ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হবেন?
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রাম ফেজ-২ প্রকল্পের জন্য ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে ২৭০ জনকে নিয়োগ দেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। প্রকল্প সময়ের জন্য অস্থায়ীভাবে এসব নিয়োগ দেওয়া হবে। প্রকল্পটি চলবে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
কাজের ধরন
সম্প্রতি যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হয়েছে তা মৎস্য, প্রাণী ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যৌথ প্রকল্প। ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্টদের কাজ হবে মাঠপর্যায়ে প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা। খামারিদের হাতে-কলমে উৎপাদনবিষয়ক জ্ঞান দেওয়া এবং তারা যাতে উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পায়, তা তদারক করাও ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্টদের কাজ।
আবেদনের যোগ্যতা
শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে কমপক্ষে এইচএসসি বা সমমান পাস। কোনো স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান, সংস্থা, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রাণিসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ থাকলে অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসেবে ধরা হবে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এ জাতীয় প্রকল্পে চাকরির অভিজ্ঞতা ও প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে বয়সসীমাও শিথিলযোগ্য হবে। তবে সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩০ মার্চ ২০১৭ তারিখে বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ১৮ থেকে ৩২ বছর।
আবেদন অনলাইনে
এর মধ্যে শুরু হয়ে গেছে আবেদন প্রক্রিয়া। অনলাইনে আবেদন করা যাবে ১০ এপ্রিল বিকেল ৫টা পর্যন্ত। natp.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে অ্যাপ্লিকেশন ফরম বাটনে ক্লিক করতে হবে। তারপর ‘ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট’ বাটনে ক্লিক করলে আবেদন ফরম পাওয়া যাবে। প্রয়োজনীয় সব তথ্য সঠিক দিয়ে আবেদন ফরমটি পূরণ করতে হবে। আপলোড করতে হবে ৩০০ বাই ৩০০ (সর্বোচ্চ ১০০ কেবি) পিক্সেলের রঙিন ছবি ও ৩০০ বাই ৮০ (সর্বোচ্চ ৬০ কেবি) পিক্সেলের স্বাক্ষর। আবেদনপত্র নির্ভুলভাবে সাবমিট করা শেষ হলে ইউজার আইডি, পাসওয়ার্ড এবং ছবি ও স্বাক্ষরসহ একটি অ্যাপ্লিক্যান্ট কপি পাওয়া যাবে। এটি প্রিন্ট করে নিতে হবে। আবেদনের পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল থেকে এসএমএসের মাধ্যমে পরীক্ষার ফি বাবদ ১০০ টাকা পাঠাতে হবে। পরীক্ষা সংক্রান্ত সব তথ্য জানা যাবে মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে। ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা যাবে প্রবেশপত্র।
যে সকল কাগজপত্র লাগবে
মৌখিক পরীক্ষার সময় সঙ্গে আনতে হবে প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত চারিত্রিক সনদ, নিজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা পৌরসভার মেয়র বা সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছ থেকে পাওয়া নাগরিকত্বের সনদ এবং সব সনদের মূল কপি। আবেদন ফরমসহ সব সনদের মূল কপির এক সেট ফটোকপি জমা দিতে হবে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীভুক্ত হলে মৌখিক পরীক্ষার সময় জেলা প্রশাসকের দেওয়া সনদ সঙ্গে আনতে হবে।
পরীক্ষার ধরণ ও প্রস্তুতি
এই পদের জন্য প্রথমে লিখিত ও পরে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে। আর মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পাবেন। লিখিত পরীক্ষা সাধারণত ৮০-৯০ নম্বরের হয়ে থাকে। সাধারণত বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান, গণিত—এই চারটি মৌলিক বিষয়ের ওপর প্রশ্ন হয়ে থাকে। থাকতে পারে কৃষিবিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্নও। বাংলা অংশে ব্যাকরণ, সাহিত্যিকদের জীবন ও সাহিত্যকর্ম থেকে প্রশ্ন হতে পারে। ইংরেজিতে সাধারণত গ্রামার থেকে প্রশ্ন আসে। গণিত অংশে ভালো করতে হলে আয়ত্তে রাখতে হবে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বোর্ডের গণিত বইগুলো। সাধারণ জ্ঞান অংশে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয় থেকে বিভিন্ন প্রশ্ন আসে। সাধারন জ্ঞানের জন্য বর্তমান সময়ের আলোচিত ঘটনা, ভৌগলিক বিষয় ও খেলাধুলা সম্পর্কে প্রস্তুতি নিতে পারেন। শিক্ষাগত যোগ্যতা যেহেতু কমপক্ষে এইচএসসি চাওয়া হয়েছে, তাই প্রশ্ন হবে সেই দিকে বিবেচনা করেই।
নিয়োগের জন্য যেমন প্রস্তুতি দরকার
খুব দ্রুত ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিয়োগ পরীক্ষায় কী ধরনের প্রশ্ন আসতে পারে বা কী থাকবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জানিয়ে দেবে। আর এ সবই হবে নিয়োগ কমিটির সভার পর। প্রার্থীদেরকে সব সময় ওয়েবসাইটে চোখ রাখার জন্য বলা হয়েছে। কারণ লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা কোথায়, কখন হবে তাও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে জানানো হবে। বিগত নিয়োগ প্রক্রিয়ানুযয়ী যারা এই পরীক্ষাগুলোতে টিকে যাবেন তাদেরকে অবশ্যই ভেটেরিনারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট বা লাইভস্টক ট্রেনিং ইনস্টিটিউট হতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এক বছরের প্রশিক্ষণ নিতে হবে। প্রশিক্ষণ শেষে উত্তীর্ণ প্রার্থীদেরকেই চূড়ান্তভাবে নিয়োগ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণের সময় সরকার নির্ধারিত হারে ভাতা দেওয়া হবে।
বেতন সীমা
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, চূড়ান্তভাবে নিয়োগপ্রাপ্তরা গ্রেড-১৬ অনুযায়ী ১৬০০০ টাকা স্কেলে বেতন পাবেন। কোনো সুযোগ সুবিধা যুক্ত করা হলে তা পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে।