পেশা বদলকারী সফল মানুষেরা

পেশা বদলকারী সফল মানুষেরা

ক্যারিয়ার ডেস্ক : নিজ নিজ পেশায় তাঁরা সকলেই প্রতিষ্ঠিত। কেউ লেখক, কেউ রাজনীতিক, কেউ বা ক্রিকেটার। কিন্তু জানেন কি, শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী আজকের পেশায় থাকার কথা নয় তাঁদের কারওরই? এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সেই সব সেলিব্রিটিদের, পেশা বদলের পরও যাঁরা চূড়ান্ত সফল।


অরবিন্দ কেজরীওয়াল : ভারতের অন্যতম বিতর্কিত এই মুখ্যমন্ত্রী খড়্গপুর থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে ১৯৮৯ সালে যোগ দেন টাটা স্টিলে। এরপর ১৯৯৫ সালে আইএএসের বাধা টপকে যোগ দেন ইনকাম ট্যাক্সের সহকারী কমিশনার হিসাবে। ২০০৬ সালে চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে পুরোদস্তুর রাজনীতিতে যোগ দেন।

শঙ্কর মহাদেবন : ১৯৮৮ সালে কম্পিউটার সায়েন্সে ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেন বলিউডের এই সুরকার ও গায়ক। পরে ওরাকল কর্পোরেশনের হয়ে সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে বেশ কয়েক বছর চাকরিও করেন।

চেতন ভগত : ১৯৯৫ সালে দিল্লি আইআইটি থেকে স্নাতক পাশ করেন চেতন ভগত। এরপর গোল্ডম্যান স্যাক্সের হয়ে বহু বছর ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার হিসাবে কাজ করেন। পরে চাকরি ছেড়ে পাকাপাকি ভাবে লেখালেখিতে মন দেন।

অনিল কুম্বলে : আর পাঁচটা শিক্ষিত কন্নড় পরিবারের ছেলের মতোই প্রকৌশলী হওয়ার কথা ভেবেছিলেন কুম্বলে।  তবে নেশা ছিল ক্রিকেট। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়রিংয়ে ডিগ্রি থাকা  সত্ত্বেও স্বপ্নকেই ধাওয়া করে গেছেন সর্বকালের অন্যতম সেরা স্পিনার।

অরুন্ধতী রায় : দিল্লির স্কুল অব প্ল্যানিং অ্যান্ড আর্কিটেকচার থেকে স্নাতক অরুন্ধতী।  তবে আর্কিটেক্ট অরুন্ধতী যে খ্যাতি পাননি, তা তাঁকে এনে দিয়েছে তাঁর কলম, নাটকের মঞ্চ।

অনুপম রায় : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইঞ্জিনিয়রিং পাশ করে কিছু দিন দশটা-পাঁচটার চাকরি করেছিলেন অনুপম। তবে সে সব পোষায়নি। বরাবারই যে তিনি নিজের মতো থাকতে চাইতেন।  গান, বই, লেখা এ সবের মাঝেই অক্সিজেন খোঁজেন যিনি তাঁর জীবন তো সেই খাতে বওয়ারই ছিল।favicon59

Sharing is caring!

Leave a Comment