জীবনবোধের জীবনচর্চা
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
জীবন থেকে প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু শিখি আমরা। শেখার এই প্রক্রিয়া কখনো শেষ হয় না। জীবন এজন্যই প্রতিনিয়ত বদলায়, আমাদের শিক্ষা আমাদের এগিয়ে নেয়, প্রতিদিন পরিণত করে নতুন এক মানুষে। জাপানের জীবনবোধ আমাদের আরো উন্নত একটি জাতির জীবনচর্চা শেখায়। শেখায় সততাকে ধরে রেখেও কীভাবে মানুষ এগিয়ে যায়, একা নয়, সবাই মিলে।
কথা রাখতেই হবে
জাপানে শুধু কথা দেওয়ার জন্য কথা দেয় এমন কোন মানুষ নেই। ওয়াদা অবশ্যই পালন করা হবে। তারা কখনোই ওয়াদা করে ভুলে যান না। ছোট হোক বা বড়, ঝড় হোক না বৃষ্টি তারা কথা রাখবেনই। কোথাও দেখা করা বা মিটিঙের কথা দিয়ে না আসা একদমই মেনে নেওয়া হয় না। আপনাকে অবশ্যই আগে জানাতে হবে বা আপনার স্থানে কাউকে পাঠাতে হবে।
দায়িত্বশীল নাগরিক
২০১৪ সালের ব্রাজিলে বিশ্বকাপ সসারের খেলায় জাপানিরা অবাক করে দিয়েছিল সবাইকে। কিভাবে? তারা দর্শকসারিতে তাদের অংশটা পরিষ্কার করে ফেলেছিল নিজেরাই। জাপান ভ্রমণে অবশ্যই চোখে পড়বে বিষয়টি আপনার। তারা সবসময় যে কোন কাজ করার পর সেই জায়গাটি পরিষ্কার করে ফেলে। এমনকি পিকনিকের পর পার্কে যেয়ে আপনি সামান্য একটা নোংরা কিছু খুঁজে পাবেন না ঘাসের উপর।
আপনার বাসায় যদি কোন পার্টি ত্থাকে আপনি নিশ্চিত থাকুন সবাই আপনাকে সাহায্য করবেন। ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন তো করে দেবেনই আবার যাওয়ার আগে তাদের খাওয়ার প্লেটটা পর্যন্ত ধুয়ে রেখে যাবেন। তারা নিজ দায়িত্বেই এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখেন। হাটতে চলতে ময়লা পেলেই বিনে ফেলা একটা সাধারণ দ্ররশ্য সেখানে।
ক্ষমাশীল
জাপানিদের বৈশীষ্ট যদি একশব্দে বলতে হয় তাহলে বলতে হবে তারা ক্ষমাশীল। একইসাথে তারা অনেক বিনয়ী। উদাহরণস্বরূপ, তারা কখনোই কারও দিকে আঙ্গুল তুলে কথা বলেন না। মানুষ হোক বা বস্তু আঙ্গুল দিয়ে নির্দেশ করা তারা অসম্মানের মনে করেন। তারা সবসময় মার্জিত পোশাক পরেন, হেসে অভিভাদন জানান সবাইকে এবং কখনোই কোন জিনিস এক হাতে দেন না। দুই হাত দিয়ে যত্ন করে ধরে দেন।
সময় সচেতন
যে কোন দেশের মানুষের জন্যই জাপানিদের কাছ থেকে শেখার আছে তাদের এই বৈশিষ্ট্যটি। তারা সময়ের ব্যাপারে খুবই সচেতন। তারা অন্যের সময়ের মূল্য দেন। নিজের সময় নষ্ট করা অপছন্দ করেন। আর এজন্যই তাদের পুরো দেশটি এত সুন্দরভাবে চলছে।