কম্পিউটার সায়েন্সে ক্যারিয়ার
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
তথ্য প্রযুক্তি বিপ্লবের এই যুগে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জীবনের সর্বক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার বেড়েছে। যুগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শিক্ষার সব স্তরে কম্পিউটার শিক্ষা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। ব্যবসা বাণিজ্য, প্রশাসন, শিল্প ও যোগাযোগ প্রভৃতি এখন সম্পূর্ণরূপে কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে এ বিষয়ে শিক্ষিতদের ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে এবং হচ্ছে। কম্পিউটার সায়েন্স শিক্ষিতদের প্রধান কর্মক্ষেত্র হচ্ছে শিক্ষকতা, গবেষণা, প্রোগ্রামিং। বাংলাদেশী দক্ষ কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারদের দেশী-বিদেশী নামকরা প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ হচ্ছে। অনেকেই আইবিএম, মাইক্রোসফ্ট ও গুগলের মতো বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ পাচ্ছে। আবার অনেক শিক্ষার্থী বিএসসি শেষ করেই মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে আইটি প্রফেশনাল হিসেবে ভালো বেতনে কাজ পেয়ে যাচ্ছে।
কম্পিউটার বিজ্ঞানের গ্রাজুয়েটরা এই সেক্টরের পাশাপাশি ভিন্ন সেক্টরেও নিজের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। যেমন ব্যাংক, কর্পোরেট হাউজ, মিডিয়াসহ সব জায়গায়ই আজ কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্রদের ব্যাপক চাহিদা। বর্তমানে প্রায় প্রতিটি কোম্পানিতে যেমন একটি অ্যাকাউন্টস বিভাগ লাগে তেমনি প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ভালোভাবে চালাতে দক্ষ জনবলসমৃদ্ধ কম্পিউটার সেকশন প্রয়োজন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রযুক্তিনির্ভর প্রতিষ্ঠানগুলোতে বর্তমানে সফটওয়্যার ডেভেলপার, ওয়েব ডেভেলপার, আইটি ম্যানেজার, কম্পিউটার প্রোগ্রামার, গ্রাফিক্স ডিজাইনার, কম্পিউটার সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেটর, কম্পিউটার সিস্টেম অ্যানালিস্ট, ইনফরমেশন সিকিউরিটি অ্যানালিস্ট, ডাটাবেজ অ্যাডমিন, এছাড়া প্রায় প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে এখন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সেল খোলা হয়েছে। সেখানেও কম্পিউটার সায়েন্স শিক্ষিতদের প্রাধান্য।
কম্পিউটার সায়েন্স শিক্ষিতদের কর্মক্ষেত্র সম্পর্কে আরও বিশদভাবে জানতে একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের প্রফেসর ড. হাসানুজ্জামান। দুই-তিন বছর আগে তার সঙ্গে কথা হয়েছিল। তখনই বুঝতে পারি কম্পিউটার সায়েন্স শিক্ষা নিয়ে তার জ্ঞান ও ভাবনার গভীরতা সম্পর্কে। ড. হাসানুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ১ ডিসেম্বর দুপুর ২টায় সময় দেন। ক্যামেরা পারসন রেজাকে সঙ্গে নিয়ে যথাসময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগে হাজির হই। সেখানে গিয়ে দেখলাম ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা ল্যাবে মনের আনন্দে নিজ নিজ কাজ করছে। ড. হাসানুজ্জামান ল্যাবগুলো ঘুরে দেখান। জানালেন ঢাবির সিএসই শিক্ষার্থীরা তাত্ত্বিক শিক্ষার পাশাপাশি প্রয়োগিক শিক্ষায়ও পিছিয়ে নেই। তার কথার প্রমাণ মেলে বিভাগের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার ল্যাবে গিয়ে। অত্যাধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা রয়েছে সেখানে। রয়েছে পর্যাপ্ত কম্পিউটার। দ্রুত গতির ইন্টারনেট সুবিধা। গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় সব যন্ত্রপাতি। সেখানে শিক্ষার্থীরা সহজেই প্রায়োগিক শিক্ষাটা নিতে পারছে। রয়েছে ডিজিটাল সেমিনার লাইব্রেরি। যেখানে শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনীয় পড়ার সামগ্রী পাওয়ার পাশাপাশি দুর্লভ সব আর্টিকেল ডাউনলোডের সুযোগ পাচ্ছে।