ডিজিটাল ল্যাবে প্রযুক্তি বিষয়ক প্রশিক্ষণ
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
সারাদেশের স্কুল-কলেজে স্থাপিত ডিজিটাল ল্যাবে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক প্রশিক্ষণ পরিচালনা করার ব্যাপারে আইসিটি বিভাগের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে তারুণ্যের প্ল্যাটফর্ম ইয়ং বাংলার সেক্রেটারিয়েট ‘সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)। স্মারক অনুযায়ী, সারাদেশে ‘শেখ রাসেল কম্পিউটার অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব’-এর অধীনে স্থাপিত ২০০১টি ল্যাবের রক্ষণাবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধানের জন্য সিআরআই সমন্বয়ক ও তত্ত্বাবধায়ক নিয়োজিত করবে। দু বছর মেয়াদি, অর্থাত্ ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই চুক্তির অধীনে সিআরআই প্রতিটি ল্যাবে দুজন করে সমন্বয়ক ও ১০ জন করে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করবে, যারা স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের কিছু মৌলিক প্রশিক্ষণ দেবে এবং ল্যাবের রক্ষণাবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পালন করবে। ইয়ং বাংলার অধীন তরুণ স্বেচ্ছাসেবকদের তালিকা এবং ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ বিজয়ীদের মধ্য থেকে সমন্বয়ক ও স্বেচ্ছাসেবক নির্বাচন করা হবে।
আজ (১০ অক্টোবর) সকালে আইসিটি বিভাগে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের কার্যালয়ে সিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক সাব্বির বিন শামস, ‘শেখ রাসেল কম্পিউটার অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ ল্যাব’ প্রকল্পের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আসম শফিউল আলম তালুকদারসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
সিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ করে তোলাই এই প্রকল্পের লক্ষ্য। কারণ তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে যথাযথ জ্ঞানসম্পন্ন যুবসমাজ ছাড়া ভিশন ২০২১ অর্জন সম্ভব নয়। পাশাপাশি, আমরা কিশোর ও যুবকদের প্রশিক্ষণ দিতে স্কুল-কলেজসহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করে যাব।’
২০১৫ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে সারা দেশে সমাজ উন্নয়নে কাজ করছে এমন তরুণদের সঙ্গে নীতিনির্ধারকদের যোগাযোগ স্থাপনে কাজ করে যাচ্ছে ইয়ং বাংলা। উদ্যমী তরুণেরা নিজেদের মধ্যেও যোগাযোগের সুযোগ পাচ্ছে এই প্লাটফর্ম থেকে। এই প্লাটফর্মের অধীনে ‘ভিশন-২০২১ ইন্টার্নশিপ’ নামে একটি প্রকল্প চালু হয়েছে, যেখানে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে। একই সঙ্গে, টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফটের বাংলাদেশ শাখার সঙ্গেও একটি চুক্তির মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের তরুণদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু করেছে। মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ট্রেইনাররা সারাদেশে ঘুরে ঘুরে ইয়ং বাংলাকে সঙ্গে নিয়ে এই প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন।