সোনালি ভবিষ্যৎ গড়তে বিএসডিআই
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
তথ্যপ্রযুক্তির জোয়ারে আজ সব বৃত্তিমূলক শিক্ষা উন্মুক্ত। আর সেই শিক্ষাকেই সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট (বিএসডিআই)। প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার বিভিন্ন ধাপে ধরে রেখেছে আপসহীন মান আর স্বকীয়তা। ফলে বাংলাদেশের প্রথম কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে তারা অর্জন করেছে ভারতের (আইআইটি) কর্তৃক এডুকেশন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড-২০১২। এ ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক ভাষা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ কাউন্সিলের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষার মানোন্নয়নের জন্য যৌথভাবে পরিচালনা করে আসছে বই পড়া কর্মসূচি, যেটি বেসরকারি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে নতুন এক সংযোজন। শুধু তা-ই নয়, ইনোভেটর এসএফটি এবং এটিএসের পার্টনারশিপের আওতায় ড্যাফোডিল ফাউন্ডেশন গড়ে তুলেছে একটি শিক্ষা নেটওয়ার্ক। এখান থেকে পড়ালেখা শেষ করার পরও রয়েছে ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত নিজস্ব বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি সহকারে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করার সুযোগ।
বর্তমান সময়ে শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার পরিকল্পনায় সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে কর্মমুখী শিক্ষা। এর মধ্যে আবার সবার থেকে এগিয়ে রয়েছে কারিগরি শিক্ষা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি।
কারিগরি শিক্ষা সম্প্রসারণের ফলে আমাদের দেশে স্বয়ংক্রিয় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিশেষ করে স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন কিংবা অপটিক্যাল ফাইবারসহ ইন্টারন্যাশনাল নেটওয়ার্কিংয়ে কম্পিউটার ও টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের রয়েছে অনন্য অবদান। শুধু তা-ই নয়, রফতানি আয়ের সিংহভাগ অর্জন করা পোশাক শিল্পের সঙ্গেও হাজারও শ্রমিক এবং সুদক্ষ বস্ত্র প্রকৌশলীরা রয়েছেন। কারিগরি শিক্ষার ফলেই ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা এ শিল্পকে প্রতিযোগিতামূলক বাজারেও টিকিয়ে রেখেছেন দক্ষতার সঙ্গে। এছাড়া স্থাপত্যবিদ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার প্রভৃতি বিষয় থেকে উত্তীর্ণ প্রকৌশলীরাও নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে সাফল্য নিয়ে আসছেন।
বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি এবং কারিগরি শিক্ষার এ সম্ভাবনার দিকে লক্ষ রেখে ড্যাফোডিল ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট (বিএসডিআই) যাত্রা শুরু করে ২০০৩ সালে। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন প্রোগ্রামে ডিপ্লোমা ও কম্পিউটার প্রশিক্ষণে এক নতুন ধারার সূচনা করতে সমর্থ হয়েছে। এখানকার বিভিন্ন প্রোগ্রামের মধ্যে রয়েছে চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার, টেলিকমিউনিকেশন, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স, টেক্সটাইল এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং। এখান থেকে একজন শিক্ষার্থী ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পাসের পর চাকরির পাশাপাশি সান্ধ্যকালীন ব্যাচে দেশি-বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্বল্প সময়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বিএসসি/এমএসসি/এমবিএ ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ লাভ করতে পারেন। ৮১২৬৩২৪, ০১৭১৩৪৯৩২৪৩ নম্বরে ফোন করে এসব কোর্সের পড়ালেখা, চাকরির বাজারের সম্ভাবনা এবং অন্যান্য বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমার মেয়াদ ও ভর্তির যোগ্যতা
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাক্রম ৪ বছর মেয়াদি ৮ সেমিস্টারে সম্পন্ন হয়। ৬ মাসের সেমিস্টার পরিচালিত হয় বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের নিয়ন্ত্রণে। এসব কোর্সের সার্টিফিকেটও প্রদান করে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড। এসব কোর্সে ভর্তির জন্য এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ-২.৫ পেতে হয়। এইচএসসি উত্তীর্ণ বা অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরাও ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। বয়স, পাসের সন ও বিভাগ শিথিলযোগ্য।
বিএসডিআইয়ের বিশেষত্ব
সফল শিক্ষার্থীদের ড্যাফোডিল গ্রুপেই ইন্টার্নশিপ ও চাকরির সুবিধা, দেশ-বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারী অভিজ্ঞ শিক্ষকম-লী, তুলনামূলকভাবে কম খরচ, আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ল্যাব ও লাইব্রেরির সুবিধা, দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য ড্যাফোডিল ফাউন্ডেশন কর্তৃক স্কলারশিপ, ডিপ্লোমা শেষে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করার সুযোগ বিএসডিআইকে এগিয়ে রেখেছে। এছাড়া ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে ভাষা শিক্ষার সনদও পাওয়া যাবে। যোগাযোগ : রোড-১২, বাড়ি-২/বি, মিরপুর রোড, ধানমন্ডি।