সততার পুরস্কার পেলেন ট্যাক্সি ড্রাইভার!
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ নগরী। আরবের মরূদ্যানখ্যাত জাঁকজমকপূর্ণ নগরীটিতে যত ধনকুবেরদের আস্তানা। এই নগরেই আবার কাজ করে ভাগ্য ফেরাতে আসেন তৃতীয় বিশ্বের অনেক দেশের নাগরিকরা। তেমনই একজন পাকিস্তানের ট্যাক্সি ড্রাইভার নাসরুল্লাহ শের দৌলা। শ্রমিক ভিসায় নগরীতে এসেছেন তিনি। আজও দেহের শ্রম দিয়েই উপার্জন করেন তিনি। অথচ সংবাদমাধ্যমের কল্যাণে তাঁর নাম এখন শারজাহর অনেকের মুখে মুখে।
কী করে এই নগরীর অনেকের আলোচনার বস্তুতে পরিণত হয়েছেন তিনি? এর উত্তর দিয়েছে সংবাদমাধ্যম ‘পাকিস্তান ডেইলি’। জানিয়েছে, কেবল সততা নিয়ে নগরের পরিচিত মুখে পরিণত হয়েছেন তিনি। সম্প্রতি শরজাহ বিমানবন্দর থেকে নিজের ট্যাক্সিতে পূর্ব-এশীয় একজন ব্যবসায়ীকে তুলেছিলেন তিনি। যাত্রী ট্যাক্সি থেকে নেমে যাওয়ার পর চালক দেখেন, পেছনের সিটে একটি ব্রিফকেস পড়ে আছে।
ব্রিফকেসটি না খুলেই ট্যাক্সিচালক দ্রুত পুলিশকে ঘটনাটি জানিয়ে শারজাহ রাস্তা এবং যান কর্তৃপক্ষের কাছে এটি জমা দেন। পুলিশ মালিকের খোঁজ পেতে ব্রিফকেসটি খুলে দেখে এর ভেতরে ১৭ লাখ দিরহাম রয়েছে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা তিন কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এ ছাড়া আছে নানা গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক নথি।
অবশ্য ব্রিফকেসটি থেকেই এর মালিকের খোঁজ মেলে এবং তিনি ব্রিফকেসটি ফিরে পেয়ে যানপরনাই আনন্দিত হন। এ ব্যাপারে শারজাহ নগরীর সড়ক ও যান কর্তৃপক্ষের পরিচালক আবদুল আজিজ আল জারওয়ান বলেন, ‘এই যুগে এই ধরনের সততা বিরল। পাকিস্তানি ট্যাক্সিচালকের সততায় ওই ব্যবসায়ীসহ আমরা সবাই মুগ্ধ হয়েছি।’
এই সততার পুরস্কারও পেয়েছেন পাকিস্তানের ট্যাক্সিচালক নাসরুল্লাহ শের দৌলা। সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ফিরিয়ে দেওয়া টাকার একটা অংশ পেয়েছেন তিনি। এ ছাড়া পূর্ব এশিয়ার ওই ব্যবসায়ীও তাঁকে পুরস্কার দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন শারজাহ নগরীর সড়ক ও যান কর্তৃপক্ষের পরিচালক আবদুল আজিজ আল জারওয়ান।