লুমিনারির পথচলা

লুমিনারির পথচলা

  • ক্যাম্পাস ডেস্ক 

লুমিনারি শব্দের অর্থ ‘আলোক উৎস’। এ নামেই একটা সংগঠন আছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের কিছু শিক্ষার্থী মিলে এ সংগঠনের যাত্রা শুরু করেছিলেন ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। সংগঠনের কাজও নামের সঙ্গে মানানসই। ক্যাম্পাসের আশপাশে গ্রামের যে গরিব ছেলেমেয়েরা স্কুলে যায়, তাদের পড়ালেখায় সাহায্য করেন লুমিনারির সদস্যরা। পুথিগত শিক্ষার বাইরেও যে একটা জানার জগৎ আছে, সুবিধাবঞ্চিত এসব শিশুকে সেই দুনিয়াটার সঙ্গেই পরিচয় করিয়ে দিতে চান তাঁরা। তাই লুমিনারির স্লোগান—‘আশাই হোক প্রতিটি শিশুর উৎসাহের শক্তি’।
জানা গেল, প্রতি সপ্তাহের শনিবার বিকেলে ক্যাম্পাসেই ছেলেমেয়েদের পড়ানো হয়। খুঁজে বের করা হয় তাদের ভেতরের লুকানো প্রতিভা। লুমিনারির সদস্যসংখ্যা ১৫। আর মোট ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৩৪। তাঁদের সবার হাতখরচের টাকা জমিয়েই মূলত এই ছেলেমেয়েদের জন্য বই, খাতা, কলমের ব্যবস্থা করা হয়। বিকেলে দেওয়া হয় নাশতা। আর খুদে শিক্ষার্থীদের নাচ-গান-আবৃত্তির মতো সৃজনশীল কাজে উৎসাহ দিতে নিয়মিতই বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। থাকে পুরস্কারের ব্যবস্থাও। লুমিনারির পরামর্শক হিসেবে আছেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শফিকুল আলম এবং ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আফসানা মৌসুমী।
লুমিনারির সাধারণ সম্পাদক তাজরিন জাহান বলছিলেন, ‘প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি আমরা যে ওদের প্রতিভা বিকাশেও সাহায্য করতে পারছি, এই আনন্দটাই সবচেয়ে বড়।’ সভাপতি ফরহাদুল ইসলামের বক্তব্য, ‘লুমিনারির মাধ্যমে আমরা ওদের ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য প্রস্তুত করে দিতে চাই।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরাও এই সংগঠনের কাজে ভীষণ খুশি। ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শফিকুল আলম বলেন, ‘লুমিনারি নিয়মিত নানা কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের অবহেলিত, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মনে আশার আলো জ্বালায়। ভবিষ্যতে বড় কিছু করার স্বপ্ন দেখায়। আশা করছি সামনেও তারা দারুণ সব উদ্যোগ নিয়ে সবাইকে মুগ্ধ করবে।’favicon59-4

Sharing is caring!

Leave a Comment