চীনের মেডিকেল ডিগ্রি পেতে চাইলে

চীনের মেডিকেল ডিগ্রি পেতে চাইলে

  • ক্যারিয়ার ডেস্ক

এবার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল সর্বমোট ৯০ হাজারেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রী। কিন্তু সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে সুযোগ হয়েছে মাত্র ২৫ হাজার ছাত্র-ছাত্রীর। যার মাঝে সরকারী মেডিকেল কলেজে সুযোগ হয়েছে মাত্র ৫ থেকে ৬ হাজার ছাত্র-ছাত্রীর। যারা সরকারি মেডিকেলে সুযোগ পায়নি বা ডাক্তার হওয়াই একমাত্র স্বপ্ন যাদের তাদের জন্য ডাক্তার হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে চায়নাতে।

চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিকমানের একশটির বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এ বিষয়ে বেলাল তামজীদ নামে চীনে অধ্যায়নরত একজন ছাত্র জানায় ২০১১ সালে এইচএসসি পাস করার পর অনেক আশায় ছিলাম সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হব। চিকিৎসক হওয়ার যে স্বপ্ন ছোটবেলা থেকেই ছিল, সেটা ধূলিসাত হয়ে গিয়েছিল মাত্র এক ঘণ্টার ভর্তি পরীক্ষায়। পরে সিদ্ধান্ত নিলাম দেশের বাইরে মেডিকেলে পড়ালেখা করব। ইন্টারনেটে অনেক খোঁজাখুঁজির পর জানলাম, চীনে কম খরচে সরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস পড়া যায়। এরপর মেডিকেলে পড়ে এখানে চলে আসা।

বর্তমানে ৪৫টি চীনের মেডিক্যাল কলেজ বিএমডিসি লিস্টেড। শুধুমাত্র সেই মেডিক্যাল কলেজগুলোর ডিগ্রিই বাংলাদেশে গ্রহণযোগ্য। চীনে সরকারি মেডিক্যাল কলেজের বাংলাদেশ অফিস হিসেবে কাজ করা অবসার্ভ ওয়ার্ল্ডওয়াইড এডুকেশনের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান জানান, চীনে নির্দিষ্ট সংখ্যক সরকারি মেডিক্যাল কলেজে আমরা স্কলারশিপ দিতে পারি। স্কলারশিপ প্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীরা প্রায় এক লাখ রিঙ্গিত স্কলারশিপ পাবে। তিনি আরো উল্লেখ করেন, ওয়ার্ল্ড র‌্যাংকিং মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ প্রদান করছেন তারা। ৫ বছরে থাকা খাওয়াসহ খরচ বাংলাদেশি প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজের তুলনায় অর্ধেকেরও কম। কিন্তু এমবিবিএস ডিগ্রি পাচ্ছে বিশ্বের নামী মেডিক্যাল কলেজ থেকে। চায়নার সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ফরেন কোটায় এই ভর্তির সুযোগ প্রদান করছেন তারা।যা বাংলাদেশের বিএমডিসি এপ্রুভড। এখানে আছে প্রায় এক হাজার ১০০ মেডিকেল কলেজ।

এখানকার একেক বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি একেক রকম। বিশ্ববিদ্যালয় পছন্দ করার আগে দেখতে হবে সেই বিশ্ববিদ্যালয় যে প্রদেশে অবস্থিত, সেখানকার গড় তাপমাত্রা কত। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিং কত এবং সেখানে বাংলাদেশি বা বিদেশি শিক্ষার্থী আছে কি না। অনেকে বিদেশে পড়ালেখার পাশাপাশি খণ্ডকালীন চাকরি করতে চান। কিন্তু চীনে এ সুযোগ নেই। এ ছাড়া যারা এমবিবিএস পড়বেন, তাদের সারাদিন ক্লাস আর ল্যাবেই কাটাতে হবে। এখানকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থিওরির ক্লাসের চেয়ে প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসে অনেক বেশি মনোযোগী। সুযোগ থাকলেও এ কারণে তারা খণ্ডকালীন চাকরি করতে পারবেন না। বাংলাদেশের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে একবারেই সব টাকা পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু এখানে তা করতে হয় না। প্রতিবছর টিউশন ফি হিসেবে পরিশোধ করতে হয়। যোগাযোগ : অবসার্ভ ওয়ার্ল্ড ওয়াইড এডুকেশান, কনকর্ড টাওয়ার (৪র্থ তলা), ফার্মগেট, ঢাকা। মোবাইল :০১৮৬৫০১০১০৪।

সূত্র: ইত্তেফাকfavicon59-4

Sharing is caring!

Leave a Comment