সিরামিক শিল্পে ক্যারিয়ার
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
টাইলস, স্যানিটারি (কমোড, বেসিন) ও টেবিলওয়্যার (বাসন-কোসন, ফুলদানি, শো-পিস ইত্যাদি)—এই তিনটি বিভাগ আছে সিরামিকে। তবে বিভাগ তিন ধরনের হলেও মূল কাজ একই রকম। এটি সৃজনশীল একটি পেশা। পণ্যের নকশা, কালার ম্যাচিং, গুণগত মান ঠিক আছে কি না, তা দেখা সিরামিক প্রকৌশলীর মূল কাজ। এ ছাড়া সিরামিক প্রকৌশলী তার সৃজনশীলতা ও বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে নিত্যনতুন সিরামিক পণ্যের ধারণা দিয়ে নতুন পণ্য উত্পাদন করতে পারেন।
এই পেশায় ভালো করতে হলে কাজটি যেহেতু সৃজনশীল, তাই এ কাজে মেধা ও মননের সঠিক ব্যবহার খুবই জরুরি। নতুন পণ্য তৈরিতে প্রকৌশলীকে যুগের চাহিদার কথা মাথায় রাখতে হবে। প্রকৌশলীকে উত্পাদিত পণ্যের গুণগত মান যেন ভালো হয়, সবসময় সেদিকে মনোযোগ দিতে হবে। কাজের পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। সিরামিক পণ্যতে নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে আসতে হবে। নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে আসতে পারলে এই পেশায় দ্রুত ভালো অবস্থান অর্জন করা সম্ভব হবে।
সৃজনশীল এই পেশায় পড়ালেখা চলাকালেও চাকরি করে আয়ের সুযোগ থাকে। চাকরির শুরুতে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা বেতন হলেও তা দ্রুত ৭০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা কিংবা এরও বেশি হয়ে যেতে পারে। তবে তা পুরোটাই নির্ভর করবে একজন সিরামিক প্রকৌশলীর কাজের দক্ষতা, নিষ্ঠা এবং সৃজনশীলতার ওপরে।
দেশে সিরামিক নিয়ে পড়ালেখার জন্য সরকারি-বেসরকারি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়ার সুযোগ নেই। তবে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গ্লাস অ্যান্ড সিরামিকসে চার বছর মেয়াদি সিরামিক টেকনোলজি ডিপ্লোমা কোর্স এবং দুই বছর মেয়াদি ট্রেড কোর্স চালু আছে। চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স ৮টি সেমিস্টারে বিভক্ত। এই কোর্সে আসন সংখ্যা ৮০। দুই বছরের সিরামিক ট্রেড কোর্সে ছয় সপ্তাহ বরাদ্দ রয়েছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিংয়ের জন্য। অন্যদিকে এসএসসি (ভোকেশনাল) সিরামিক ট্রেডে আসনসংখ্যা ৩০।
প্রতিবছর এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের এক মাসের মধ্যেই সাধারণত ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর এসএসসি অথবা সমমান পরীক্ষায় সর্বনিম্ন জিপিএ ৩সহ গণিতে জিপিএ ৩ থাকতে হবে। এমসিকিউ পদ্ধতিতে ৫০ নম্বরের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থী মেধাক্রমে ভর্তির সুযোগ পায়। এসএসসি ভোকেশনালের জন্য ১৫ ভাগ, মেয়েদের জন্য ১০ ভাগ, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৬ ভাগ এবং ২ ভাগ প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষিত। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইটেও ভর্তি বিষয়ক নানা তথ্য খুঁজে পাবেন।