চার প্রশ্নে চাকরি মেলে

চার প্রশ্নে চাকরি মেলে

মারুফ ইসলাম : ইন্টারভিউ ছাড়া চাকরি কল্পনাই করা যায় না। পেশাগত বিষয়ে আপনার আগ্রহ ও দক্ষতা দেখার জন্য যেমন একটি ইন্টারভিউ নেওয়া হয়, তেমনি আপনার সম্পর্কে অন্য বিষয়গুলো জেনে নেওয়ার জন্য একটি এইচআর (হিউম্যান রিসোর্স) ইন্টারভিউও নেওয়া হয়ে থাকে। এই ইন্টারভিউয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন করা হয়ে থাকে। আপনার জানার পরিধি, বিচক্ষণতা, তাৎক্ষণিকতা, গুছিয়ে কথা বলা ইত্যাদি খেয়াল করা হয় এসব প্রশ্নের মাধ্যমে। তবে সব ইন্টারভিউয়ে চারটি কমন প্রশ্ন থাকে। আপনি যদি এই চারটি প্রশ্নের উত্তর ঠিকঠাকভাবে দিতে পারেন তবে আপনার চাকরি পাওয়া অনেকটা সহজ হয়ে যায়।


১। আপনার নিজের সম্পর্কে কিছু বলুন:

আপনার মনে হতে পারে এই প্রশ্নটি সবচেয়ে সহজ। কিন্তু আপনি যা ভাবছেন আসলে ব্যাপার তা নয়। কারণ প্রশ্নকর্তা আপনার কথাগুলো খুবই মনযোগ দিয়ে শুনবে। আপনি কীভাবে কথা বলেন, আপনি কি আত্মবিশ্বাসী, আপনার কী প্রতিষ্ঠানের হয়ে কথা বলার মতো যোগ্যতা আছে; প্রশ্নকর্তা আপনার কথার মাধ্যমে এ সবগুলো প্রশ্নের উত্তর খুঁজে নিবেন। এই প্রশ্নের উত্তরে আপনার জীবনের পুরো ইতিহাস বলার প্রয়োজন নেই। চাকরির সাথে সম্পর্কযুক্ত কিছু সংক্ষিপ্ত তথ্য সুন্দরভাবে উপস্থাপন করুন।

২। আপনি আমাদের প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কি জানেন ?

আপনি কতটুকু উদ্যোগী এবং কতটুকু সুদূরপ্রসারী চিন্তার অধিকারী প্রশ্নকর্তা এ প্রশ্নের উত্তর থেকেই খুঁজে নিবে। আপনি যদি সাক্ষাৎকার দিতে যাওয়ার আগে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভালোমতো জেনে না যান তবে চাকরি পাওয়ার আশা ছেড়ে দিন। সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী অবশ্যই আশা করবেন আপনি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আগে থেকেই ভালমতো জেনে নিবেন। সুতরাং সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কখনোই এ ধরণের ভুল করবেন না।

৩। আপনার সবচেয়ে ভাল গুণ কি ?

আপনার মধ্যে বিশেষ কী গুন আছে এ প্রশ্নের মাধ্যমে তাই জানতে চাওয়া হয়। এটি একটি ধ্রুপদী প্রশ্ন। এ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় আপনাকে একটু অন্যভাবে ভাবতে হবে। এখানে একটি গুণের কথা জানতে চাওয়া হয়েছে। সুতরাং, অতিরিক্ত কথা বলে কিংবা উদাহরণ দিয়ে সময় নষ্ট করতে যাবেন না। আপনি মানুষের সাথে ভালো মিশতে পারেন কিংবা আপনার আচরণ খুবই ভালো এ ধরণের কথা প্রশ্নকর্তা আপনার কাছে জানতে চায়নি। সুতরাং, উত্তর দেওয়ার সময় ভেবে-চিন্তে নিজের একটি সত্যিকার গুণের কথা প্রকাশ করুন।

৪। আপনি কেমন বেতন আশা করছেন ?

এ প্রশ্নটি করা হয় মূলত আপনার প্রত্যাশা জানার জন্য। আপনাকে এক্ষেত্রে বলতে হবে আপনি এ প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানটির বেতন কাঠামো সম্পর্কে জানেন। কখনো কখনো আপনাকে সরাসরিও উত্তর দিতে হতে পারে। এর জন্য প্রস্তুত থাকুন। আপনার সমপরিমাণ অভিজ্ঞতা নিয়ে অন্যান্যরা কী পরিমাণ বেতনাদি পাচ্ছে তাও নিশ্চয়ই আপনি জানেন। সুতরাং এরই পরিপ্রেক্ষিতে বেতনের একটি রেঞ্জ সম্পর্কে প্রশ্নকর্তাকে জানান। সরাসরি বেতন বলার চেয়ে একটি সীমা দিয়ে দেওয়াই এক্ষেত্রে শ্রেয়।

ইন্টারনেট অবলম্বনে favicon5

Sharing is caring!

Leave a Comment