চাকরি পেতে ‘আইকিউ’ বাড়ান
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
চাকরি পেতে হলে অনেকগুলো বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হয়। যতোগুলো বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হয় তার মধ্যে আইকিউ অন্যতম। এমন কোনো পরীক্ষা নেই যেখানে বুদ্ধি বৃত্তিক প্রশ্ন থাকে না। শর্ট কোশ্চেন, রিটেন কোশ্চেন কিংবা ভাইভা- সর্বত্রই এই আইকিউর প্রচলন বিপুলভাবে পরিলক্ষিত হয়। বিসিএসের মতো কঠিন পরীক্ষাগুলোতেও অনেকে এই আইকিউর জন্য পিছিয়ে পড়েন। অথচ তিনি রিটেন পরীক্ষায় ভালো করেছেন এবং তার একাডেমিক পরীক্ষার রেজাল্টও অনেক ভালো। একজন মানুষের দু’রকম বয়স থাকে- মেন্টাল এজ বা মানসিক বয়স এবং ক্রনোলোজিক্যাল এজ বা কালক্রমিক বয়স। দেখা যায়, একজন মানুষের ৩০ বছর বয়স; কিন্তু তার চিন্তাভাবনা অর্থাত্ বুদ্ধির দৌড় ১৫ বছরের বালকের মতো। আবার অনেকে আছে বয়স কম; কিন্তু কাজের ধরন দেখে বোঝা যায় তার বয়স আরও বেশি।
আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি যে, আমাদের দেশের পড়ালেখা ব্যবস্থায় মানসিক দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য তেমন কোনো উদ্যোগ না থাকলেও বড় বড় চাকরির পরীক্ষাগুলোতে আইকিউ একটা কমন ব্যাপার। তাই পড়ালেখা শেষ করে একটি ছেলে বা মেয়েকে এ বিষয়ে প্রস্তুতির জন্য প্রচুর পড়াশোনা করতে হয়। হ্যাঁ, এ কথা বাস্তব যে, মানসিক দক্ষতা কোনো বংশ পরম্পরার ব্যাপার নয়; নিয়মিত চর্চার কারণে মানুষের মানসিক দক্ষতা বৃদ্ধি হয়। আর এ কাজটা ছোটবেলা থেকে মানুষের মধ্যে তৈরি করে নিতে হয়। কেননা বিজ্ঞানীদের ধারণা, একটি ছেলে বা মেয়ের বয়স যখন ১৬ বছর হয়ে যায় তখন আর মানসিক বৃদ্ধি হয় না।
সুতরাং এটি ছোটবেলা থেকেই বৃদ্ধির চেষ্টা করতে হয়। এবার জানা দরকার, কেন আইকিউ দরকার? দরকার এই কারণে যে, বাস্তব জীবনে নানা সমস্যার মুখোমুখি আমাদের হতে হয়, যেখানে একাডেমিক পড়াশোনা খুব একটা কাজে লাগে না। নিজের বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এ জন্য বড় একটি পদে চাকরি পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে বুদ্ধিমত্তার স্কেলে নিজেকে প্রমাণ করতে হয়।