ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘গণমাধ্যম শিক্ষা’ নিয়ে আলোচনা

ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘গণমাধ্যম শিক্ষা’ নিয়ে আলোচনা

  • ক্যাম্পাস ডেস্ক

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জার্নালিজম, মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন (জেএমসি) বিভাগের আয়োজনে ‘গণমাধ্যম শিক্ষায় শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মিথস্ক্রিয়া পুণঃসজ্ঞায়ন’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনা গত বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) ড্যাফোডিল এডুকেশন নেটওয়ার্কের ৭১ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজকের পত্রিকার সম্পাদক ও জেএমসি বিভাগের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে এ আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত ভারতীয় গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপদেষ্টা অধ্যাপক উজ্জ্বল কে চৌধুরী। এই গোলটেবিল আলোচনায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মানবিক ও সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক এ এম এম হামিদুর রহমান, জেএমসি বিভাগের প্রধান আফতাব হোসেন, আমাদের সময় পত্রিকার উপ-সম্পাদক মিজান মালিক, জাতিসংঘের ঢাকাস্থ কার্যালয়ের তথ্যকর্মকর্তা ড. মুনিরুজ্জামান, চলচ্চিত্রকর্মী আবির শ্রেষ্ঠ, এনটিভির প্রতিবেদক মাসুদ রায়হান, আজকের পত্রিকার সাংবাদিক আব্দুর রাজ্জাক ও সাদিয়া শাহরিন ঝিল, যমুনা টিভির সাংবাদিক মামুনুর রশিদ, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার সাংবাদিক মীর জসিমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের তিরিশজন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।

প্রধান আলোচক অধ্যাপক উজ্জ্বল কে চৌধুরী বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মিডিয়া ইকোনমি নামে কোনো কোর্স পড়ানো হয় না। অথচ আমাদের অর্থনীতিতে গণমাধ্যমের ব্যাপক অবদান রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মোট জিডিপির ৩.৫% আসে মিডিয়া থেকে, যুক্তরাজ্যের জিডিপির ২.৬% মিডিয়া থেকে আসে, ভারতে মোট জিডিপির ১.৮% আসে মিডিয়া থেকে। বাংলাদেশে এ ব্যাপারে প্রকৃত হিসাব জানা যায় না, তবে ধারনা করা যায় বাংলাদেশের জিডিপিতে মিডিয়ার অবদান ১% এর কম হবে না।

অধ্যাপক উজ্জ্বল কে চৌধুরী আরো বলেন, মিডিয়া ইকোনমি সম্পর্কে প্রকৃত ধারনা না থাকলে মিডিয়ার ভবিষ্যৎ সম্পর্কের জানা যাবে না। আর কোনো সেক্টরের ভবিষ্যৎ না জেনে সেই সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়া যায় না। বাংলাদেশে যেসব শিক্ষার্থী গণমাধ্যম বিষয়ে পড়ছে তাদেরকে মিডিয়ার বাজার আয়তন সম্পর্কে ধারনা দিতে হবে। আর এই দায়িত্ব প্রধাণত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর।

তিনি আরও বলেন, সিলেবাসকে প্রতিনিয়ত যুগপোযোগী করতে হবে। শিক্ষার্থীদেরকে ক্যারিয়ার উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষার্থীদেরকে ‘অর্ধেক দিন পড়ব, অর্ধেক দিন করব’ এই মানসিকতা নিয়ে তৈরি করতে হবে। অর্থাৎ তারা শুধু পড়বেই না, বরং পড়ার পাশাপাশি হাতেকলমে শিখবে। কোর্স কারিকুলাম সেইভাবে তৈরি করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান বলেন, চাকরির বাজার বদলে যাচ্ছে। বিশেষায়িত চাকরির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। সাধারণ চাকরি বলে এখন আর কিছু নেই। অর্থাৎ চাকরি পেতে হলে কোনো একটি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হতে হবে। এজন্য থিউরি এবং প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসের সমন্বয় ঘটাতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা এখন শুরুতেই নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে চায়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার আগে ব্যাকরণ জানতে হয়। জানা ও শেখার একটি প্রক্রিয়া আছে। প্রক্রিয়া মেনে শিক্ষার্থীদেরকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদেরকে সৃজনশীল করে গড়ে তোলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদেরকে শুধু টেকনোলজি শেখালেই চলবে না। তাদেরকে সৃজনশীলতাও শেখাতে হবে।

Sharing is caring!

Leave a Comment