কানাডার হাই কমিশনারের কাছ থেকে পুরস্কার নিলো  ‘পেডিকেয়ার’ দল

কানাডার হাই কমিশনারের কাছ থেকে পুরস্কার নিলো ‘পেডিকেয়ার’ দল

  • ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাই কমিশনার বিনেত পিয়েরে ল্যারামের হাত থেকে সোস্যাল বিজনেস ক্রিয়েশন প্রতিযোগতার রানার আপ পুরস্কার গ্রহন করলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সামাজিক ব্যবসায় টিম ‘পেডিকেয়ার’-এর ৪ সদস্য বিবিএর শিক্ষার্থী কাজী মেজবাহ উর রহমান ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তিন শিক্ষার্থী ফয়সাল বিন আবুল কাসেম, ভাস্কর সরকার ও শামসুন নাহার। আজ বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটেরিয়াম ৭১-এ এক জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ পুরস্কার প্রদান উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে যৌথভাবে সোস্যাল বিজনেস স্টুডেন্ট ফোরাম (এসবিএসএফ) ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ।

উল্লেখ্য, কানাডা প্রথমবারের মতো একটি সোস্যাল বিজনেস ক্রিয়েশন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল ২০১৬ সালে। কানাডার মন্ট্রিলে অনুষ্ঠিক ওই প্রতিযোগিতার সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ছিল জার্মানীর গ্রামীণ ক্রিয়েটিভ ল্যাব। প্রতিযোগিতায় এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৪৪টি দল অংশ নিয়েছিল। সেখানে ব্যবসায়িক ধারনা উপস্থাপন করে দ্বিতীয় পুরস্কার অর্জন করে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের দল ‘পেডিকেয়ার’। পুরস্কারের আর্থিক পরিমাণ ১৯ হাজার কানাডিয়ার ডলার।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্ট্রি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. সবুর খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম, ট্রেজারার হামিদুল হক খান, ব্যবসায় ও অর্থনীতি অনুষদের ডিন অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ও এলাইড হেলথ সায়েন্সস  অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. আহমেদ ইসমাইল মোস্তফা।

অনুষ্ঠানে সামাজিক ব্যবসায়ের ওপর পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রভাষক মো. কামরুজ্জামান দিদার। এছাড়া পেডিকেয়ারের ব্যবসায়িক পরিকল্পনার ওপর পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইউনূস সোস্যাল বিজনেস সেন্টারের পরিচালক এবং সহযোগী অধ্যাপক মাসুদ ইবনে রহমান।

বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার বিনেত পিয়েরে ল্যারেমি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৪৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিযোগিদের সঙ্গে লড়াই করে পুরস্কার জিতে নেওয়ার জন্য পেডিকেয়ার টিমকে অভিনন্দন জানাই। এই দল শিশুর অপুষ্টি নিয়ে ব্যবসায়িক ধারনা উপস্থাপন করে পুরস্কার জিতেছে। শিশুর অপুষ্টি একটি সামাজিক সমস্যা যার সমাধানে কানাডা কাজ করে যাচ্ছে। আমি মনে করি এই পুরস্কার অন্য শিক্ষার্থীদেরকেও অনুপ্রাণিত করবে। তোমাদের প্রত্যেকের মধ্যে রয়েছে উদ্ভাবনী শক্তি। তোমরা সফল হবেই।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের পাশে কানাডা অতীতে ছিল, এখনও আছে ভবিশ্যতেও থাকবে।  তিনি কানাডার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করে কানাডার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলারশিপ, ফেলোশিপ, মাস্টার্স প্রোগ্রাম ইত্যাদি নানা বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের ও আবেদন করার পরামর্শ দেন।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্ট্রি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. সবুর খান বলেন,  ‘পেডিকেয়ার’ ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অন্য শিক্ষার্থীদের জন্য একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তারা বিশ্বের বুকে আমাদের দেশের, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মাথা উঁচু করে তুলে ধরেছে। তিনি ‘পেডিকেয়ার’ টিমের কাছ থেকে শিক্ষা ও অনুপ্রেরণা নেয়ার আহ্বান জানান। পেডিকেয়ার টিমের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পুরস্কার পাওয়াই শেষ কথা নয়। আমি চাই, তোমরা যে ধারনা উপস্থাপন করে পুরস্কার জিতেছ সেটা বাস্তবায়ন করো। ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় তোমাদের সব ধরনের সহযোগিতা করবে।favicon59-4

Sharing is caring!

Leave a Comment