অফিসে কাজের চাপ বেশি ?

অফিসে কাজের চাপ বেশি ?

  • ক্যারিয়ার ডেস্ক

দিনের বড় একটা সময় ব্যয় করেন অফিসে। তবু দিন শেষে অফিসের কাজের চাপ মাথায় নিয়ে বাড়ি ফেরেন। এদিকে দৈনন্দিন জীবনের নানা বিষয়ও মাথায় চাপ তৈরি করে। এই হাজারো চাপ মাথায় নিয়ে আমাদের এগোতে হয়। চাপের ফলে বাড়তে থাকে দুশ্চিন্তা। আর অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা মাথায় ঢোকা মানে মানসিক হতাশায় ডুবে যাওয়া। এর ফলে অফিস এবং পরিবার- দুটোতেই লেগে যায় গণ্ডগোল! চলুন, কাজের চাপ কাটিয়ে ওঠার পথ খুঁজে নিই:


প্রতিক্রিয়া নয় বরং কাজ

যেই পরিস্থিতিতে আমরা যতটুক কাজ করতে সক্ষম তার বাড়তি কাজ দেওয়া হলেই চাপ অনুভব করি। তখন মানসিকভাবে অপ্রস্তুত হয়ে পড়ি। তখন যতটুকু কাজ ঠিকঠাক ও নিশ্চিন্তে করতে পারি তাতেও যেন সমস্যা তৈরি হয়। যেন দিশেহারা হয়ে পড়ি। এমন পরিস্থিতিতে কোনো প্রতিক্রিয়ায় না গিয়ে যতটুকু সম্ভব কাজ করা উচিত। শুরুতে একটু সমস্যা হলেও আস্তে আস্তে তা কাটিয়ে ওঠা যাবে। তবে বহনের মতো না হলে তা নিয়ে সরাসরি কথা বলা যেতে পারে। তবে অফিসের কাজ কখনও বাড়িতে টেনে নেওয়া যাবে না। এতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দূরত্ব বেড়ে যাবে।

নিন গভীর নিঃশ্বাস
মেডিটেশনে অভ্যস্ত যারা তারা ঠিকই জানেন এর গুরুত্ব। নির্দিষ্ট একটা সময় নিয়ে মেডিটেশনে বসুন। নিন ভেতর থেকে দীর্ঘ নিঃশ্বাস। আস্তে আস্তে তা ছাড়ূন। নির্দিষ্ট সময় মেডিটেশন করে ফল না পেলে এবং দুশ্চিন্তা বাড়তে থাকলে মনোরোগ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

দূর করুন বাধা
যে কোনো চাপ থেকে কাটিয়ে ওঠার মন্ত্র কাজ থেকেই খুঁজে নিতে পারেন। কোনো কাজের সমাধান মোবাইলে হলে তা মোবাইলেই করুন। মেইলের মাধ্যমে যা করা সম্ভব তা মেইলেই করুন। দরজা বন্ধ করে বসে থাকার মাধ্যমে সমাধান নেই। যে কোনো বাধা কাটিয়ে উঠতে শিখুন কাজের অভিজ্ঞতা থেকেই। আর অতিরিক্ত চাপের সময় অফিসের সহকর্মীদের সহযোগিতা নিন। আমরা বেশিরভাগ সময় কাজ নিজেই করার চেষ্টা করি, সে ক্ষেত্রে সহকর্মীদের সঙ্গে পরামর্শ করলে কাজ দ্রুত করার উপায় পাওয়া যায়।

টানা নব্বই মিনিটের বেশি নয়
আমরা কাজের সময় পেছন থেকে বারবার যেন ধাক্কা খাই। কেউ যেন বারবার বলে, জলদি করো, জলদি করো। আপনি কাজ করেই যান। দিনের আট থেকে দশ ঘণ্টা সময় ধরে আপনি টানা কাজ করেন। এমন কখনোই করা যাবে না। আপনি টানা নব্বই মিনিটের ওপর কখনও কাজ করবেন না। কাজে বিরতি নিন। সবুজে চোখ রাখুন। আড্ডা দিন। ফের কাজে মন দিন। নতুন শক্তি নিয়ে কাজ করতে পারবেন।

সঠিক খাবার এবং ভালো ঘুম
কী খাচ্ছেন সেটাও মাথায় রাখতে হবে। পুষ্টিকর এবং ভালো খাবার খান। এতে নিজেকে সুস্থ রাখতে পারবেন। আর সর্বনিম্ন ছয় ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। আর এই ঘুমটা হতে হবে নিয়মিত। এতে চাপ কাটিয়ে উঠতে পারবেন খুব সহজেই। মাঝেমধ্যে কাজের বিরতিতে কোথাও ঘুরে আসতে পারেন। আর পরিবার নিয়ে কর্মবিরতি উপভোগ করুন। এতে মন ভালো থাকবে আর কাজেও মনোযোগ আসবে।

তবে কাজের চাপ কাটানোর জন্য সবার আগে প্রয়োজন আত্মবিশ্বাস এবং আস্থা। আত্মবিশ্বাসে ভর করে যে কোন চাপ সামলে উঠতে পারবেন অনায়াসে।favicon59-4

Sharing is caring!

Leave a Comment