কৃষিতে উচ্চ শিক্ষা
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ক্ষেত্রে মেডিকেল কলেজ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কয়েকটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পর বরাবরই পছন্দের তালিকায় থাকে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি জন্য ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের পরামর্শ নিয়ে এই আয়োজন।
পদার্থবিজ্ঞান: ভর্তি পরীক্ষায় পদার্থবিজ্ঞান থেকে মোট ২৫টি এমসিকিউয়ের মধ্যে সাধারণত ১৫-১৮টি গাণিতিক সমস্যা থাকে। বাকীগুলো হলো বিভিন্ন ধরনের সূত্র, সমীকরণ এবং কিছু সহজ থিউরি প্রশ্ন। পদার্থবিজ্ঞানের প্রতিটি অধ্যায়ের গাণিতিক সমস্যার উদাহরণ এবং অনুশীলনীর অঙ্কগুলো ভালো করে করলেই চলবে। পাশাপাশি বিগত বছরে ভর্তি পরীক্ষায় আসা গাণিতিক সমস্যাগুলোর সমাধান করলে অনেক প্রশ্ন কমন পাওয়া যায়। কাজ, শক্তি ও ক্ষমতা, তড়িত্, চুম্বক, আপেক্ষিক তত্ত্ব, ইলেকট্রনিকস, আলো, আলোর গতিবেগ, দর্পণ, আলোর প্রতিফলন ও আলোর প্রতিসরণ প্রভৃতি অধ্যায়গুলো থেকে গাণিতিক সমস্যা বেশি আসে।
গণিত: মূলত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভর্তি পরিক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের পার্থক্য হয় গণিতে সর্িঠক উত্তর দেওয়ার উপর। গণিত অংশে ভালো করতে হলে প্রতিটি অধ্যায়ের সূত্রগুলো ভালভাবে মুখস্থ করতে হবে। অধ্যায়ভিত্তিক গাণিতিক সমস্যা সমাধানের সংক্ষিপ্ত সূত্রসমূহ আয়ত্তে আনতে হবে। বেশি গুরুত্ব দিতে হবে সেট, ফাংশন, অমূলদ-মূলদ সংখ্যা, বিন্যাস, সমাবেশ, জ্যামিতি, ত্রিকোণমিতি ও ক্যালকুলাসের ওপর। যদি ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে দেয় তবে একটু বড় অংক দিতে পারে। তাই ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে সহজে সমাধান করার কৌশল আয়ত্বে থাকলে পরীক্ষার হলে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়।
রসায়ন বিজ্ঞান: রসায়নের জন্য নির্ধারিত ২৫টি প্রশ্নের সঠিক উত্তর করতে হলে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্যপুস্তক ভালো করে আয়ত্ত্ব করতে হবে। মূল বইয়ের প্রতিটি অধ্যায় থেকে খুঁটিনাটি পড়তে হবে। অনেক সময় বিভিন্ন বিক্রিয়া থেকে প্রশ্ন আসতে পারে। বিক্রিয়ার প্রশ্নগুলো মূলত বিক্রিয়ার মাধ্যম, প্রভাবক, তাপমাত্রা, চাপ, বিক্রিয়ার মূল উত্পাত কি, এই ধরনের হয়। তাই বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে এসব বিষয়গুলো ভালো করে পড়তে হবে। আর এক্ষেত্রে পড়ার পাশাপাশি লেখার চর্চা করলে তা সহজে আয়ত্ত্ব করা সম্ভব হয়।
জীববিজ্ঞান: জীববিজ্ঞানের প্রশ্নগুলোর ঠিকঠাকমত উত্তর করতে উচ্চ মাধ্যমিকে পাঠ্য বইয়ের উপর অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। উদ্ভিদবিজ্ঞানের জন্য বইয়ের উদ্ভিদের কোষ, সালোকসংশ্লেষণ ও শ্বসন অধ্যায়গুলো ভালো করে পড়তে হবে। পাশাপাশি এসব অধ্যায়ের খুটিনাটি বিষয়গুলো আয়ত্বে থাকলে পরিক্ষায় ভালো উত্তর করা সহজ হয়। প্রাাণিবিজ্ঞান থেকে প্রাণীর শ্রেণীবিভাগ, মানবদেহ, আরশোলা, টিস্যু অধ্যায়ের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
বিগত সালের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন: ভর্তি পরীক্ষার অনেক সময় বিগত বছরের অনেক প্রশ্ন হুবহু আসতে দেখা যায়। এক্ষেত্রে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো পড়া থাকলে খুব সহজেই উত্তর দেওয়া সম্ভব হয়। তাই অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি সহায়িকা গাইড থেকে বিগত বছরের ভর্তি পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো পড়ে নিতে হবে। প্রতিটি বিষয়ে ভালো উত্তর করার জন্য পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সহায়ক বইয়ের সাহয্য নিতে পারেন। এতে করে পরিক্ষার প্রস্তুতি অনেকটা সহজ হয়।