চাকরির পোর্টাল স্কিল জবস চালু করছে ‘ক্যারিয়ার মেনটরিং প্রোগ্রাম’

চাকরির পোর্টাল স্কিল জবস চালু করছে ‘ক্যারিয়ার মেনটরিং প্রোগ্রাম’

  • ক্যারিয়ার ডেস্ক

চাকরিপ্রত্যাশীদের জন্য ক্যারিয়ার মেনটরিং প্রোগ্রাম ফর এমপ্লয়মেন্ট (Career Mentoring Program for Employment) নামে একটি অনলাইন ক্যারিয়ার বুটক্যাম্প সিরিজ চালু করতে যাচ্ছে দেশের শীর্ষস্থানীয় চাকরির পোর্টাল স্কিল ডট জবস (Skill.Jobs)। আগামী ১২ ও ১৩ এপ্রিল ২০২১ অনুষ্ঠিত হবে এই সিরিজের প্রথম পর্ব। দুই দিনের এই প্রোগ্রামে থাকছে তিনটি অনলাইন সেশন, সিভি রাইটিং, এমপ্লয়াবিলিটি টেস্ট, চাকরি ও ইন্টার্নশিপের সুযোগসহ ক্যারিয়ার উন্নয়নের প্রয়োজনীয় সকল সমাধান। সেশনগুলো পরিচালনা করবেন দেশের খ্যাতিমান ক্যারিয়ার বিশেষজ্ঞ ও ড্যাফোলি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষকবৃন্দ। কোনো ফি ছাড়াই শুধু অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে সেশনে অংশগ্রহণ করা যাবে। রেজিস্ট্রেশন লিংক: https://forms.gle/H6AyH5Sf2X8rmyNx7

এই প্রোগ্রামে স্কিল জবসের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে থাকছে বাংলাদেশের অন্যতম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ক্যারিয়ার ডেভলপমেন্ট সেন্টার। দুই দিনের এই প্রোগ্রামে যারা অংশ নেবেন তাদের প্রত্যেককে অনলাইন সার্টিঠিকেট প্রদান করবে স্কিল জবস, তবে এ জন্য প্রদান করতে হবে মাত্র ২০০ টাকা ফি।

আয়োজকরা জানান, ২০০৯ সাল থেকে ক্যারিয়ার সংক্রান্ত বিভিন্ন সেবা প্রদান করার মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক চাকরীপ্রত্যাশী এবং চাকরিদাতাদের কাছে আস্থা অর্জন করতে পেরেছে স্কিল জবস। এরই ধারাবাহিকতায় এবার আয়োজন করছে ক্যারিয়ার মেনটরিং প্রোগ্রাম। এধরনের ভার্চুয়াল প্রোগ্রামে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে চাকরিপ্রার্থীরা তাদের সৃজনশীলতার পাশাপাশি আত্ববিশ্বাস বাড়ানো ও চলমান জ্ঞানকে সম্মৃদ্ধ করতে পারবে বলে বিশ্বাস করে স্কিল জবস।

আয়োজক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়, কোভিড-১৯ এর গত বছরের ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই আবারও সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই মহামারির দ্বিতীয় আতঙ্ক। সারা দেশে চলছে লকডাউন। এমন পরিস্থিতিতে চাকরি প্রত্যাশীদের মধ্যে বিরাজ করছে এক ধরনের অনিশ্চয়তা। অন্যদিকে চাকরীদাতারাও পড়ছেন যোগ্য প্রার্থী প্রাপ্তির মহা সংকটে। সরকার ঘোষিত সিমীত চলাচলের এই দুঃসময়ে অনেককেই ঘরে থাকতে হবে বেশি। দুঃশ্চিন্তা আর উৎকন্ঠায় এই দুর্যোগ কারো জন্য হতে পারে অভিশাপ। তবে উচ্চাকাঙ্ক্ষা ও সদিচ্ছা থাকলে এই সময়টাকে সঠিক ভাবে ব্যাবহার করা যায়। বিভিন্ন সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে, কিংবা অনলাইনে শিক্ষামুলক প্রোগ্রামের সাথে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করে নেওয়া যায়। যারা পড়াশনা শেষ করে চাকরি খুজছেন কিংবা এখনও পড়াশোনা শেষ করেননি তাদের জন্য এটা একটা সুবর্ণ সুযোগ।

বিগত বছরের পরিসংখ্যান থেকে দেখা গেছে যাদের এমপ্লয়াবিলিটি স্কিল (employability skill) উন্নত ছিল, যারা নিজেদেরকে দ্রুত প্রযুক্তির সঙ্গে একাত্ম করতে পেরেছেন এবং প্রযুক্তির সাথে নিজেদের জ্ঞানকে হালনাগাদ করে রাখতে পেরেছেন তারাই কোম্পানির হাল শক্ত করে ধরে রাখতে পেরেছেন। অনেকেই যেমন চাকরি হারিয়েছেন তেমনি আবার অনেকেই নুতন চাকরিতে যোগদানও করেছেন। সময়ের সাথে সাথে যোগ্য প্রার্থীর চাহিদা সবসময়ই ছিল, আছে এবং থাকবে। প্রয়োজন শুধু নিজেদেরকে সেই চাহিদা অনুযায়ী প্রস্তুত করা।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই সময়ে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে সফল হতে হলে এমপ্লয়াবিলিটি স্কিল উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। এই করোনাকালীন সময়ে ক্যারিয়ার উন্নয়ন নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অনলাইনে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। কেউবা আবার মার্কেট চাহিদা অনুযায়ী নতুন নতুন ধারনা নিয়ে প্রোগ্রাম চালু করছেন।

এই অনলাইন সেশন গুলোতে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে একজন চাকরিপ্রত্যাশী তার সিভি তৈরি করতে পারবে। যাচাই করে নিতে পারবে তার এমপ্লয়াবিলিট স্কোর। জানতে পারবে চাকরির ইন্টারভিউতে নিজেকে উপস্থাপন করার জন্য কোন কোন দক্ষতা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সাথে থাকছে সাম্প্রতিক প্রযুক্তির নানা কলাকৌশল।

Sharing is caring!

Leave a Comment