পড়তে পারেন ‘মাল্টিমিডিয়া টেকনোলজি অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ আটর্স’

পড়তে পারেন ‘মাল্টিমিডিয়া টেকনোলজি অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ আটর্স’

  • ক্যারিয়ার ডেস্ক

বর্তমানে মিডিয়া জগতে যারা প্রতিষ্ঠিত তাদের নিজস্ব অবস্থান তৈরিতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। কারণ এদেশে কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেওয়ার সুযোগ ছিল না। শুরুতেই স্ব-শিক্ষিতরাই মাল্টিমিডিয়া শিল্পের সূচনা করলেও এখন এসব বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার কোন বিকল্প নেই।

মাল্টিমিডিয়া ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্ম পরিবেশও এখন অত্যন্ত চমৎকার এবং কাজের সুযোগও অনেক বেশি। এর মধ্যে আছে বিজ্ঞাপনী সংস্থা, পোস্ট প্রোডাকশন হাউজ, টিভি চ্যানেল সমূহ, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি, আর্কিটেকচারাল ভিজ্যুয়ালাইজেশন, ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন ফার্ম, এনিমেশন এবং কার্টুন ইন্ডাস্ট্র্রি, সিমুলেশন ইন্ডাস্ট্রি এবং সফটওয়্যার ফার্ম ইত্যাদি।

আমাদের দেশে এক সময় একটি বাংলা চ্যানেলই যথেষ্ট ছিল। কিন্তু এখন বাংলা টিভি চ্যানেলের সংখ্যা কুড়ির কোটা ছাড়িয়ে গেছে।কম্পিউটার সফটওয়্যার আউট সোর্সিং এর একটি বাজার ইতিমধ্যে এদেশে তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন দেশে আমাদের পণ্যের চাহিদাও প্রচুর। এর মানে দিনে দিনে প্রয়োজন হবে অনেক দক্ষ কর্মীর যারা প্রযুক্তি শিক্ষার পাশাপাশি হবে সৃষ্টিশীল কর্মকাণ্ডের প্রসারতা।

বিগত দিনগুলোতে আমাদের দেশ থেকে শত শত শিক্ষার্থী ভারতের ব্যাঙ্গালোর, পুনে ও সিলিকন ভ্যালিতে মাল্টিমিডিয়া এনিমেশন ও ক্রিয়েটিভ আটর্স-এর উপর লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমাতো। ভারতে মাল্টিমিডিয়া এনিমেশন ও ক্রিয়েটিভ আটর্স-এর তিন বছরের একটি কোর্সে প্রায় ৯-১০ লক্ষ রুপি খরচ হয়। অথচ এখন মাত্র ৫-৬ লক্ষ টাকা খরচ করে ঘরে বসেই এ ডিগ্রি অর্জন সম্ভব। সিঙ্গাপুর বা মালয়েশিয়ায় এ ধরনের একটা কোর্সে খরচ পড়বে ২০-২৫ লাখ টাকা। আর এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ হয়ে উঠতে পারে শিক্ষার্থীদের প্রথম পছন্দ। কারণ বাংলাদেশ থেকে তারা আরও কম খরচে ভালো মানের কাজ করিয়ে নিতে পারবে। বিশেষ করে বিভিন্ন এনিমেটেড ফিল্মের লোয়ার এন্ডের কাজ করার প্রচুর সুযোগ সৃষ্টি হবে দেশীয় মাল্টিমিডিয়া ডেভেলপার ও এনিমেটরদের সামনে। সারা বিশ্বের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এ কথা খুব সহজেই বলা যায় মাল্টিমিডিয়া ও এনিমেশন শিল্প হচ্ছে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে দ্রুত প্রসারণশীল শিল্প। এক জরিপে দেখা যায় এ শিল্পের বৃদ্ধির হার প্রায় ৩৩%।

আর এ বিষয়টিকে মাথায় রেখেই ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের অনুমোদন নিয়ে থেকে মাল্টিমিডিয়া টেকনোলজি ও ক্রিয়েটিভ আর্টস বিষয়ে চার বছর মেয়াদী বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ও একমাত্র অনার্স কোর্স চালু করেছে ।

মাল্টিমিডিয়া ভুবনের অসীম সম্ভাবনার কথা চিন্তা করে দীর্ঘ দেড় বছর ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত টেলিভিশন, চলচ্চিত্র, এনিমেশন ইন্ডাস্ট্রি, মাল্টিমিডিয়া, সফটওয়্যার, তথ্যপ্রযুক্তি খাত ও সংবাদ মাধ্যমের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে আলোচনা করে চার বছর মেয়াদী “বি.এস.সি ইন মাল্টিমিডিয়া টেকনোলজি অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ আটর্স কোর্স” প্রোগ্রাম শুরু করেছে। বিস্তারিত ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ধানমণ্ডি ও উত্তরা অফিস সমূহে পাওয়া যাবে। ফোন : ০১৭১৩-৪৯৩০৫০, ০১৭১৩-৪৯৩২৫১। ওয়েব : www.daffodilvarsity.edu.bd

সূত্র: যুগান্তরfavicon59

Sharing is caring!

Leave a Comment