নিজেই করুন নিজের ব্র্যান্ডিং
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
আপনি কত্ত কত্ত কাজ করছেন। আর আপনার পাশেরই একজন ছোট কোনো কাজ করে ঢাকঢোল পিটিয়ে বেশ আলোচনায় চলে এসেছেন। বলি, এতে করে আপনি আরও কোণঠাসা না হয়ে মেধাকে কাজে লাগিয়ে নেমে পড়ূন প্রচারণায়। এখন এত্ত এত্ত মিডিয়া, কে রাখে কার খোঁজ! তাই আপনার প্রচারণার প্রাথমিক ভারটা নিজের কাঁধেই নিন। তার পরেরটা সময়ই বলে দেবে। তবে এ ব্র্যান্ডিংটাও হওয়া দরকার স্মার্ট ও আধুনিক। চলুন, পার্সোনাল ব্র্যান্ডিংয়ের রুটে পা বাড়াই:
জাঁকজমক ব্র্যান্ড
জাঁকজমক বা চাকচিক্য বলতে যা ইচ্ছা তা কিন্তু নয়। আপনার ব্র্যান্ডের ডিজাইনটি হতে হবে আধুনিক এবং রুচিশীল। তা ছাড়া এটি এগোতে থাকবে অন্যদের সঙ্গে একটি লিখিত যোগাযোগ রক্ষা করে। আপনি হয়তো সঠিকভাবে কিছু বলছেন; কিন্তু সিভিতে গোলাপি ফ্রন্ট ব্যবহার করা কিংবা ওয়েবসাইটে খুবই নরমাল ছবি ব্যবহার করলে মানুষ আপনাকে কোনোভাবেই গুরুত্ব দিতে চাইবে না। আপনি প্রচারণায় সব সময় ভালো কথা বলুন এবং সিভি, কভার লেটার, টুইটার, ব্লগ এবং ওয়েবসাইটে ব্যবহূত রঙ ও ফ্রন্টের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। সব কিছুতে আধুনিক এবং পরিমিতির ছোঁয়া যেন থাকে।
সেলফি ঝুঁকি
লিঙ্কডিন, ফেসবুক থেকে শুরু করে যে কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রোফাইলে একটি প্রফেশনাল ছবি আপনার পুরো ব্যক্তিত্বকে অন্যরকম মাত্রা প্রদান করবে। এ ক্ষেত্রে কাউকে দিয়ে আলাদা ছবি তুলিয়ে নিন। সেলফি অথবা ক্রপ করা ছবি থেকে দূরে থাকুন। দেখা গেল আপনি এমন একটি ক্রপ করা ছবি ব্যবহার করলেন যেখানে আপনার কাঁধে রাখা বন্ধুর হাতটি স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। এমন ছোটখাটো ভুল আপনাকে কিন্তু মূল লক্ষ্য থেকে অনেক দূরে সরিয়ে দেবে। অন্যরা এর মাধ্যমেই কিন্তু আপনাকে যাচাই করবে। ছবিটা দেখেই প্রাথমিকভাবে তারা আপনার সম্পর্কে একটা ধারণা নিয়ে নেবে মনে মনে। তাই এসব ছোটখাটো ভুল মাথায় রাখবেন। আর ছবি তোলার সময় হাসি মুখে ছবি তুলুন। পারলে পাঁচটা ছবি থেকে বাছাই করে ভালো এবং হাসিমাখা ছবিটি ব্যবহার করুন।
কাজের সাফল্য উপস্থাপন
লিঙ্কডিন আপনাকে কোনো স্পোল প্রজেক্ট যোগ করার সুযোগ দেবে না; কিন্তু আপনি আপনার কাজ এবং অর্জনগুলো প্রদর্শনের জন্য অন্য কোনো মাধ্যম ব্যবহার করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে আপনার নিজের ওয়েবসাইট, ব্লগ এবং অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগের সব সাইটই আপনাকে অনেক সহায়তা করবে।
ট্যাগলাইন
আপনার ব্র্যান্ডের জন্য তিন শব্দের একটি ট্যাগলাইন তৈরি করুন। ট্যাগলাইনটি আপনার লিঙ্কডিন, টুইটার, ওয়েবসাইট এমনকি ব্যক্তিগত সিভির ছবির অংশেও ব্যবহার করতে পারেন। তবে অবশ্যই প্রফেশনের কথা মাথায় রাখবেন। এসব করতে গিয়ে প্রফেশনাল আচরণের কথা আবার ভুললে চলবে না। আপনার সব আচরণই যেন হয় প্রফেশনাল।
সত্যিকারের আপনি
দিন শেষে আপনার ব্র্যান্ডটি মূল্যহীন, যদি তা সত্যিকারের আপনাকে প্রকাশ না করে। আপনার ব্র্যান্ড তৈরি করার আগে সময় বের করে নিয়ে আপনার নীতি, দক্ষতা, প্যাশন, বৈশিষ্ট্যগুলো ভালোভাবে পর্যালোচনা করুন। সব সময় ভুল তথ্য প্রদান থেকে দূরে থাকুন। কীভাবে নিজেকে উপস্থাপন করবেন অথবা একজন নিয়োগকর্তা এবং আপনার সহকর্মীরা আপনার সম্পর্কে কী জানতে চান তা নিয়ে চিন্তা করুন এবং প্রকাশ করুন। আর এভাবেই সাফল্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান আপনার নিজস্ব ব্র্যান্ড।