চাকরি ছাড়ার সহজ উপায়
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
যখন সুখকর অভিজ্ঞতা না নিয়ে কোনো প্রতিষ্ঠান ছাড়তে হয়, তখন কি কারণে এ কাজটি করছেন তার জানান দেওয়া উচিত। কিছু মানুষ প্রতিশোধপ্রবণ হয়ে এ কাজ করেন। কেউ প্রতিষ্ঠান বা কোনো ব্যক্তিকে বিপদে ফেলতেও এমন কাজ করতে পারেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, চাকরি ছাড়ার আগেই অবশ্যই প্রতিষ্ঠান ও বসের সঙ্গে পরিষ্কার কথা বলে নেওয়া উচিত। কাজটি করতে হবে মর্যাদাপূর্ণভাবে।
লিডারশিপ অ্যান্ড পিপল ম্যানেজমেন্ট এক্সপার্ট কারেন গেটলি বলেন, প্রতিষ্ঠান ছাড়ার আগে ঠিক করে নেবেন ভবিষ্যতে কি করতে যাচ্ছেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মানুষ চাকরি ছাড়ার সময় ক্ষোভ প্রকাশ করে থাকেন। কিন্তু ভবিষ্যতের কথা ভাবতেই হবে। আপনার সুনাম ধরে রাখা জরুরি। নতুন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে হয়ত সেখানে পুরনো অফিসের কোনো সহকর্মীকে পেয়ে যাবেন। আসলে কোনো ঝামেলা করে চলে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
এমনকি ক্ষোভ দেখানোর মতো যথেষ্ট কারণ থাকলেও তা দেখানো ঠিক না। কারণ এতে আশপাশের মানুষগুলো খুব সহজেই সহানুভূতি হারায় আপনার ওপর থেকে। তখন প্রতিষ্ঠানও আপনার সঙ্গে বাজে আচরণ করতে পারে, জানান গেটলি।
তাই খুব দ্রুত এবং চুপচাপ বেরিয়ে যান। পরের চাকরিতে সুখী মনে যোগ দিন। এমন পরামর্শই দেন বিশেষজ্ঞরা। তা ছাড়া কি ধরনের পেশায় আছেন তা কোনো বিষয় নয়। সবকিছুর জন্যই সুযোগ রয়েছে। নতুন কিছু শুরু করতে পারেন। আবার পুরনো কাজই করতে পারেন। যে পেশায় আছেন, পরিচিত বহু মানুষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন বিভিন্ন জায়গায়। কাজেই বর্তমান প্রতিষ্ঠান থেকে সততার সঙ্গে বেরিয়ে যান। আপনার বক্তব্য স্পষ্ট রাখুন। নয়ত সুনাম নষ্ট হলে অন্যান্য স্থানে সুবিধা করতে পারবেন না।
আবার ভুল ভালো ও স্পষ্ট কারণ না থাকলে চুপচাপ থাকাই ভালো। মিথ্যা কিছু বানিয়ে নিতে যাবেন না। নিজের প্রতিষ্ঠান ও বসকে নিয়ে যারা বাজে কথা বলেন তাদের অন্য প্রতিষ্ঠানও পছন্দ করে না। তাই প্রতিষ্ঠান ত্যাগ করা উচিত সম্মানের সঙ্গে।
তাই যাওয়ার আগে সহকর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে বিদায় নিন। প্রতিষ্ঠানও যেন তুষ্ট থাকে আপনার ওপর।