দেখে এলাম জাপান

দেখে এলাম জাপান

  • ক্যাম্পাস ডেস্ক

সম্প্রতি জাপান-এশিয়া ইউথ এক্সেঞ্জ প্রোগ্রামের আওতায় জাপান সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে একটি ট্রেনিং প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়। সেখানে অংশগ্রহণের জন্য জাপান যাওয়ার সুযোগ হয় বাকৃবির মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের তরুণ শিক্ষক গোলাম কিবরীয়া বাপ্পীসহ ১৪ জন মাস্টার্স শিক্ষার্থীর।


বাংলাদেশি গবেষকদের কাজের সফলতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সম্প্রতি একটি ট্রেনিং প্রোগ্রামের আয়োজন করে জাপানের ওকাইয়ামা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ইয়ুশীউকি মুরাটা। জাপান-এশিয়া ইউথ এক্সেঞ্জ প্রোগ্রামের আওতায় জাপান সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে এ ট্রেনিং প্রোগ্রাম আয়োজিত হয়। জাপান যাওয়ার সুযোগ হয় বাকৃবির মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের তরুণ শিক্ষক মো. গোলাম কিবরীয়া বাপ্পীসহ ১৪ জন মাস্টার্স শিক্ষার্থীর। আট দিনব্যাপি এ ট্রেনিং প্রোগ্রামে বাকৃবির শিক্ষার্থীরা উচ্চতর প্রযুক্তি, বিভিন্ন ধরনের উচ্চতর যন্ত্রপাতি, উন্নতমানের ল্যাব ও চলমান নানা গবেষণা থেকে অনেক কিছু শিখতে পারে। চলমান গবেষণার মধ্যে রয়েছে- ধান গাছে আর্সেনিক কিভাবে পরিবাহিত হয় এবং সিলিকন ব্যবহার করে কিভাবে আর্সেনিকের মাত্রা প্রশমিত করা যায়, ফাইটো হরমোন কিভাবে উদ্ভিদের স্টোমাটা খোলা ও বন্ধ হওয়া নিয়ন্ত্রণ করে, বিওয়াইটুসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি। এসব সরাসরি পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সুযোগ হয়েছিল জাপানের ওকাইয়ামা প্রাসাদ, ইন্সস্টিটিউট অব প্ল্যান্ট সাইন্স এ্যান্ড রিসোর্স, কোরাকুইন গার্ডেন, হিরোশিমায় অবস্থিত পিস মেমোরিয়াল যাদুঘর ভ্রমণের। এই যাদুঘর পারমাণবিক বোমায় মৃত হাজার হাজার হতভাগ্য মানুষদের উদ্দেশে উত্সর্গ করা হয়েছে। জাপানসহ বিশ্বের নতুন ও আগামী প্রজন্ম এসব থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুক। তাদের উপলব্ধিকে শাণিত করুক যুদ্ধের বিরুদ্ধে, মানুষ হত্যার বিরুদ্ধে সর্বোপরি পরমাণু অস্ত্র তৈরি এবং তার ব্যবহারের বিরুদ্ধে।

ট্রেনিং সম্পর্কে জানতে চাইলে ইমরান আহাম্মদ সিদ্দিকী বলেন, মাস্টার্সের ছাত্র হিসেবে বাকৃবি থেকে প্রথম বারের মত বিদেশ যাওয়া এবং এ ধরনের প্রোগ্রাম আমাদের জীবনে নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে। জাপানিদের পরিশ্রমী, শান্ত ও বিনয়ী ব্যবহার আমাকে মুগ্ধ করেছে। এসব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হয়েছে আমাদের এনামুল স্যার ও মুরাতা স্যারের সৌজন্যে। আমি আশা করি, জাপান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা ও তাদের প্রযুক্তির উত্কর্ষতা আমাদের ভবিষ্যতের চলার পথে সহায়তা করবে।

একই বিষয়ে ড. এনামুল জানান, শিক্ষার্থীরা জাপানের উন্নতর প্রযুক্তি ও নানা বিষয়ে জানতে পেরেছে। এ ধরনের কর্মসূচি মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগ তথা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এবারই প্রথম। আর আমি এর অংশীদ্বার হতে পেরে আনন্দিত। আশা করি এ ধরনের কর্মসূচি প্রতি বছরই চলমান থাকবে।

সূত্র: ইত্তেফাকfavicon59-4

Sharing is caring!

Leave a Comment