১০ টি প্রশ্ন আপনাকে আরো বেশী সফল করবে
রিক্তা রিচি : নতুন বছরের দ্বিতীয় মাস চলছে। অর্থাৎ একটি মাস ইতিমধ্যেই গত। আপনি যদি এখনো নতুন বছরের লক্ষ্য ঠিক না করে থাকেন তবে মনে আর কালবিলম্ব করা উচিত হবে না। হয়তো ২০১৫ ছিল চমৎকার, সেখানে আগে থেকেই প্রত্যাশা ছিল। এবছর হয়ত আপনি আপনার যোগ্যতা ও স্বাস্থ্য নিয়ে নতুন মাইলফলকে পৌছাতে চান। হয়ত আপনি আপনার ক্যারিয়ার পরিপূর্ণভাবে গড়ার জন্য পরিবর্তন চান কিংবা পদোন্নতি চান। হয়ত আপনি ভালবাসা খুঁজে বেড়াচ্ছেন। কিছু প্রশ্ন আছে যেগুলর উত্তর দিতে বিজয়ীরা বরবর দৃঢ়প্রত্যয়ী। আপনি যদি এবছর সাফল্য পেতে চান তবে চোখ বুলাতে পারেন প্রশ্নগুলোতে।
- ১) সফলতার সংজ্ঞা কি?
এটা খুব গুরুত্বপূর্ন। আমরা বেশিরভাগ মানুষই সফল হতে চাই সমাজের বা অন্যকারোর সফলতার সংজ্ঞা জেনে। প্রথমত আপনাকে সুস্পষ্ট ধারনা নিতে হবে আপনার লক্ষ্য সম্পর্কে। নিজেকে প্রশ্ন করুন আপনার নিজস্ব লক্ষ্য কোনটি, এবং আপনি কতটুকু সফলতা অর্জন করতে চান।
- ২) আপনি কি আপনার কর্মজীবনে তা সূদুরপ্রসারী করতে চান?
আপনি হয়তো নিজস্ব ভাবনায় ইতিমধ্যে সফল হয়ে গেছেন যদিও এখন পর্যন্ত তা অর্জিত বা স্বীকৃত হয়নি। আপনি যদি চান তাহলে আপনার সফলতার এই ঘটনাটিকে উৎযাপন করুন যা আপনার কাছে অর্থবহ।
- ৩) আপনি যদি নিজেকে ইতিমধ্যে সফল ভাবেন, তাহলে কীভাবে তা সৃষ্টি করেছেন?
আপনার সফলতার মূলমন্ত্র কি? এই কার্যক্রম এর একটি তালিকা তৈরি করুন যা আপনাকে বিজয় ছিনিয়ে আনতে সহায়তা করেছে। আপনি যদি ইতিমধ্যে সফল হয়েই যান তাহলে নিশ্চয় জানেন যে কোন কাজগুলো আপনাকে সফল করছে। সেই কাজগুলো তাহলে নতুন বছরেরও শুরু করে দিন।
- ৪) আপনি যদি ইতিমধ্যে সফলতা ছিনিয়ে আনতে না পারেন, তাহলে দোষারোপ কাকে করবেন? আপনাকে নাকি অন্য কোনকিছুকে?
এটি খুবই কঠিন প্রশ্ন। কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। যা আমরা সত্যিকার অর্থে অর্জন করতে চাই তা অর্জন করতে না পারার পেছনে অনেক কারণ আছে। এইসব মানসিক অবান্তর ধারনা যা আপনি মনে মনে পোষন করেন তা সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত। নোট করুন বিরূপ মন্তব্যকারী ব্যক্তিদের, আচরণ এবং নিজস্ব ভাবনা যা আপনার চারপাশের পরিবেশ থেকে বাদ দেওয়া দরকার।
- ৫) আপনি নিজেকে বাদ দিয়ে অন্য কারো কাছ থেকে অনুমোদন চাইছেন?
মাঝে মাঝে এটি বলা খুব কঠিন হয়ে পড়ে যখন আপনি অন্যের কাছ থেকে অনুমোদন চান কিন্তু আপনি আপনার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের খোঁজেন। আপনি কী আপনার শিক্ষাদীক্ষা তাদের সাথে ভাগাভাগি করে জয়ের প্রেরণা পান, যদিও এই সম্পাদন আপনার জন্য ভালো না হয়। আপনি যদি অন্যজনের বৈশিষ্টের মান দ্বারা নিজেকে পরিমাপ করেন তাহলে আপনি কখনোই তা অনুভব করতে পারবেন না।
- ৬) অন্যরা কী ভাবছে তা কী আপনি গুরুত্ব দেন?
অন্যরা কি ভাবছে তা আমরা সকলেই গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করি। এটি মানবীয় একটি গুণ। আপনি কি এমন কোনো কাজ করেছেন যা অন্যের কাছে ভালো দেখানোর জন্য কিন্তু আপনার কাছে ভালো অনুভব হয় না? টাকা কী আপনার সামর্থ্যকে অস্পষ্ট করে তুলেছে যে কাজ আপনি উপভোগ করছেন? আপনি কি কখনো ভেবেছেন কাজটি শুধুমাত্র দেখানোর জন্য করছেন?
- ৭) আপনি কি বিশ্বের মধ্যে প্রভাব তৈরী করতে চান?
আপনি কি অন্য মানুষকে সাহায্য করছেন অথবা পৃথিবীতে পরিবর্তন আনছেন (হোক সেটা ছোট) যা আপনাকে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌছাবে। যদি তা না হয়, আপনি জীবনে হয়ত পরিপূর্ণতার অভাব বোধ করবেন। পরিপূর্ণতা প্রেষণা উপলব্ধি করার চাবিকাঠি এবং তা প্রাক্কালে জেগে উঠার শক্তি যোগায়।
- ৮) আপনি সফল এটা অনুভব করতে চান নাকি নিজেকে সফল দেখতে চান?
অধিকাংশ মানুষ তারা যা অনুভব করে তার চেয়েও তাদের কেমন দেখাচ্ছে সেটাকে বেশি গুরুত্ব দেন। আপনি জানেন এটা খুব গুরুত্বপূর্ন যে কোনটি আপনি চান এবং কোনটি আপনার জীবনের জন্য বেশি জরুরি ।
- ৯) আপনি কি বিশ্বাস করেন যে আপনি সুযোগ তৈরি করতে পারেন?
সফল হওয়ার জন্য মূল উপাদানগুলো হলো বিশ্বাস, জেদ এবং দৃঢ় প্রচেষ্টা। প্রতিদিন কিছু নিয়ম চর্চা করুন যা আপনার মস্তিষ্ক থেকে নেতিবাচক সংবাদ গুলো প্রদান থেকে বিরত থাকবে এবং অপ্রয়োজনীয় বিষয় এবং পিছুটান থেকে বিরত রাখবে।
- ১০) আপনার কি এমন কেউ আছে যিনি আপনাকে সফল হওয়ার জন্য মনোযোগশীল করে তোলেন?
সাপোর্ট পাওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হতে পারে সে সঙ্গী, বন্ধু, পরিবারের সদস্য এবং কোচ। আপনার এমন কাউকে দরকার যে যেকোনো পরিস্থিতিতে আপনাকে সাহায্য করবে।
এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করুন এবং তা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারনা রাখুন। নিজের মতো করে নিজের সফলতার সংজ্ঞা খুঁজে বের করুন। এই স্বচ্ছ ধারনাগুলো আপনাকে নির্দেশনাদেবে যখন আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়বেন। প্রতিদিন নিজেকে সফল ভাবার চেয়ে উত্তম কিছু নেই। পাছে লোকে কি বলে তা কোন ব্যাপারই না।