পড়ার বিষয় : পুরকৌশল

পড়ার বিষয় : পুরকৌশল

  • ক্যারিয়ার ডেস্ক

সৃষ্টি যেখানে শুরু বলা চলে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বা পুরকৌশলের সূচনাও সেখানে। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পুরনো শাখাগুলোর লিস্টে পুরকৌশলের অবস্থান শীর্ষে। কোনো ভবন বা স্থাপনা নির্মাণের ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট যার ওপর সবচেয়ে বেশি নির্ভর করেন তিনি পুরকৌশলী। তার নকশা, পরিকল্পনা ও দিক নির্দেশনা ছাড়া কাজটি প্রায় অসম্ভবই।

একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার মেধা-মনন কাজে লাগিয়ে এবং সৃজনশীলতা দিয়ে যা নির্মাণ করেন (ভবন, সড়ক-মহাসড়ক, ব্রিজ, উড়ালসেতু) তা জনস্বার্থে সরাসরি কাজে লাগে। এটিই এই পেশার আকর্ষণ। যারা এই ক্রেডিট নিতে আগ্রহী তারাই পড়তে আসছেন পুরকৌশল। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশ-বিদেশে সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন নির্মাণ কাজে পুরকৌশলীদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

প্রসপেক্ট
পুরকৌশলীদের জন্য রয়েছে দেশ-বিদেশে বহুমাত্রিক কর্মক্ষেত্র। পুরকৌশলের একজন গ্রাজুয়েট সরকারি বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকরি করতে পারেন। নিজেও দিতে পারেন ডিজাইন, কনস্ট্রাকশন ও কনসালটেন্সি ফার্ম।এছাড়া বিদেশী সংস্থার বড় বড় উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডেও প্রচুর পুরকৌশলীর কর্মসংস্থান হচ্ছে। এছাড়া দেশে প্রকৌশল, সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরকৌশল পড়ানো হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানে মেধাবীরা চাইলে শিক্ষকতাও করতে পারেন।দেশে রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্ট, সড়ক-মহাসড়ক, উড়ালসেতু নির্মাণের পাশাপাশি নির্মিত হচ্ছে বড় বড় বাণিজ্যিক ভবন, আবাসিক ও শিল্প ভবন। পুরকৌশলী ছাড়া এসব নির্মাণ প্রকল্প চিন্তাই করা যায় না। তাই দেখা যাচ্ছে, পুরকৌশলীদের কাজের জায়গা দিন দিন বাড়ছে।

কাজের ধরন
পুরকৌশলীরা প্রকল্পের পুরোটাই দেখভাল করেন। কাজের ধরন অনুযায়ী তাকে মাঠ ও অফিস দুই ক্ষেত্রেই থাকতে হয়। একজন কায়েন্টের চাহিদা ও সীমাবদ্ধতা বুঝে স্থাপনা নির্মাণ করে তার সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করেন একজন পুরকৌশলী। পুরকৌশলী ভবন ও স্থাপনার স্ট্রাকচারাল ডিজাইন, ডিটেইল স্ট্রাকচারাল প্লান অ্যান্ড ডিজাইন, কনস্ট্রাকশন ও সুপারভিশনের কাজ করেন। এছাড়া দুর্যোগকালীন সময়েও তাদের উপস্থিতি ও পরিকল্পনার দরকার হয়।

কোথায় পড়বেন
দেশের প্রায় সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়েই এ বিষয়ে পড়ার সুযোগ আছে। বুয়েট, কুয়েট, রুয়েট, চুয়েট, ডুয়েট ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়েও এ বিষয়ে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি দেয়া হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম- নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটি, আইইউবি, এআইইউবি, ব্র্যাক, আহ্ছানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। এছাড়া দেশের বেশ কয়েকটি পলিটেকনিক্যাল কলেজেও এ বিষয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রি দেয়া হচ্ছে।

সাফল্যের শর্ত
পুরকৌশল একটি সৃজনশীল পেশা। এখানে ভালো করতে হলে অবশ্যই ক্রিয়েটিভ মনের হতে হবে। যার অবজারভেশন পাওয়ার ভালো তিনি একজন সফল পুরকৌশলী হতে পারেন। ভবনের স্ট্রাকচারাল ডিজাইন করার আগে পারিপার্শিকতা নিপুণভাবে বিচার করার ক্ষমতা থাকতে হবে। দেশ বিদেশের বড় বড় স্থাপনার নকশা সম্পর্কে খোঁজখবর রাখতে হবে। সেই সঙ্গে পুরকৌশলীদের পরিশ্রমী হতে হবে, চ্যালেঞ্জ নেয়ার মতো সাহসী হতে হবে।favicon59-4

Sharing is caring!

Leave a Comment