যে ১০ বই পড়তে বললেন জাস্টিন ট্রুডো
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
বিশ্বনেতারাও বই পড়েন তার প্রমাণ দিলেন কানাডার প্রেসিডেন্ট জাস্টিন ট্রুডো। সম্প্রতি কোরা নামের এক ওয়েবসাইট থেকে ট্রুডোকে জিজ্ঞাসা করা হয় তার পছন্দের বই কোনটি? উত্তরে ট্রুডো লেখেন, আমি প্রচুর বই পড়ি। সারাজীবন ধরে আমি তাই করে এসেছি। আমি যা পেয়েছি পড়েছি। সব কিছু পড়েছি। প্রচুর পরিমাণে। এখন আমাকে তত্ত্ব কথা এবং ব্রিফিংয়ের কাগজ পড়তে হয়। তাই কাল্পনিক কোনো গল্পের নাম বলা আমার জন্য কঠিন। কিন্তু এরপরও তিনি একটি তালিকা দেন। চলুন জেনে নিই কানাডার তরুণ ও আলোচিত প্রধানমন্ত্রীর পছন্দের বই কী কী?
১. আর্নেস্ট ক্লাইনের ‘রেডি প্লেয়ার ওয়ান’ :
রেডি প্লেয়ার ওয়ান বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী নিয়ে একটি উপন্যাস। আর্নেস্ট ক্লাইনের এটাই প্রথম লেখা। ব্লেড রানার থেকে উৎসাহ নিয়ে এ গল্প লেখেন তিনি। স্টিভেন স্পিলবার্গ এ গল্পের কাহিনী নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করছেন। যা ২০১৮ সালে মুক্তি পাবে।
২. এরিক এমানুয়েল স্কিমিটের ‘লা পার্ট ডে লটরে’ :
ফ্রেঞ্চ ভাষায় লেখা এ বইয়ের কোনো ইংরেজি অনুবাদ নেই। হিটলারের জীবন নিয়ে মৌলিক কাহিনী নিয়ে এই বই। তার জীবনের কিছু ঘটনা যদি একটু ভিন্নভাবে ঘটতো তাহলে কী হতো এ বিষয়ে এখানে আলোচনা করা হয়েছে।
৩. এরিক লিউ ও নিক হ্যানোরের ‘গার্ডেনস অব ডেমোক্রেসি’ :
গণতান্ত্রিক সমাজে একজন নাগরিকের কী ভূমিকা পালন করা প্রয়োজন এবং তা কীভাবে গ্রহণ করবে সেটিও এখানে উল্লেখ করা আছে। লিউ এবং হ্যানোরের ধারণা এখানে সাধারণ কিন্তু বৈপ্লবিক। সবারই এ বই পড়া উচিত বলে ট্রুডো মনে করেন।
৪. ডেভিড হ্যাকার ফিশারের ‘চ্যামপ্ল্যাইনস ড্রিম’ :
চ্যামপ্ল্যাইনস ড্রিম মূলত একটি জীবনকাহিনী। স্যামুয়েল ডি চ্যামপ্ল্যাইনস নতুন ফ্রান্সের পিতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি একাধারে যোদ্ধা, গুপ্তচর, নাবিক, আবিষ্কারক, মানচিত্রকার ও চিত্রশিল্পী ছিলেন। খুব সুন্দর ও মনোমুগ্ধকরভাবে তার জীবনকে ফুটিয়ে তুলেছেন ডেভিড হ্যাকার।
৫. স্টিফেন কিংয়ের ‘দ্য শাইনিং’ :
জ্যাক টোরেন্স হোটেলে কেয়ারটেকার হিসেবে চাকরি পায়। হোটেলে সাধারণ সময়ে সে এটার দেখাশোনা করে। এক হিম শীতে সে অনুভব করে হোটেলের ভেতরে অশরীরি শক্তির উপস্থিতি। ভূতুরে কাহিনী নিয়ে এই গল্প।
৬. দ্য স্ট্যান্ড :
স্টিফেন কিংয়ের এটি বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী। বায়োলজিক্যাল ল্যাব থেকে একজন রোগী পালিয়ে যায়। সে জানে না তার শরীরে মারাত্মক অস্ত্র রয়েছে। এক ধরনের ফ্লুয়ের জীবাণু তার শরীরে রয়েছে যা সারা বিশ্বকে ধ্বংস করতে যথেষ্ট।
৭. নিল স্টিফেনসনের ‘স্নো ক্র্যাশ’ :
হিরো প্রোটাগনিস্ট বাস্তবে আঙ্কল এনজোর পিজ্জা সরবরাহ করে বাড়ি বাড়ি। কিন্তু কম্পিউটারের গেমের ভার্চুয়াল জগতে সে একজন যোদ্ধা ও রাজকুমার। হ্যাকারদের ছড়িয়ে দেওয়া গেমের এই ভাইরাসের গভীরে ডুবে যায় সে। কীভাবে সে ভার্চুয়াল জগতের শয়তানের সঙ্গে লড়াই করে সেটা এ গল্পে রয়েছে। এটিও বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী। বোঝাই যাচ্ছে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর প্রতি আলাদা আকর্ষণ রয়েছে।
৮. ক্রিপটোনোমিকন :
দুটি ভিন্ন সময় নিয়ে এ গল্পের প্লট। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও ইন্টারনেটের সময়ে পাঠককে নিয়ে পরিভ্রমণ করেছেন লেখক। এই দুই সময়ের গুপ্ত কোড ব্যবহার নিয়েই এই গল্প।
৯. ট্যাড উইলিয়ামের ‘দ্য ড্রাগনবোন চেয়ার’ :
এটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক একটি কাহিনী। আধুনিক লেখকরা তাদের কল্পনার জগতে কী কী চিন্তা করেন তা খুব সুন্দর করে এখানে ফুটিয়ে তুলেছেন। ট্যাড উইলিয়ামের এটা প্রথম উপন্যাস। সিমন নামের এক চরিত্রের মহাকাব্যিক অভিযান নিয়ে লেখা হয়েছে গল্পটি।
১০. ‘শ্যাডোমার্চ’ :
শ্যাডোমার্চ ট্যাড উইলিয়ামসের লেখা অসাধারণ বই। এটিও একটি কল্পকাহিনী। এই বইয়ের মোট ৪টি অংশ আছে। সিরিজ আকারে এটি বাজারে আসে। পাঠকের মনে সহজেই খোরাক জোগাবে এই বই।