান, হিউম্যান রিসোর্স ডেভলপমেন্ট ইন্সটিটিউটের (এইচআরডিআই) পরিচালক প্রফেসর ড. ফরিদ এ সোবহানী, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোহাম্মদ মাসুম ইকবাল, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মাহবুব পারভেজ ও এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সৈয়দ মারুফ রেজা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ক্যারিয়ার ডেভলপমেন্ট সেন্টারের (সিডিসি) পরিচালক আবু তাহের খান।
সেমিনারে ড. শঙ্কর গোয়েনকা বলেন, এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ কোনো বিজ্ঞান নয়, শিল্পকলাও নয়। এটি এক ধরনের জীবনচর্চা। এই চর্চার জন্য উদ্যোক্তাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হয় যোগাযোগ দক্ষতা, মধ্যস্থতা ও আত্মশক্তির উপর। তিনি বলেন, এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ এক ধরনের সেবা। উদ্যোক্তাকে সেবার মানসিকতা নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। তাহলে সাফল্য ধরা দেয়।
এক শিক্ষার্থীর প্রশ্নের জবাবে ড. শঙ্কর গোয়েনকা বলেন, দক্ষতা উন্নয়নে নিজের মস্তিষ্ককে ব্যবহার করুন। পাশাপাশি মানসিক শক্তি বাড়ান। মানসিক শক্তি বাড়ানোর জন্য তিনি নিয়মিত মেডিটেশনের পরামর্শ দেন। এ সময় তিনি বলেন, আমরা বেশিরভাগ সময় আমাদের মেধা, মানসিক শক্তি ও সময় ব্যয় করি অন্যের আলোচনা ও সমালোচা করে। এসব না করে আত্মসমালোচক হতে সবাইকে আহ্বান জানান ড. শঙ্কর গোয়েনকা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. সবুর খান বলেন, মানুষের জীবনে হতাশা আসা অস্বাভাবিক কিছু নয়। এই হতাশ মুহূর্তে মাথা ঠাণ্ডা রেখে নিজের দিকে তাকাতে হয়। তাহলে সঠিক পথ খুঁজে পাওয়া যায়। তিনি বলেন, সৃষ্টিকর্তা মানুষ সৃষ্টির পাশাপাশি তার জন্য অনেক সুযোগও সৃষ্টি করেছেন। সফল তারাই হোন, যারা এই সুযোগগুলোকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারেন।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম বলেন, মানুষের সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে ব্রেইন তথা মস্তিষ্ক। এটিকে যিনি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পেরেছেন তিনিই জীবনে সফল হয়েছেন। অতএব আসুন, মস্তিষ্ককে ব্যবহার করতে শিখি। এসময় তিনি আরো বলেন, একুশ শতকের উদ্যোক্তাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ। তাদের সেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় করণীয় সম্পর্কে এই সেমিনার সহায়ক ভূমিকা পালক করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সেমিনার শেষে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে ড. শঙ্কর গোয়েনকার হাতে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন মো. সবুর খান।