স্বপ্ন দেখি, জাপান যাব

স্বপ্ন দেখি, জাপান যাব

  • এবি রাফি

আমরা উচ্চ মাধ্যমিক পড়াশুনা শেষ করার পর স্বপ্ন দেখি উচ্চশিক্ষা ও একটি ভালো মানের চাকরির। কিন্তু অনেকেই আমরা জানি না, কোথায় পড়াশুনা করবো বা পড়াশুনা শেষ করে কি করবো? এই চিন্তায় অনেকেই আমরা ঘুম হারাম করে ফেলি। বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে বের হচ্ছে। প্রত্যেকেরই বুক ভরা স্বপ্ন থাকে। কেউ ডাক্তার হবে, কেউ ইঞ্জিনিয়ার হবে অথবা কেউ পাইলট হবে। আমরা যখন ভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হই, মনে হয় নিমিষেই সব শেষ হয়ে গেল। হাজারো স্বপ্ন শুকনো পাতার মতো ঝরে যায়। অথচ আমরা এইচএসসি পরীক্ষার পর যেই যুদ্ধ করেও জয় করতে পারি না, তার পিছনেই বার বার ছুটি। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা পাইলট থেকে যে আরও অনেক স্বপ্ন আছে আমরা জানি না।

আজকে এমন একটি দেশের কথা বলবো যে দেশে যেতে অন্য সব যোগ্যতা থেকে শুধু ভাষা জানলেই আপনি যেতে পারবেন। আপনার কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পূরণ করতে আপনাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

জাপান- প্রশান্ত মহাসাগরের একদম পূর্ব কোণে ৬৮০০টি দ্বীপ নিয়ে গড়ে ওঠা ছোট্ট একটি দেশ; কিন্তু এই দেশটি নিয়ে পৃথিবীজুড়ে মানুষের বিস্ময়ের সীমা নেই। প্রযুক্তির মুন্সিয়ানায় গোটা বিশ্বকে মাতিয়ে রেখেছে জাপানিরা, কিন্তু তাদের সাফল্যের দৌড় কেবল কাঠখোট্টা প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ নয়, শিল্প সাহিত্য চিত্রকলা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের ঈর্ষণীয় বিচরণ। জাপানের চলচ্চিত্র অস্কার পেয়েছে, কুস্তির জগতে যুক্তরাষ্ট্রের পর তাদের দেশেই সবচেয়ে বেশি প্রসার। পৃথিবীর যত বড় বড় নামিদামি কোম্পানি বলা যেতে পারে সবই জাপানিজ। শুধু তাই নয় পৃথিবীর সবচেয়ে ভদ্র ও বিনয়ী জাতি হিসেবে পরিচিত জাপানিরা। অর্থনৈতিক দিক দিয়েও এরা এগিয়ে। বিশ্বের তৃতীয় বড় অর্থনীতির এই দেশের সবচেয়ে বড় শিল্প খাত হচ্ছে ইলেকট্রনিক পণ্য।

এশিয়ার দেশ জাপান অর্থনৈতিক দিক থেকে যেমন উন্নত, তেমনি দেশটি শিক্ষাব্যবস্থার দিক থেকেও এগিয়ে চলেছে। জাপানের উচ্চশিক্ষার মান বর্তমানে এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে সারা বিশ্বেই তা গ্রহণীয় ও সমাদৃত হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ছাত্রছাত্রীরা উচ্চশিক্ষার জন্য জাপানে পাড়ি জমাচ্ছেন। বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীরাও পাচ্ছেন পড়াশোনার অনেক সুযোগ। এইচএসসি পাসের পর উচ্চশিক্ষার জন্য যাঁরা বিদেশে যেতে আগ্রহী, তাঁরা সূর্যোদয়ের দেশ বেছে নিতে পারেন জাপানকে।

যে কোনো দেশে পড়তে যাওয়ার  জন্য  অন্তত হাজারটা কারণ থাকে। কিন্তু জাপান কেন অন্য সব দেশ থেকে আলাদা সেটি আপানদের  দেখিয়ে দিতে পারি। চলুন দেখে নেওয়া যাক।

বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি জাপানের স্কুল, কলেজ আর ইউনিভার্সিটির স্ট্যান্ডার্ড OECD (Organisation of economic cooperation and develeopment) গবেষণার  ফলাফল দেখলেই বোঝা যায়। সাড়া দুনিয়ায় গণিত শেখার জন্য জাপানিজ হাই স্কুলগুলোর র‍্যাংকিং হচ্ছে ১ নম্বর আর বিজ্ঞান বিষয়ক পড়াশোনার জন্য স্কুলগুলোর র‍্যাংকিং হচ্ছে ২ নম্বর। এ তো গেলো  জাপানিজ হাই স্কুলের কথা। জাপানে প্রায় ৭০০ এর মতো ইউনিভার্সিটি রয়েছে। সাড়া বিশ্বের সেরা ইউনিভার্সিটির র‍্যাঙ্কিংয়ে প্রথম ৫০টি ইউনিভার্সিটির মধ্যে আছে জাপানের “দ্যা ইউনিভার্সিটি অফ টোকিও” আর “কিয়োটো ইউনিভার্সিটি”। সেরা ৫০০ ইউনিভার্সিটির মধ্যে কেবল জাপানেই আছে  ১৬টি ( ARWU)।

এই লিঙ্কে গেলেই  জাপানিজ ইউনিভার্সিটির র‍্যাংকিং সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে পারবে।

লিঙ্কঃ http://www.shanghairanking.com/World-University-Rankings-2018/Japan.html

ব্রিটিশ দৈনিক পত্রিকা টেলিগ্রাফের মতে, শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য সেরা শহরগুলোর মধ্যে টোকিওর অবস্থান ৩ নম্বরে। আর এশিয়ার মধ্যে পড়াশোনার জন্য শ্রেষ্ঠ জায়গা হচ্ছে জাপান। টাইমস হায়ার এডুকেশন এর “এশিয়ান ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকিংয়ে” সেরা ১০০ ইউনিভার্সিটির তালিকায় জাপানের ২০টি ইউনিভার্সিটি জায়গা করে নিয়েছে। এদের মধ্যে ১ নম্বর হচ্ছে “দ্যা ইউনিভার্সিটি অফ টোকিও”। শিক্ষা আর গবেষণায় জাপানের প্রায় সব ইউনিভার্সিটিই এশিয়ার অন্যান্য ইউনিভার্সিটি থেকে বেশ এগিয়ে আছে আর সারা বিশ্বে অন্যান্য সব সেরা ইউনিভার্সিটির সাথে সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছে। 

জাপানের সেরাদের সেরা সব ইউনিভার্সিটিগুলোর মান নিয়ে ছোটখাটো একটি পরিসংখ্যান তোমার সামনে তুলে ধরলাম। প্রায় সব ডিসিপ্লিনেই পড়াশোনা করার সুযোগ জাপানে রয়েছে। কিন্তু তোমার যদি রোবটিক্স, ন্যানোটেকনোলজি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মতো কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অন্যান্য সব বিষয়ে আগ্রহ থেকে থাকে, সেক্ষেত্রে জাপানের “হাই-স্ট্যান্ডার্ড” ইউনিভার্সিটিগুলো আপনার আগ্রহের বিষয়গুলোতে আপানকে “হাই- স্ট্যান্ডার্ড” করে গড়ে তুলবে।

এভাবে ক্যারিয়ারের দৌড়ে  অনেকটা এগিয়ে গেলে মন্দ হয় না কিন্তু!

আপনাকেই খুঁজছে জাপান:

জাপানে প্রায় ৭০০ ইউনিভার্সিটির পাশাপাশি রয়েছে অসংখ্য ভোকেশনাল স্কুল আর ল্যাংগুয়েজ স্কুল। বর্তমানে জাপানে প্রায় দেড় লাখের মতো বিদেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। আর জাপানের টার্গেট হচ্ছে সংখ্যাটাকে ২০২০ সালের মধ্যে তিন লাখে রূপ দেয়া। বিদেশী শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপসহ যাবতীয় সাপোর্ট প্রোগ্রামের জন্য জাপান ১৫.৩ বিলিয়ন ইয়েন বরাদ্দ রেখেছে।

জাপানিজ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপগুলোর ধরণ সম্পর্কে জানতে চাইলে এই লিঙ্কটি থেকে ঘুরে আসতে পারেন।

লিঙ্ক: https://www.studyjapan.go.jp/en/toj/toj0302e.html  

বিদেশি শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে জাপানের কারিকুলার কাজকর্মগুলো সেপ্টেম্বরের দিকে শুরু হয়।

৮০০টি জাপানিজ কোম্পানিকে নিয়ে গবেষণা চালিয়ে দেখা যায়যে, ৫০ শতাংশ জাপানিজ কোম্পানিগুলো চাকুরী নিয়োগের ক্ষেত্রে জাপানিজ ইউনিভার্সিটির বিদেশি গ্র্যাজুয়েটদেরই প্রাধান্য দেয়। অনেক কোম্পানিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে  বিদেশি গ্র্যাজুয়েটদের  জন্য আবার ১০ শতাংশ কোটাও বরাদ্দ থাকে! তার উপরে জাপানিজ ভাষা শেখা থাকলেতো জাপানের “লুক্রেটিভ স্যালারি” আয় করার ব্যাপারটা একদম দুধ ভাত হয়ে দাঁড়ায়!

যেসব জাপানিজ ভাষা প্রতিষ্ঠানসমূহে শিখতে পারবেন:

ড্যাফোডিল জাপান আইটি

যোগাযোগ : ইউনিয়ন হাইটস ০১, লেভেল ৮, ৫৫-২, ওয়েস্ট পান্থপথ, ঢাকা. 

ফোনঃ ০২-৯১১২২৮০, ০১৮৪৭১৪০১১০

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল প্রফেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (দীপ্তি)

যোগাযোগ : রাসেল স্কয়ারে, লেক সার্কাস, পান্থপথ, ঢাকা-১২০৫

ফোনঃ ০১৭১৩ ৪৯৩২৬৭ 

ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অফ লাঙ্গুয়েজেস (ডিআইএল)

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (৫থ ফ্লোর, ৫১২/এ ঢাকা, ১২১৫

ফোনঃ ০১৮৪৭১৪০০১৮ 

Sharing is caring!

Leave a Comment