মেডিকেল ভর্তি পরামর্শ : শর্টকাটে রিভিশন
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
আমি কোনো পরীক্ষারই আগের দিনগুলোতে ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান পড়তাম না। সময় নেই। নতুন করে একেবারেই পড়া উচিত হবে না। এখন যা করা যেতে পারে তা হচ্ছে, যে পড়াগুলো মনে থাকতে চায় না, সেগুলোকে গুছিয়ে নেওয়া। সাধারণ জ্ঞান বা ইংরেজির ক্ষেত্রে আগের পড়ার ওপর ভরসা রাখাই ভালো। বিজ্ঞানের বিষয়গুলো, যেমন : পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞানের ওপর শেষ মুহূর্তে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া যেতে পারে।
যদি মনে হয় ইংরেজির প্রস্তুতিটা মনমতো হয়নি, তাহলে বিগত বছরগুলোর মেডিক্যাল, ডেন্টাল ও বিসিএসের প্রশ্নগুলো শর্টকাটে রিভিশন দেওয়া যেতে পারে। বিজ্ঞানের যে টপিকগুলো মনে থাকবে না বলে মনে হবে, সেগুলো অনুশীলন করো। বিশেষ করে সূত্রগুলো। সূত্র শেষ মুহূর্তে পড়লে পরীক্ষার হলে পরিষ্কার মনে আসবে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে হাসিখুশি থাকা। দুদিন পরে পরীক্ষা। কী হবে আমার! প্রশ্ন কেমন হবে! পরিবেশ কেমন থাকবে—এসব নিয়ে টেনশন না করে আত্মবিশ্বাসী থাকা দরকার।
সময় বণ্টনে কৌশলী হতে হবে। ১০০টি প্রশ্নের জন্য সময় মাত্র ৬০ মিনিট। প্রতিটি প্রশ্নের জন্য ৩৬ সেকেন্ড। অন্য পরীক্ষার চেয়ে মেডিক্যালের পরীক্ষা আলাদা। প্রশ্নগুলো মেশানো থাকে। একটি বাংলার প্রশ্ন তো পরেরটি বিজ্ঞানের বা ইংরেজির। একটি প্রশ্নের পর আরেকটি নিয়ে বিভ্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। শুরুতে একটি প্রশ্নের জন্য এক বা দুই মিনিট ব্যয় হয়ে গেলে শেষের দিকে প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়া তো দূরের কথা, দেখারই সুযোগ মিলবে না।
যদি প্রশ্ন দেখে মনে হয় উত্তর এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না, পরে পড়তেও পারে, তাহলে প্রশ্নে সেটা একটা চিহ্ন দিয়ে রাখা উচিত, শেষে সময় পেলে ভাবা যাবে। নেগেটিভ মার্কিং যেহেতু আছে, তাই ধারণার ওপর কোনো প্রশ্নের জবাব দেওয়া একেবারেই সমীচীন হবে না।
প্রস্তুতির সময়ে যে শর্টকাট পদ্ধতি আয়ত্ত করেছেন, সেগুলো ঝালিয়ে নিন। যেমন এই প্রশ্নগুলো আমি এভাবে মনে রেখেছি আর ওটা ওভাবে। এই দুই দিনে কেবল এই শর্টকাটগুলোই স্মরণ করার পরামর্শই দেব।
সব কথার শেষ কথা—এই শেষ মুহূর্তে মানসিক প্রস্তুতিটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কিছুটা নার্ভাস লাগবেই, এটা অস্বাভাবিক নয়। তবে আপনি একা নন, সবচেয়ে ভালো যার প্রস্তুতি, সেও কিন্তু নার্ভাস হবে!