মনোবিদ্যায় পেশার সুযোগ
- ক্যাম্পাস ডেস্ক :
কাজের ধরন এবং কাজের সুযোগ :মানসিক সমস্যা অনেক রকমের হয়। চেতন, অবচেতন এবং অর্ধ-চেতনের দুনিয়ার গভীর অজানা তথ্যের সুলুক-সন্ধান এবং সমস্যার সমাধান করাই সাইকোলজিস্টদের কাজ। একজন সাইকোলজিস্ট কাউন্সেলর হিসেবে কাজ করতে পারে। আমাদের দেশে ক্লিনিকাল সাইকোলজিস্টদের সংখ্যা অত্যন্ত কম। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পৃথিবীতে প্রায় দশ লক্ষ মানুষ পিছু রয়েছে মাত্র একজন মনোবিদ। নিয়ম অনুযায়ী একজন আরসিআই রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত ক্লিনিকাল সাইকোলজিস্টই মানসিকভাবে অসুস্থ রোগীকে সাইকোথেরাপি দিতে পারে। তবে এ দেশে তাদের সংখ্যা কম থাকায় সাধারণ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সাইকোলজিস্টরাই তা দিয়ে থাকেন। সাইকোলজিস্টদের মধ্যে বিশেষ কিছু ভাগ রয়েছে।
ক্লিনিকাল সাইকোলজিস্ট : গম্ভীর মানসিক ব্যাধির শিকার ব্যক্তিদের জন্য এরা থেরাপিস্ট হিসেবে কাজ করেন।
কাউন্সিলিং সাইকোলজিস্ট : এরা মূলত ইন-হাউস কাউন্সিলিং করে থাকেন। রোগীর সঙ্গে কথা বলে তার মনের গভীরে পৌঁছে তার সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করার কাজটাই এরা করে থাকেন। অ্যাডজাস্টমেন্ট ডিসঅর্ডার, ডিপ্রেশন, আত্মবিশ্বাসের অভাব ইত্যাদির সমস্যায় কাউন্সিলিংয়ের প্রয়োজন হয়।
এডুকেশানাল সাইকোলজিস্ট : শিক্ষার্থীদের পড়ার চাপের ফলে কোনও মানসিক বিকার যাতে না দেখা দেয় বা সবকিছুর সঙ্গে মানিয়ে-গুছিয়ে যাতে তারা চলতে পারে তা দেখাই এই সাইকোলজিস্টদের দ্বায়িত্ব। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এদের কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল সাইকোলজিস্ট : যেকোনো ইন্ডাস্ট্রিতে কর্মীদের নানা মানসিক সমস্যার সমাধানের পাশাপাশি, তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক এবং সদ্ভাব বজায় রাখা এবং সুস্থ কাজের পরিবেশ তৈরি করা এদের কাজ। আমাদের দেশে অবশ্য এই ধরনের সাইকোলজিস্টদের প্রচলন নেই তেমন একটা।
স্পোর্টস সাইকোলজিস্ট : খেলার মাঠে খেলোয়াড়দের মানসিক দৃঢ়তা-মনোবল বাড়ানো এবং সঠিকভাবে মোটিভেট করার কাজটাই করে থাকেন এরা।
পাশাপাশি সাইকোলজির ডিগ্রিধারীরা বিভিন্ন সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান, মেন্টাল হেলথ সেন্টার বা রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারেও কাজ করার সুযোগ পেতে পারেন।