পিটিই করেও বিদেশে উচ্চ শিক্ষা
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
উচ্চশিক্ষার জন্য যাঁরা দেশের বাইরে পাড়ি জমাতে চান, ভাষার দক্ষতা প্রমাণের জন্য সাধারণত তাঁদের পরীক্ষা দিতে হয়। পরীক্ষার স্কোরের ওপর ভিত্তি করে কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তিও দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে আইইএলটিএস এবং টোয়েফল বহুল প্রচলিত ও গ্রহণযোগ্য। অনেকে হয়তো জানেন না, ইংরেজি ভাষার দক্ষতা যাচাইয়ের আরও একটি পরীক্ষা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত, যার নাম পিয়ারসন টেস্ট অব ইংলিশ, সংক্ষেপে পিটিই।
ইংরেজি ভাষাভাষী নন এমন শিক্ষার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য পিটিই যাত্রা শুরু করেছিল ২০০৯ সালে। গত কয়েক বছরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে এর গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়েছে। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি দেশের নামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে আইইএলটিএস, টোয়েফল ছাড়াও পিটিই বেছে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল, ইয়েল ইউনিভার্সিটি থেকে শুরু করে অস্ট্রেলিয়ার অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় পিটিই স্কোরকে গুরুত্ব দিচ্ছে।
তবে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত পিয়ারসন টেস্ট অব ইংলিশ তেমন পরিচিতি পায়নি। সম্প্রতি জার্মানভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘টুভ সুড’ দেশে পিটিই পরীক্ষার আয়োজন করতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে অনেকেই পরীক্ষা দিয়েছেন, দিচ্ছেন। উত্তরায় প্রতিষ্ঠানটির অফিসে গিয়ে জানা গেল, প্রতিদিন সর্বোচ্চ দুটি সেশনে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমটি শুরু হয় সকাল দশটায় এবং দ্বিতীয়টি দুপুর আড়াইটায়। মোট নম্বর ৯০। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে পিটিইতে স্কোর কমপক্ষে ৫০ হতে হবে, এমন শর্ত দেওয়া থাকে। আমাদের দেশে এই পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার ফি ১৪ হাজার ৫০০ টাকা। পরীক্ষা প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ‘মক টেস্ট’ এবং প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। টুভ সুড-এর কার্যালয়ে যোগাযোগের ঠিকানা: টুভ সুড বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড, আপডেট টাওয়ার, লেভেল ৭ ও ৮, ১ শাহজালাল অ্যাভিনিউ, সেক্টর ৬, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০।
নির্দিষ্ট ফির বিনিময়ে এএটি ইনস্টিটিউট নামে একটি প্রতিষ্ঠান দেশে পিটিই-প্রস্তুতি নিতে সহায়তা করছে। এএটি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক এইচ এম মনিরুজ্জামান জানালেন পরীক্ষার নিয়ম কানুনের বিস্তারিত। ‘কম্পিউটার-নির্ভর এই পরীক্ষার মোট সময় তিন ঘণ্টা। পরীক্ষার্থীকে তিনটি আলাদা ধাপে পরীক্ষা দিতে হয়। প্রথম ধাপে রয়েছে স্পিকিং ও রাইটিং (মৌখিক ও লিখিত)। দ্বিতীয় ধাপে রিডিং (পড়া) এবং তৃতীয় ধাপে লিসনিং (শ্রবণ)।’ জানা গেল, পিটিই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সর্বোচ্চ পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যেই পরীক্ষার্থী ফলাফল পেয়ে যান। কোনো ব্যক্তি চাইলে যতবার ইচ্ছা ততবার পরীক্ষা দিতে পারেন। নিয়মিত অনুশীলন করলে এই পরীক্ষায় ভালো স্কোর করা সম্ভব। ইন্টারনেটে এ সংক্রান্ত আরও দিকনির্দেশনা পেতে পারেন।
সূত্র: প্রথম আলো