চাকরি খুঁজুন জবসবিডিতে
- মারুফ ইসলাম
ডিজিটাল বিপ্লব এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা চাকরির খোঁজের জন্য দিন দিন আরও বেশি ইন্টারনেট নির্ভর হয়ে পড়ছেন। শুধু তাই নয়, জব সাইটগুলো শীর্ষস্থানীয় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে এসএমই-সহ (ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উদ্যোক্তা) সব ধরনের চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানকে আকৃষ্ট করেছে। যার ফলে, এই সাইটগুলোতে চাকরি প্রার্থীদের জন্য সব ধরনের চাকরির খোঁজ মিলছে। বর্তমানে চাকরি প্রত্যাশীদের কাছে ‘জবসবিডি ডটকম’ একটি নির্ভরযোগ্য নাম।
জবসবিডি ডটকমে বিপিও ইন্ডাস্ট্রির জন্য কাস্টমার সার্ভিস এক্সিকিউটিভ, ফাইন্যান্স ইন্ডাস্ট্রির জন্য অ্যাকাউন্টিং এক্সিকিউটিভ, আইটি ইন্ডাস্ট্রির জন্য অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপারসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির চাকরির বিজ্ঞাপন বেশি দেখা যায়। এছাড়াও গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রির জন্য কোয়ালিটি কন্ট্রোল অফিসারের মতো অনেক ধরনের চাকরির বিজ্ঞাপনও রয়েছে।
অনলাইন জব পোর্টালগুলোর কারণে চাকরি প্রার্থীদের জন্য যথাযথ চাকরির খোঁজ পাওয়াটা এখন আরও সহজ হয়ে গেছে। অনলাইনের কারণে চাকরি প্রার্থীরা শুধু অসংখ্য চাকরির খোঁজই পাচ্ছে না, সেই সাথে বাসা কিংবা অফিসে বসে খুব সহজেই চাকরির জন্য আবেদন করতে পারছে। জবসবিডি ডটকমে নতুন ফিচারের মাধ্যমে আবেদন করার জন্য আবেদনকারী শুধুমাত্র সিভি সংযুক্ত করলেই পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যায়। চাকরি প্রার্থীদের জন্য এটি যেমন সুবিধাজনক এবং তেমনি চাকরিদাতার নিয়োগ প্রক্রিয়াকেও এটি গতিশীল করছে।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সেলস এক্সিকিউটিভ সানাউল ইসলাম বলেন, ‘জবসবিডি ডটকমের আবেদন প্রক্রিয়াটি খুবই সহজ। আমি এখানে শুধুমাত্র সিভি সংযুক্ত করি এবং প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য দেই। কয়েক দিনের মধ্যেই আমি একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ইন্টারভিউয়ের অফার পাই এবং তাৎক্ষণিকভাবে চাকরির জন্য মনোনীত হই। জবসবিডি ডট কম সত্যিই এক্ষেত্রে অনেক সাহায্য করেছে।’
চাকরি প্রত্যাশীদের জন্য আরও বিশেষ কিছু সেবা রয়েছে জবসবিডি ডটকমে। যেমন :
সিভি তৈরির কৌশল : কীভাবে একটি আকর্ষনীয় সিভি তৈরি করবেন সে ব্যাপরে দিক নির্দেশনা পাবেন জবসবিডিতে। এছাড়া সিভির ফরমেট পছন্দ করার সুযোগও রয়েছে এখানে। রয়েছে অনেকগুলো নমুনা সিভি। সেসব দেখেও ধারনা নিতে পারেন কেমন হবে আপনার সিভি।
কীভাবে লিখবেন কাভার লেটার : একটি আকর্ষণীয় কাভার লেটার লিখতে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ অতিক্রম করতে হয়। কী কী সেই ধাপ তা বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এই সাইটে। এছাড়া রয়েছে নমুনা কাভার লেটার।
সাক্ষাৎকার পরামর্শ : বলা হয়ে থাকে, চাকরি প্রত্যাশীদের জন্য সবচেয়ে কঠিন ধাপ হচ্ছে ইন্টারভিউ বোর্ড মোকাবেলা করা। অনেকেই লিখিত পরীক্ষায় অনেক ভালো নম্বর পাওয়ার পরও ইন্টারভিউ বোর্ডে ভালো করতে পারেন না। ফলে চাকরিটা অধরা থেকে যায়। এসব মেধাবীদের জন্য রয়েছে সাক্ষাৎকার পরামর্শ। কীভাবে ভাইভা বোর্ডে ভালো করবেন সে ব্যাপারে বিস্তর পরামর্শ রয়েছে জবসবিডিতে।
বেতন ও অন্যান্য প্রসঙ্গ : ভাইভা বোর্ডের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে বেতন বিষয়ক আলোচনা। এই আলোচনা কতটা বুদ্ধিদীপ্তভাবে করা যায় সে ব্যাপারে অনেক পরামর্শ রয়েছে জবসবিডিতে। এছাড়া একটি প্রতিষ্ঠানের নিয়ম-শৃঙ্খলা ও পলিসি সম্পর্কে জানার জন্য কীভাবে প্রশ্ন করবেন সে ব্যাপারেও পরামর্শ রয়েছে এই সাইটে।
ক্যারিয়ার টিপস : চাকরিতে প্রবেশের আগে প্রত্যেকেরই একটি ‘ক্যারিয়ার প্ল্যান’ করা প্রয়োজন। এই ক্যারিয়ার প্ল্যান করার সময় কোন কোন বিষয় বিবেচনায় রাখা উচিত সে ব্যাপারে দিক নির্দেশনা পাবেন জবসবিডিতে।
ওয়ার্কশপ : জবসবিডি মাঝে মাঝেই ক্যারিয়ার বিষয়ক বিভন্ন ধরনের কর্মশালার আয়োজন করে থাকে। বিভিন্ন সেক্টরের বিশেষজ্ঞরা এসব কর্মশালা পরিচালনা করে থাকেন। আপনি চাইলে এসব কর্মশালায় অংশ নিয়ে নিজেকে আরও যোগ্য এবং দক্ষরূপে গড়ে তুলতে পারেন।
দীর্ঘমেয়াদী কোর্স : তথ্য প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয়ে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী কোর্স করার সুযোগ রয়েছে জবসবিডিতে। অনেক তরুণ চাকরি প্রত্যাশী এসব কোর্স করে নিজেকে ক্যারিয়ার-উপযোগী করে গড়ে তুলছেন।
ফোরাম : চাকরি প্রত্যাশী এবং চাকরিদাতা উভয়ের জন্য রয়েছে একটি উন্মুক্ত ফোরাম। নিবন্ধনের মাধ্যমে যে কেউ এই ফোরামের সদস্য হতে পারেন। এরপর নিজের মতামত ও আলোচনা তুলে ধরতে পারবেন ফোরামে।
ইন্টার্নশিপের সুযোগ : কর্মজীবনে প্রবেশের আগে ইন্টার্নশিপ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। কিন্তু অনেক শিক্ষার্থীই খুঁজে পান না, কোন প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপ করবেন। কিংবা জানেন না কোন কোন প্রতিষ্ঠানে রয়েছে ইন্টার্নশিপের সুযোগ। এসব শিক্ষার্থীদের তথ্য ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছে জবসবিডি।
জানা তো হলো জবসডিডি সম্পর্কে। এবার আপনার প্রত্যাশিত চাকরি খুঁজুন জবসবিডি ডটকমে।