গ্লোবাল অ্যাকাউন্টিংয়ে ক্যারিয়ার গড়তে
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
অ্যাসোসিয়েশন অব চার্টার্ড সার্টিফায়েড অ্যাকাউন্ট্যান্টের সংক্ষিপ্ত রূপ এসিসিএ। ব্যবসায় শিক্ষাবিষয়ক এই ডিগ্রি নিয়ে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারেন দক্ষ হিসেবে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক এই ডিগ্রি সারা বিশ্বেই চাকরির বাজারে ব্যাপক জনপ্রিয়। এসিসিএ হচ্ছে একটা গ্লোবাল ডিগ্রি। কারণ যেকোনো দেশেই রয়েছে এসিসিএ সনদধারীর জন্য চাকরির সুযোগ।
কর্মজীবী থেকে সাধারণ শিক্ষার্থী—সবাই ঘরে বসেই প্রস্তুত হতে পারেন এই ডিগ্রির জন্য। দেশে-বিদেশে ব্যাংক, বিমা প্রতিষ্ঠান, চার্টার্ড প্রতিষ্ঠান, টেলিকম প্রতিষ্ঠান, মাল্টিন্যাশনাল ও ডোনার এজেন্সিতে সহজেই চাকরি পেতে পারেন এসিসিএ ডিগ্রি নিয়ে। এসএসসি বা এইচএসসি শেষ করেই ভর্তি হতে পারেন ফাউন্ডেশন ডিপ্লোমা কোর্সটিতে। মোট সাতটি বিষয় পড়তে হয় এখানে। এই সাতটি বিষয় শেষ করলে তিনটি সনদ পাওয়া যাবে, যা দিয়েই আপনি প্রাথমিক ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন ভালো কোনো প্রতিষ্ঠানে। এসিসিএর আগের পাঠ হচ্ছে এই ফাউন্ডেশন ডিপ্লোমা কোর্স। নিয়মিত পড়লে এক বছরে শেষ করা যাবে। এরপর কেউ এসিসিএ করতে চাইলে এই ডিপ্লোমা তাকে সহজে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
কেউ যদি ফাউন্ডেশন ডিপ্লোমা শেষ করে এসিসিএ পড়তে চান তাহলে তার ছয় মাস কম সময় লাগবে। কারণ, ফাউন্ডেশন ডিপ্লোমাধারীদের জন্য এসিসিএর প্রথম তিনটি বিষয় পড়তে হয় না। শুধু এসিসিএ শেষ করতে সময় লাগবে তিন থেকে সাড়ে তিন বছর। এখানে অ্যাকাউন্টিং, ফিন্যান্স, ম্যানেজমেন্ট বা বিজনেস অ্যাকাউন্টিংয়ের মতো বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা যায়। দুইটি পদ্ধতিতে পরীক্ষা দিতে পারেন এখানে। হলে বসে খাতায় লেখা ছাড়াও কম্পিউটারের মাধ্যমে অনলাইনে পরীক্ষা দেওয়া যাবে। খাতায় পরীক্ষা পরিচালনা করে থাকে ব্রিটিশ কাউন্সিল। এ ছাড়া অনলাইনে ব্রিটিশ কাউন্সিল ও চার্টার্ড ইউনিভার্সিটি কলেজে সিবি ব্যচে পরীক্ষা দেওয়া যায়।
ফাউন্ডেশন ডিপ্লোমা কোর্স করা যাবে এসএসসি পাসের পরেই। এ ছাড়া গ্র্যাজুয়েশন পাস করার পরও যে কেউ এসিসিএ করতে পারবেন। ও-লেভেল এবং এ-লেভেল পাস করে এলে ইংরেজি ও গণিত থাকাটা প্রয়োজন। কেউ যদি বিবিএ বা এমবিএ করার পর ভর্তি হন, তাহলে তাকে এসিসিএর প্রথম চারটি পার্ট পড়তে হয় না। ফাউন্ডেশন ডিপ্লোমা কোর্সটি শেষ করতে চাইলে পরীক্ষা ও টিউশন ফিস যথেষ্ট কম হয়ে থাকে। বছরের যেকোনো সময় এসিসিএ কোর্সে ভর্তি হওয়া যায়। কোনো কলেজের মাধ্যমে এসিসিএ বা ফাউন্ডেশন ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হওয়ার আগে ভালোভাবে যাচাই করে নেওয়া প্রয়োজন।
বাংলাদেশে এই বিষয়ে সাফল্যের সাথে পাঠদান করে আসছে চার্টার্ড ইউনিভার্সিটি কলেজ (www.cucedu.com)। উন্নত শিক্ষার পাশাপাশি সিইউসি নিজস্ব সফটওয়্যারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার-বেজড পরীক্ষার প্র্যাকটিস করিয়ে থাকে। ফলে এখানকার শিক্ষার্থীরা ফাইনাল পরীক্ষায় ভালো ফল লাভ করে থাকে। একাধিক ক্যাম্পাস, সকাল-বিকাল নিয়মিত ক্লাস ছাড়াও শুক্র ও শনিবার এদের রয়েছে বিশেষ শিফটে ক্লাসের ব্যবস্থা। এখানে উন্নত কোচিংয়ের পাশাপাশি নিয়মিত ক্লাস, সর্বশেষ সংস্করণের পাঠ্যবই, সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, নিয়মিত প্র্যাকটিস টেস্ট, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শ্রেণিকক্ষ ইত্যাদি সুবিধা রয়েছে।