নতুন প্রজন্মের পছন্দের শিক্ষা
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
বর্তমান প্রেক্ষাপটে কর্মমুখি শিক্ষা তথা ডিপ্লোমার গুরুত্ব অপরিসীম। এই শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যে উচ্চমানের দক্ষ জনশক্তি দরকার তা সরবরাহ করে আসছে ডিপ্লোমা প্রতিষ্ঠানগুলো। একমাত্র ডিপ্লোমা শিক্ষাই দিচ্ছে এসএসসির পর মাত্র চার বছরের কোর্স গ্রহণ করে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ। বেকারত্বের বিপরীতে চাকরির সহজলভ্যতার কারণে নতুন প্রজন্ম দিন দিন এ শিক্ষার দিকে ঝুঁকছে।
কর্মক্ষেত্র: ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স সম্পন্ন করে রয়েছে দেশের পাশাপাশি বিদেশে চাকরির অবারিত সুযোগ। বিশেষত ‘পাওয়ার হাউস, বিদ্যুত্ বিতরণ কোম্পানি, টেক্সটাইল, সিরামিক কারখানা, টেলিকমিউনিকেশন সেক্টর, হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিচার্স ইন্সটিটিউট, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ, রাজউক,কৃষি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়সহ আরো অনেক সেক্টরে চাকরি করার সুযোগ পাবে শিক্ষার্থীরা। মনে রাখতে হবে উত্পাদনমুখী প্রতিষ্ঠানগুলো ভালো ফলাফল ও প্র্যাকটিক্যাল এই দুটির মূল্যায়নই বেশি করে। চাইলে ডিপ্লোমার পর ব্যবসা করে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ রয়েছে।
পড়ার বিষয়সমূহ:বাংলাদেশে ৪৯টি সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট রয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলা শহরগুলোয় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এসব পলিটেকনিকগুলো। কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধিভুক্ত এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল, মেরিন, ইলেক্ট্রনিক্স টেক্সটাইল, কম্পিউটার, আর্কিটেকচার, ফুড, মেকানিক্যাল, কেমিক্যাল, অটোমোবাইল, এনভায়রনমেন্ট, রিফি৭্রজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং, ইন্সট্রুমেন্টশন অ্যান্ড প্রসেস কন্ট্রোল, টেলিকমিউনিকেশনসহ বিভিন্ন বিষয় ভর্তির সুযোগ রয়েছে। চার বছরে মোট আটটি সেমিস্টারে পাঠদান করা হয়ে থাকে। আসন সংখ্যা ৪০ থেকে ১৬০টি পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে অতিরিক্ত আরও ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়। চারশর অধিক বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকেও এ বিষয় পড়ার সুযোগ রয়েছে।
পড়াশোনার খরচ: সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা সম্পন্ন করতে প্রশাসনিক খরচ হবে কম বেশি ৫০ হাজার টাকা। বেসরকারি পলিটেকনিকে প্রতিষ্ঠান ও বিষয়ভেদে খরচ ৯০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। তবে সকল গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীর আর্থিক সুবিধার জন্য বিশ্বব্যাংক ও কানাডার যৌথ উদ্যোগে রয়েছে মাসিক আটশত থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত বিশেষ বৃত্তির ব্যবস্থা। ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের উচ্চশিক্ষার জন্য রয়েছে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় । পাশাপাশি যে কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এমনকি দেশের বাইরে থেকে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করা যাবে।
ভর্তির যোগ্যতা
ভর্তি পরীক্ষা তুলে দিয়ে বর্তমানে এসএসসির ফলাফল ও বিষয় ভিত্তিক পছন্দকে ভর্তির মানদণ্ড হিসাবে বিবেচনা করা হয়। আবেদনের জন্য সাধারণ গণিত বা উচ্চতর গণিতে জিপিএ ৩.০০ সহ কমপক্ষে মোট জিপিএ ৩.৫০ থাকতে হবে। তবে মেয়েদের ক্ষেত্রে মোট জিপিএ ৩.০০ হলেই হবে। ও’ লেভেলের যে কোনো একটি বিষয়ে ‘সি’ ও ‘ডি’ গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণরা আবেদন করতে পারবে। চলতি বছর বাদেও পূর্ববর্তী দুই বছরে এসএসসি বা সমমান পাস করা শিক্ষার্থীরাই কেবল আবেদন করার যোগ্যতা রাখে। চলতি বছর ১৩ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করা হবে। ৭ জুন ভর্তি ফলাফল প্রকাশ আর ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করে ক্লাস শুরু হবে ১১ আগস্ট। ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েব সাইট www.techedu.gov.bd থেকে জানা যাবে।