ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন যেভাবে

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন যেভাবে

  • ক্যারিয়ার ডেস্ক

নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অধীনে না থেকে ঘরে বসে স্বাধীনভাবে কাজ করা ও আয় করার নাম ফ্রিল্যান্সিং। যারা ফ্রিল্যান্সিং কাজ করেন তাদের বলা হয় ফ্রিল্যান্সার। এই পেশার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো- নিজের পছন্দ অনুযায়ী কাজ বেছে নেওয়া যায় এবং নিজের সুবিধা মতো সময়ে করা যায়।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিষ্ঠান নিজের প্রতিষ্ঠানের বাইরে অন্য প্রতিষ্ঠান বা কোনো ব্যক্তিকে দিয়ে অনলাইনে বিভিন্ন কাজ করিয়ে থাকে। ফলে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ফ্রিল্যান্সারদের চাহিদা। বিশ্ব বাজারে বর্তমানে আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং খাতে বাংলাদেশ বেশ ভাল অবস্থানে রয়েছে। বিশ্বে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের দিয়ে শত কোটি টাকার কাজ করানো হচ্ছে।

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য প্রাথমিকভাবে তিনটি যোগ্যতা থাকলে এই পেশায় সফল হওয়া যায়। ১. কম্পিউটার, ২. ইন্টারনেট সংযোগ এবং ৩. ধৈর্য্য। এ ছাড়া কম্পিউটারের বেসিক ও ইন্টারনেটের উপর ভালো দক্ষতা এবং বিশেষ একটি বিষয়ে দক্ষতা থাকা দরকার। যেমন- ডাটা এন্ট্রি, গ্রাফিক্স, অ্যানিমেশন, এসইও, ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডিজাইন ও ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি।

ফ্রিল্যান্সিংয়ে বিষয় নির্ধারণ খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে বিষয় নির্ধারণ করতে গিয়ে ভুল করে থাকেন। তিনটি বিষয়ের উপরে ভিত্তি করে বিষয় নির্ধারণ করতে হবে। ১. কম্পিউটার সম্পর্কে কতোটুকু জানেন। ২. শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং ৩. পছন্দের বিষয়

কাজে দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। অ্যাকাউন্ট সাজাতে হবে স্ট্যান্ডার্ড প্রাইস মেইনটেইন করে, যেন একজন বায়ার আপনার সুন্দর প্রোফাইল ও প্রাইস দেখে আপনার সাথে কাজ করতে আগ্রহী হয়। মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে গেলে মার্কেটপ্লেসের ধরন সম্পর্কেও আপনাকে ভালো জানতে হবে। মার্কেটপ্লেস ৪ ধরনের হয়ে থাকে। ১. সার্ভিস সেলিং মার্কেটপ্লেস। ২. বিডিং মার্কেটপ্লেস। ৩. কনটেস্ট বেজ মার্কেটপ্লেস এবং ৪. রিসেলঅ্যাবল মার্কেটপ্লেস

মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়ার জন্য সুন্দর প্রোফাইল সাজাতে হবে যেন প্রোফাইলে কোনো প্রকার ভুল না থাকে। এজন্য অভিজ্ঞ কাউকে দিয়ে প্রোফাইল ক্রস চেক করানো যেতে পারে। সার্ভিস সেলিং মার্কেটপ্লেসের ক্ষেত্রে প্রোফাইলের মার্কেটিং করতে হবে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

বিডিং মার্কেটপ্লেসের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, কাজের জন্য আবেদনের কাভার লেটার যেন গোছালো হয়। এছাড়া কাজের আবেদনের সময় ক্লায়েন্টকে গ্রেটিংস জানাতে হবে ও ক্লায়েন্টের জব পোস্ট ভালোভাবে পরে সেখান থেকে কোনো একটা প্রশ্ন তুলে ধরে অথবা কোনো উপদেশ দিয়ে আবেদন শুরু করতে হবে।

কনটেস্ট বেজ মার্কেটপ্লেসের ক্ষেত্রে প্রতিদিনই কম বেশি কন্টেস্টে অংশগ্রহণ করতে হবে। রিসেলঅ্যাবল মার্কেটপ্লেসে কাজ পেতে হলে সব শর্ত পূরণ করে কাজ সাবমিট করতে হবে।

মার্কেটপ্লেসে ভালো করতে গেলে অবশ্যই মার্কেটপ্লেসে আরএন্ডডি (রিচার্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট) করতে হবে। তাহলে দ্রুত সফলতা পাওয়া যাবে। এ ছাড়া ইন্টারনেটে প্রচুর ব্লগ ও ভিডিও পাওয়া যায়। সেগুলো পড়তে হবে ও দেখতে হবে। মনে রাখতে হবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রথম কাজের উপর নির্ভর করে পরের কাজ পাওয়া যায়। তাই প্রথম ক্লায়েন্টকে সেরা সেবা দিয়ে ভালো রেটিং ও রিভিউ পাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

Sharing is caring!

Leave a Comment