এখনই না বলুন ৭ বদভ্যাসকে
ক্যারিয়ার ডেস্ক
১
পরদিনের কাজের তালিকা না করে রাখা
সাধারণত করিৎকর্মা মানুষ পরদিনের কাজের তালিকা আগের দিন রাতেই করে রাখে। সকালে উঠে ফ্রেশ মনে তালিকা ধরে ধরে কাজগুলো সারবেন, এটাই হওয়া উচিত। তা না করে যদি সকালে উঠে তালিকা করতে বসতে হয় তাহলে আপনাকে পিছিয়ে পড়তে হবে অনেকখানি। তাই কাজের তালিকা আগেই করে রাখুন।
২
সকালে নাশতা না করা
সারাদিনের কাজের যে মূল শক্তি, সেটা আসে সকালের নাশতা থেকে। তাই সকালের নাশতাটা কিছুতেই বাদ দেওয়া উচিত নয়। কথায় বলে, সকালের নাশতা সারতে হয় রাজার মতো। সময় নিয়ে, পুষ্টিকর খাবার দিয়ে পেট ভরে সকালের নাশতাটা সারুন। সারাদিন আপনার ভালো যাবে।
৩
ঘন ঘন ফেসবুক দেখা
এই অভ্যাস মনটাকে অনেক অস্থির করে তোলে। ঘন ঘন ফেসবুক চেক করার অভ্যাসটা মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। সকালে ঘুম থেকে উঠে বা ব্যস্ততার মধ্যেও যদি মাথায় সব সময় ফেসবুক ঘুরতে থাকে, তাহলে সারাদিনের কাজগুলো সত্যিকার অর্থে জটিল হয়ে উঠবে।
৪
পানি কম পান করা
অনেকেই কর্মক্ষেত্রে খুব ঘন ঘন চা কিংবা কফি পান করেন, কিন্তু পানি পান করে থাকেন খুব কম। অথচ পানির অভাবে শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে, খাদ্য পরিপাকে সমস্যা দেখা দেয় এবং একসময় শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। কাজ করার আর ইচ্ছা ও শক্তি কোনোটাই থাকে না। তাই ক্যাফেইন কম, পানি বেশি করে পান করুন।
৫
কাজ ফেলে রাখা
যে কাজটা আপনি আজ এখনই করতে পারবেন, সেটা ফেলে রাখবেন না। এতে করে একসময় দেখবেন আপনার কাজের পাহাড় জমে গেছে। সেই কাজগুলো সারতে গিয়ে যেমন আপনার নাস্তানাবুদ হতে হবে, তেমনি তাড়াহুড়ার কারণে কাজের মানও ভালো হবে না।
৬
মেজাজ হারানো
কাজের সময় অনেক ক্ষেত্রে বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এসব পরিস্থিতিতে মেজাজ হারালে কাজ এগোনো যায় না। কষ্টকর হলেও বিরূপ পরিস্থিতিতে মেজাজ ধরে রাখা অসম্ভব নয়। এটা শুধু কিছুদিনের অভ্যাসের ব্যাপার। দৃঢ়তার সঙ্গে এই অভ্যাসটা রপ্ত করতে হবে।
৭
যখন-তখন ঘুমিয়ে পড়া
অফিসে কাজ করতে করতে চেয়ারেই হোক কিংবা টিভি দেখতে দেখতে সোফায় অনেকেই আছেন যখন-তখন ঘুমিয়ে পড়েন। এটা খুবই খারাপ স্বভাব। এতে করে আপনার সঠিক ঘুম তো হবেই না, বরং যখন সত্যিকার অর্থে ঘুমানোর দরকার তখন আর ঘুম আসবে না। কাজ শেষ করে কখন ঘুমাতে যাবেন, কয় ঘণ্টা ঘুমাবেন তার একটা রুটিন করে সেই মতো ঘুমান।