আজীবন মা-বাবার পাশে থাকার শপথ
- ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
সারা জীবন মা বাবার পাশে থাকার শপথ গ্রহণ করেছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীরা পিতামাতার প্রতি আনুগত্য ও কৃতজ্ঞতার প্রতীক স্বরূপ নিজ নিজ পিতা-মাতার পা ধুইয়ে দিয়েছেন।গত ২৫ নভেম্বর আশুলিয়ায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থায়ী ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত ‘প্যারেন্টস ডে’তে এসব কাজ করেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সমবেত জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী প্যারেন্টস ডের কর্মসূচী শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস অব দি ডাইরেক্টরেট অব স্টুডেন্ট এফেয়ার্সের (ডিএসএ) আয়োজনে প্রায় ২৫০০ শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবক এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. সবুর খান বলেন, একমাত্র ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক এই ত্রি-মাত্রিক সম্পর্কের শক্তিশালী ও দৃঢ় বন্ধনের মাধ্যমেই উন্নত জীবন ও ক্যারিয়ার গড়ে তোলা সম্ভব এবং সে কারণেই তিনি শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধ উন্নয়নে এ ত্রি-মাত্রিক সম্পর্ককে আরো দৃঢ় করার আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেন, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মূল লক্ষ্য হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানে দক্ষ এবং ক্রীড়ামনস্ক দক্ষমানব সম্পদ তৈরী করা এবং সে লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইউসুফ মাহাবুবুল ইসলাম বলেন, পারিবারিকভাবে একজন সন্তানকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে বাবা পাইলটের ভূমিকা এবং মা নেভিগেটরের ভূমিকা পালন করে থাকেন। তাই অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে যেন তাদের সন্তানরা বিপথে চলে না যায়।
ড. ইউসুফ এম ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম মাহাবুবুল হক মজুমদার, মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. এ এম এম হামিদুর রহমান, প্রাক্তন উপাচার্য ও এমিরিটাস প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমান, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল হক, পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইমরান হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (স্টুডেন্ট এফেয়ার্স) সৈয়দ মিজানুর রহমান রাজু।