যোগ্যতা বাড়াই প্রতিদিন

যোগ্যতা বাড়াই প্রতিদিন

  • ক্যারিয়ার ডেস্ক

আমরা এমন অনেকেই আছি যারা কর্মক্ষেত্রে কোনো রকম সময় ধরে দিন পার করে দেই। ঘড়ির কাটা ধরে অফিস যাওয়া আর আসা শুধু। জরুরি কোনো কাজ না পরলে উদ্যোগ নিয়ে কোনো কাজ করতে চাই না। কিন্তু দিন শেষে একটা আত্মগ্লানিতে ভুগি। কিন্তু প্রতি মুহূর্তে আপনি যদি হন কর্মক্ষম, যোগ্যতর তখন দেখা যায় এর বিপরীত চিত্র। এতে যেমন সহকর্মী এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সম্মান লাভ করা যায়, তেমনি কাজে টিকে থাকার নিশ্চয়তাও বাড়ে। সেই সঙ্গে লাভ করা যায় আত্মতৃপ্তি। তাই জেনে নিন কিছু পরামর্শ যা আপনাকে আরও বেশি কর্মক্ষম হতে এবং আত্মতৃপ্তি পেতে সাহায্য করবে।

নিয়মিত পরিকল্পনা : প্রতিদিন কাজ শুরু করার আগে পরিকল্পনা করে নিন। এতে আপনার কাজে যেমন ধারাবাহিকতা আসবে তেমনি তা সফলভাবে সম্পন্ন করার নিশ্চয়তাও বাড়বে। প্রতিদিন ১৫ মিনিট আগে কর্মক্ষেত্রে গিয়ে সাজিয়ে নিতে পারেন আপনার সেদিনের কর্মপরিকল্পনা।

প্রশ্ন করি নিজেকে : প্রতিদিন কাজের ফাঁকে নিজেকে প্রশ্ন করুন, আপনি আপনার সময়ের সঠিক ব্যবহার করছেন কিনা। যে কাজ ১ ঘণ্টায় শেষ হয়ে যায় তা করতে আপনার অনেক বেশি সময় লেগে যাচ্ছে কিনা। এ ধরনের প্রশ্ন ছাপা কার্ড রেখে দিতে পারেন নিজের সামনে। এতে আপনার কাজের গতি বেড়ে যাবে অনেক গুণ।

গুরুত্বপূর্ণ কাজকে প্রাধান্য : প্রতিদিন ছোট বড় হাজারো কাজ এসে জড়ো হয়। সব কাজ শেষ করা সম্ভব হয় না অনেক সময়ই। ফলে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন অনেকেই। তাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো নির্দিষ্ট করে তা শেষ করে ফেলুন। এরপর বাকি কাজের দিকে নজর দিন। অনেক কাজ এক দিনে শেষ করা সম্ভব নাও হতে পারে, এটা মেনে নিন।

বন্ধ থাকুক কম্পিউটার : যদি খুব গুরুত্বপূর্ণ না হয়ে থাকে তবে দৈনন্দিন কর্মপরিকল্পনার সময় কম্পিউটার বন্ধ রাখুন। কাগজে পরিকল্পনাগুলো লিখুন। এতে করে পূর্ণ মনোযোগ দিতে পারবেন কাজের দিকে, ফলে তা ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কম হবে এবং চোখের কিছুটা বিশ্রামও হবে।

মাঝে মাঝে অতিরিক্ত সময় : যদি কোনো কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করা সম্ভব না হয় তবে সুযোগ থাকলে অতিরিক্ত সময় চেয়ে নিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে। তাড়াহুড়োয় কাজ করলে তা ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এই অতিরিক্ত সময় আপনাকে সঠিকভাবে কাজ শেষ করতে সাহায্য করবে, অন্যান্য কাজেও এর প্রভাব দেখতে পাবেন।

সময়ের হাত ধরে : এ দেশে কর্মস্থলে আসা-যাওয়া করাটাই যথেষ্ট শ্রমসাধ্য। কিন্তু যদি আপনার অফিস নিজস্ব পরিবহনের ব্যবস্থা করে থাকে বা নিজের গাড়ি থেকে থাকে তবে এ সময়টার পূর্ণ ব্যবহার করুন। এ সময় অডিও বুক শুনতে পারেন নিজের মোবাইলে বা বই পড়তে পারেন, করতে পারেন সৃজনশীল পরিকল্পনা। এই আনন্দের প্রভাব পড়বে আপনার কাজেও।favicon59-4

Sharing is caring!

Leave a Comment