ড্যাফোডিলে ‘স্মার্ট সিটি’ নিয়ে কর্মশালা
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও ফ্রেডরিক ন্যুম্যান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডম, বাংলাদেশ (এফএনএফ)-এর যৌথ আয়োজনে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মিলনায়তন-৭১ এ ‘স্মার্ট সিটি-গুড সিটি-আওয়ার সিটি’ শীর্ষক এক কর্মশালা আজ বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালায় মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশের বিশিষ্ট স্থপতি ও নগর পরিকল্পনাবিদ মোঃ মাসুদুল ইসলাম। সকাল ১০টায় কর্মশালার উদ্বোধন করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কোষাধ্যক্ষ হামিদুল হক খান। কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন ফ্রেডরিক ন্যুম্যান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডম, বাংলাদেশ (এফএনএফ)-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর প্রফেসর ড. নাজমুল হোসেন, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পরিচালক (স্টুডেন্ট এফেয়ার্স) সৈয়দ মিজানুর রহমান রাজু ও স্থাপত্য বিভাগের সিনিয়র লেকচারার শেখ মোহাম্মদ রিজওয়ান। কর্মশালায় বিভন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
কর্মশালায় স্মার্ট সিটি সম্পর্কে নানা বিষয় তুলে ধরেন স্থপতি মোঃ মাসুদুল ইসলাম। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির বিকাশ ঘটছে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে মানুষের বসবাসযোগ্য শহর নির্মাণের ধারনাকেই বলা হচ্ছে স্মার্ট সিটি। এসময় তিনি সিঙ্গাপুর, হংকং, দুবাই, কোরিয়া সহ বিভিন্ স্মার্ট সিটির উদাহরণ দেন।
বাংলাদেশের উদাহরণ টেনে মোঃ মাসুদুল ইসলাম বলেন, আমাদের শহরগুলোকে স্মার্ট সিটিতে পরিণত করতে হলে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন। সবার আগে দরকার অবকাঠামোগত পরিকল্পনা। স্মার্ট সিটির অন্যতম শর্ত হচ্ছে উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা, পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা, প্রশস্ত ফুটপাত, পর্যাপ্ত গাছপালা ইত্যাদি। এ সময় মো. মাসুদুল ইসলাম আরও বলেন, স্মার্ট সিটি ডিজাইনের সময় ভৌগলিক বিষয়টিও বিবেচনায় রাখতে হবে। বাংলাদেশের আবহাওয়া ও পরিবেশ ইউরোপ, আমেরিকা বা মধ্যপ্রাচ্যের মতো নয়। ফলে দুবাইয়ের মতো স্মার্ট সিটি তৈরি করতে চাইলেই হবে না। নিজ দেশের ভৌগলিক অবস্থান বিবেচনায় রেখে নগর পরিকল্পনা করা উচিত।