কম্পিউটার নেটওয়ার্কে ক্যারিয়ার
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
যারা কম্পিউটার নেটওয়ার্ককে ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে চান, তাদের জন্য তাত্ত্বিক জ্ঞানের পাশাপাশি ব্যবহারিক জ্ঞানটা অনেক জরুরি। আমাদের দেশে অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় ও ট্রেনিং সেন্টারে ব্যবহারিক কাজ শেখার সুযোগ খুবই সীমিত। ফলে এসব ক্ষেত্রে চাকরি পেতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় প্রার্থীদের। আবার চাকরি পেলেও কাজ করতে গিয়ে ব্যবহারিক কাজের অনভিজ্ঞতায় সমস্যার মুখে পড়তেই হয়। নেটওয়ার্কিং বিষয়ে যাতে শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে ব্যবহারিক জ্ঞানটি লাভ করতে পারে, সেই লক্ষ্যেই ডেস্কটপ আইটি চালু করেছে নেটওয়ার্কিং কোর্স। এখানে একটি মাত্র কোর্সের মাধ্যমেই নেটওয়ার্কিংয়ের আবশ্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এসব বিষয়ের মধ্যে রয়েছে ঝঃৎঁপঃঁৎবফ ঘবঃড়িৎশ, ঈরংপড় ঝরিঃপয, জড়ঁঃবৎ, ঋরৎবধিষষ , গঝ ডরহফড়ংি ংবৎাবৎ ২০০৮, গঝ বীপযধহমব ংবৎাবৎ, জবফযধঃ খরহীঁ, খরহীঁ গধরষ, চৎড়ীু প্রভৃতি। এসব বিষয়ের সবকিছুই হাতে-কলমে শেখানো হয় এই কোর্সে। ফলে এই কোর্সের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সব ধরনের কর্পোরেট অফিস বা বহুজাতিক কোম্পানিতে কাজ করার প্রয়োজনীয় যোগ্যতা অর্জন করবে।
নেটওয়ার্ক অ্যাডমিন হতে যে দক্ষতা প্রয়োজন এবং যে বিষয়গুলো জানা দরকার, তার সবই অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এই কোর্সে। ডেস্কটপ আইটিতে রয়েছে সুবিশাল ল্যাব, যেখানে রয়েছে প্রয়োজনীয় সব ধরনের নেটওয়ার্কিং যন্ত্রাংশ এবং সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যার। বড় বড় প্রতিষ্ঠানের নেটওয়ার্কে এবং ডাটা সেন্টারে যেসব যন্ত্রাংশ ব্যবহৃত হয়, তার সবই রয়েছে এখানে। ফলে কর্মক্ষেত্রের পরিবেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা লাভ করে ডেস্কটপ আইটির শিক্ষার্থীরা। নিরবিচ্ছিন্ন প্র্যাকটিসের জন্য এখানে প্রত্যেক শিক্ষার্থীই পাবেন আলাদা পিসি/সার্ভার, সিসকো সুইচ, রাউটার প্রভৃতি। ফলে ব্যবহারিক কাজের অভিজ্ঞতাও হবে পূর্ণাঙ্গ। এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে ১৪৬/২এ, নিউ বেইলি রোডে অবস্থিত ডেস্কটপ আইটি হাউজে। ক্যারিয়ার গড়ার উপায় ছেলেবেলা থেকেই সবাই স্বপ্ন দেখে ভালো কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি করার।
স্বপ্নের চাকরি পেতে সবাই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পড়াশোনাও করে। স্বপ্নের চাকরিটা পেতে চেষ্টা চালিয়ে যায় সবাই। তবে ক’জন স্বপ্নকে সত্যি করতে পারে এই প্রশ্নটা কিন্তু রয়েই গেছে। তবে স্বপ্নের চাকরি পেতে মানুষ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পড়াশোনা করে ঠিকই, তবে স্বপ্নকে ধরতে পারে না তাদের কিছু ব্যক্তিগত ও ভাবনাগত অভাবের ফলে। অভাবগুলো এতোটাই তীব্র হয় যে, পুরোদমে বিকল করে দেয় ২০-২৫ বছর ধরে পুষে রাখা স্বপ্নের চাকরির আকাক্সক্ষা। অনাকাক্সিক্ষত এইসব অভাবগুলোকে জয় করেই আমাদেরকে স্বপ্নের লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে। ভালো ক্যারিয়ার গড়তে অনেক বিষয়ই বিবেচ্য। এই লেখায় দশটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস নিয়ে আলোচনা করা হলো। ইতিবাচক মনোভাব আমরা সবাই জানি নেতিবাচকের চেয়ে ইতিবাচক কর্মকা- ও মনোভাব সবার কাছেই গ্রহণযোগ্য। সফলভাবে ক্যারিয়ার গড়তেও ইতিবাচক মনোভাবের বিকল্প নেই।
সত্যিকার অর্থে প্রত্যেকটি কাজেই ইতিবাচক মনোভাবের প্রাধান্য বেশি। আমি অথবা আপনি এটা ভালো করেই জানি ‘উপদেশ দেয়া সহজ তবে পালন করাটাই কঠিন’। সেই সাথে আমরা এটাও জানি ইতিবাচক অবস্থান একজন মানুষকে কোলাহল, উত্তেজনা উগ্রতা, দুঃশ্চিন্তা থেকে দূরে রাখে। আপনি যখন মনের দিক থেকে সৎ থাকবেন, তখন আপনাআপনি মন প্রফুল্ল থাকবে। নিজের সাথে বোঝাপড়াটাও ভালো হবে। মনকে প্রফুল্ল রাখতে পারলে স্বপ্নের চাকরিটাই না শুধু যেকোন কাজেই সফলতা পেতে পারি আমরা। নিজেকে জানুন হরহামেশাই দেখা যায় ভালো বেতনের চাকরিকে সবাই প্রাধান্য দেয়। আবার বেশি বেতনের চাকরি করলে সমাজেও কদরটা একটু বেশি। তাই সকলেই ঝুঁকে পড়ে বেশি বেতনের চাকরির দিকে। তবে ব্যাপারটা এমন না হয়ে যদি নিজের আকাক্সক্ষা ও ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেয়া হত, তাহলে ব্যাপারটা ঈর্ষণীয় হত। তাই আগে জানতে হবে, কোন পেশার সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবেন। আসল কথা হচ্ছে অন্যের পেশাকে দেখে লাভ নেই। নিজেকে নিজে জিজ্ঞাসার মাধ্যমে নির্ধারণ করতে হবে কোন পেশাকে বেছে নেওয়া যায়। মনের তৃপ্তিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর সেজন্য দরকার নিজেকে জানা।
নিজের উপর যতটা নির্ভরশীল হওয়া যাবে, সাফল্যের পথে সে সবচেয়ে এগিয়ে। চাহিদা ও দক্ষতা নির্ধারণ প্রত্যেকেরই উচিত অবসর সময়টাতে নিজেতে তৈরি করা। এইচএসসি পাস একজন নিশ্চয়ই ব্যাংকের চিফ এক্সিকিউটিভ হিসেবে চাকরি পাবে না। তাই নিজের দক্ষতার উপর নির্ভর করেই চাহিদার চাকরিগুলোকে বেছে নিতে হবে। তারপর সর্বোচ্চ কাক্সিক্ষত চাকরিটা পেতে প্রয়োজনীয় কাজগুলো করতে হবে। আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে কোন বিষয়টি আপনাকে বেশি টানে। ধরুন, আপনি কম্পিউটারে কাজ করতেই বেশি পছন্দ করেন। কম্পিউটারের সামনে বসলে আর উঠতেই ইচ্ছে করে না। আর কম্পিউটারও ভালো জানা আপনার। কম্পিউটার দক্ষতা ও আগ্রহ এই দুই মিলালে বলাই যায় আপনার উচিত তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার গড়া। সে চেষ্টাটাই করতে হবে আপনাকে। ব্যক্তিত্ব নিরূপণ কর্মক্ষেত্রে সফল হতে হলে ব্যক্তিত্ব বা পার্সোনালিটি নিরূপণ করার দায়িত্বও আপনারই। পার্সোনালিটি নিরূপণ করার জন্য আপনি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন তৈরি করে নিতে পারেন। অথবা কারও তৈরি করা প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়ে নিজেকে যাচাই করে নিতে পারেন।
মায়ারস ব্রিগস টাইপ ইন্ডিকেটর (এমবিটিআই) নামের পরীক্ষা দিয়ে বুদ্ধিমত্তা ও ব্যক্তিগত দৃঢ়তা নিরূপণ করতে পারেন। নমনীয়তা উগ্রতা সর্বদাই খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। কোন কাজই জোরপূর্বক করে নেয়া যায় না। আর জোরপূর্বক করে নেয়া হলেও পরিবর্তিতে তার কুফল ভোগ করতেই হয়। তাই উগ্রতা নয়, নমনীয়তায় জীবন গড়াটাই যৌক্তিক। পরামর্শ গ্রহণ অনেক সময়ই আমরা দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগী। এটা নয় ওটা ভালো। আসলে যে কোনটা ভালো তাই খুঁজে বের করতে পারি না আমরা। তাই আমাদের উচিত পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয় কিংবা কোন বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলে সঠিক ও উপযুক্ত চাকরিটা বেছে নেওয়া। বিশেষ করে বিশেষজ্ঞরা চাকরির বাজার সম্পর্কে প্রচুর জানেন। শিক্ষাগত যোগ্যতা, প্রতিযোগিতামূলক কর্মক্ষেত্র, ক্রমোন্নতি ও বেতন সবদিক সম্পর্কেই একজন বিশেষজ্ঞ আপনাকে সঠিক চাকরিটি বেছে নিতে সহায়তা করতে পারবেন। সময় সচেতনতা প্রত্যেকটা মানুষেরই উচিত সময়ের সঠিক ব্যবহার করা।
সময়ের কাজ সময়ে করতে পারলে যেকোন ব্যক্তিই তার ক্যারিয়ারকে সফল স্থানে নিয়ে যেতে পারবে। অযথা সময় ক্ষেপণকারীর একজন ব্যক্তি প্রয়োজনীয় সময় এসে হাঁপিয়ে উঠে। ফলে সে তার কাজে ভুল করে। পরে করবো বলে ফেলে রাখলে কোন কাজেরই সফল সমাধান দেয়া সম্ভব নয়। তাই সময় সচেতন হয়ে উঠুন। নেটওয়ার্ক তৈরি সফল ক্যারিয়ার গড়তে আপনাকে অবশ্যই একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করতে হবে। তবে নেটওয়ার্কটি অবশ্যই সৎ ও উদ্দেশ্যবহুল হওয়া চাই। নানাজনের সাথে কথা বলে ও বন্ধুত্ব করাটাও সফল ক্যারিয়ার গড়তে সহায়তা করতে পারবে। ক্যারিয়ার জিজ্ঞাসা আপনি যদি আপনার কর্মক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না করেন তবে কিন্তু সমস্যার সম্মুখীন হবেন। আপনার তখন সম্ভব হবে না স্কুলে ফিরে গিয়ে নতুনভাবে পড়াশোনা করে অন্যক্ষেত্রে সফল হবার।
তাই আপনার উচিত সঠিক কোন ক্যারিয়ার কলেজ বা ট্রেনিং সেন্টার খুঁজে বের করা। কারণ ক্যারিয়ার কলেজ বা ট্রেনিং সেন্টারে গিয়ে আপনি আপনার ক্যারিয়ারের নানা সমস্যার উত্তর খুঁজে পাবেন। আপনি নিজেও ক্যারিয়ার জিজ্ঞাসার মাধ্যমে আপনার নানা সমস্যার সমাধান করে নিতে পারেন। নতুন নতুন সব আইডিয়া তৈরি করে তার উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমেও ক্যারিয়ারে সফলতা পাওয়া সম্ভব। সহিষ্ণুতা প্রবাদ আছে, ভালো জিনিস একটু দেরিতেই আসে। কোন কাজেই তাড়াহুড়া করাটা ভালো না। তড়িৎ যেকোনো কাজের মধ্যে ভুল হবার সম্ভাবনা বেশি।