নতুন অফিস : কি করবেন !
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
নতুন সুযোগ, বাড়তি সুবিধা, বেতন বেশি, পরিবেশ ভালো – ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে মানুষ তার কর্মক্ষেত্র পরিবর্তন করে। নতুন অফিসে, নতুন পরিবেশে, নতুন কলিগদের সাথে কেউ কেউ চট করে মানিয়ে নিতে পারেন, আবার কারো কারো বেশ সময় লেগে যায়। বিশেষ করে কলিগদের সাথে মিশতে, তাদের বুঝতে বেশ সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় অনেককে। আপনি যত ভালো কর্মীই হন না কেন, সহকর্মীদের সাথে সুসম্পর্ক না থাকলে কাজ সুষ্ঠভাবে সামলে ওঠা যায় না। তাই নতুন অফিসে প্রথমেই প্রয়োজন সহকর্মীদের সাথে সঠিক সম্পর্ক গড়ে তোলা।
একসাথে কাজ করতে গেলে সহকর্মীদের মধ্যে বোঝাপড়া থাকা ভীষণ জরুরি। কিন্তু সেই সম্পর্ক গড়ে তোলা, তাকে সমৃদ্ধ করা এবং তাকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো খুব একটা সহজ নয়। জেনে নিন কী করতে পারেন।
ওয়ার্ক কালচার
প্রত্যেক অফিসের একটা নিজস্ব ওয়ার্ক কালচার থাকে। এটা যদি আপনার মনমতো নাও হয় তারপরও প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য নিয়মের মতো ওয়ার্ক কালচার মেনে চলাটাও আপনার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। যদি আপনার মনে হয় যে এই ওয়ার্ক কালচারে কোনো বড়সড় সমস্যা রয়েছে, তাহলে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করুন। কোনো বিশেষ ব্যক্তির নামে অভিযোগ করলে সমস্যা আরো বাড়বে। আর যদি অফিসের সমালোচনা করতেই হয়, অফিসের সীমানার বাইরে গিয়ে করুন।
সুসম্পর্ক বজায় রাখুন
সহকর্মীদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখুন। সবাই যে আপনার সমমনা হবেন, এমন কোনো কথা নেই। কিন্তু প্রফেশনালিজম বজায় রাখার তাগিদে কারো সাথে যেন অযথা মনোমালিন্য না হয় সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখুন। মতের অমিল হতেই পারে, কিন্তু নিজের ইগো নিয়ন্ত্রণে রেখে সেটা বেশি দূর এগোতে দেবেন না। অফিসের আড্ডায় যোগ দিন। তবে সহকর্মীদের ব্যক্তিগত জীবনের কুত্সায় যোগ দেবেন। কাজের ব্যাপারে আলোচনা করুন। টিম মিটিংয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করুন।
সাহায্য চান
সহকর্মীদের সাহায্য করুন এবং প্রয়োজনে তাদের কাছ থেকে সাহায্য চাইতেও লজ্জা পাবেন না। কাজ শেখার ক্ষেত্রে বয়স, পদমর্যাদা বা অভিজ্ঞতা সবসময় কার্যকর হয় না। কাজে আটকে গেলে অভিজ্ঞ সহকর্মীদের পরামর্শ যেমন প্রয়োজন তেমনি জুনিয়র কলিগরাও সাহায্য করতে পারেন আপনাকে। টিম মিটিং চলাকালীন কাজ সম্পর্কে দ্বিধাদ্বন্দ্ব যাই থাকুক না কেন, প্রশ্ন করুন। এভাবেই আপনার সহকর্মীরা আপনাকে নিজেদের মানুষ হিসেবে চিহ্নিত করবে।
বাড়ির খবর নিন
সহকর্মীদের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে পুরোপুরি নিরাসক্ত থাকবেন না। কাজের ফাঁকে ফাঁকে তাদের বাড়ির খোঁজখবর নিন। বাড়িতে কেউ অসুস্থ থাকলে সে ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করুন। প্রয়োজনে নিজে একটু বেশি খেটে তাকে রিলিফ দিন। এভাবেই সহানুভূতির একটা বন্ধন গড়ে উঠবে। নিজেকে কাজের জায়গায় কখনো একা মনে হবে না।
সহকর্মীর মতামতকে গুরুত্ব দিন
নিজের ধ্যানধারণা অন্যের ওপর চাপিয়ে দেয়া কখনোই ভালো নয়। প্রত্যেকেরই কাজ করার নিজস্ব ধরন থাকে, সেই নিজস্বতাকে সম্মান করে চলা একজন ভালো সহকর্মীর অন্যতম বৈশিষ্ট্য। অস্বস্তি কাটিয়ে উঠে সহকর্মীদের আইডিয়া বিবেচনা করুন।